কাবাব বাড়িতে ঝটিকা সফর || @shy-fox 10% beneficiary

in hive-129948 •  2 years ago 

IMG-20220908-WA0011.jpg

এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে যে, আমি তো গ্রামে চলে আসছি তাহলে আবার রেস্টুরেন্টে বেড়াতে গেলাম কবে । আসলে এই ঘটনা গ্রামে বেড়াতে আসার দুই তিন দিন আগে ঘটেছিল । প্রতিনিয়ত মুহূর্ত জমা হয়ে যায়, তাই কোনটা ছেড়ে কোনটা শেয়ার করব সেটা ভাবতেই অনেকটা এলোমেল হয়ে যায় মাঝে মাঝে ।

IMG-20220908-WA0020.jpg

বেশ গরম ছিল ঐদিন তারপরেও বাসার ভেতরে বিকাল পর্যন্ত কাজ করে বড্ড একঘেয়েমি লাগছিল । হুট করেই নিজের থেকেই ওদের ফেসবুক পেজ ঘেঁটে কাবাব বাড়ির রিজার্ভেশন নাম্বারে ফোন করলাম এবং জানালাম আমরা সন্ধ্যার দিকে সেখানে যাব ।

IMG-20220908-WA0018.jpg

IMG-20220908-WA0016.jpg

হীরাকে তখনো ব্যাপারটা বলি নি । আমি চাই ওকে সারপ্রাইজ দিতে । আসলে ও নিজেও বাসার ভিতরে থাকতে থাকতে কিছুটা আমার মতো অবস্থায় ভুগছে । তাই নিজেদের এই একঘেয়ামি দূর করার জন্য আমি এমন চিন্তা করেছি । মূলত একটু বিষয়টা লুকিয়ে রেখেছিলাম তবে সন্ধ্যার ঠিক একটু আগেই বললাম, চলো বাহির থেকে ঘুরে আসি , ভালো লাগবে তাহলে । বাহিরে ঘোরার কথা শুনলেই ওর মুখে যেন একটা প্রশান্তির ঝিলিকের মত হাসি দেখা যায় ।

IMG-20220908-WA0017.jpg

IMG-20220908-WA0014.jpg

কাবাব বাড়িতে এই নিয়ে আমাদের সম্ভবত দ্বিতীয়বার যাওয়া হচ্ছে । সবথেকে মজার ব্যাপার সেটা হচ্ছে, প্রথমবার যেদিন গিয়েছিলাম সম্ভবত সেদিন উদ্বোধনই হয় নি । তারপরে থেকে ঐ দিকটাতে আসলে আর সেভাবে যাওয়া হয়ে ওঠে নি । আসলে এমনিতেই খুব একটা বেশি বাহিরে বের হওয়া হয় না আর তাছাড়া সব জায়গায় যাওয়ার আগে একটু ভাবনা চিন্তার ব্যাপার তো থাকেই ।

IMG-20220908-WA0012.jpg

IMG-20220908-WA0013.jpg

সত্যি বলতে কি, পুরুষ মানুষের জীবনটা একটু ভিন্নরকমের । এই ধরুন এই লাল গেঞ্জিটা বাবুর জন্মদিনের দিনে কিনেছিলাম তারপরে ঐ দিন একটু পড়েছি তারপরে সম্ভবত আর বাসা থেকেই খুব একটা বেশি বের হওয়া হয়নি । ঐ লাল গেঞ্জি গায়ে দিয়েই আজকেও বেরিয়ে পড়লাম সন্ধ্যার ঠিক একটু আগেই । রিক্সা নিয়ে সোজা গন্তব্য ছিল কাবাব বাড়ির উদ্দেশ্যে । যদিও সারাটা দিন বেশ ভালোই গরম ছিল , তবে রিক্সায় ওঠার পরেই আলাদা একটা প্রশান্তি কাজ করছিল নিজের ভিতরে ।

এদিকটাতে খুব একটা বেশি প্রয়োজন ছাড়া আসা হয় না । এমনিতেই শহর থেকে একটু অদূরে তারপরে বেশ অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ । আসলে এই জায়গাগুলো অনেকটা নিরিবিলিই থাকে । তাছাড়া মূলত সবাই এই সকল রেস্টুরেন্ট গুলো একটু নিরিবিলি পরিবেশেই দেওয়ার চেষ্টা করে । আজকাল সকলেই চায় যে একটু নিরিবিলি ভাবে সুন্দর পরিবেশে সময় কাটানোর জন্য ।

IMG-20220908-WA0008.jpg

মিনিট বিশেকের ভিতরেই পৌঁছে গিয়েছিলাম কাবাব বাড়িতে । আর রিক্সা থেকে নামতেই রিফাতের সঙ্গে দেখা । সে আমার পূর্ব পরিচিত আর তাছাড়া ও নিজেই এই রেস্টুরেন্টের মালিক । আপনি যদি সকলের একটু অতীত ঘেঁটে দেখেন, দেখবেন যে যারা আজকালকার সময়ে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় এসেছে তারা মূলত কেউ শখের বসে এসেছে নতুবা এই ব্যবসাটাকে একটু নিজেদের মতো করে মডিফাই করে চেষ্টা করছে কাস্টমারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য । এটা অনেকটা উদ্যোক্তা স্বভাবের মত ব্যবসা ।

IMG-20220908-WA0006.jpg

রিফাত কে বললাম আমি তো তোমাদের রিজার্ভেশন নাম্বারে ফোন দিয়েছিলাম এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি তারা আমাকে বলল আসার কথা । তাহলে ঠিক আছে শুভ, তুমি স্বাচ্ছন্দ্যেই ভিতরে প্রবেশ করো এবং চেষ্টা করো পরিবার নিয়ে ভালো সময় কাটানোর । ভিতরে ঢুকে হীরা মূলত কিছু ফুলের গাছের চারা দেখেছিল এবং তাদের ম্যানেজারকে অনুরোধ করলো সে কিছু চারা সংগ্রহ করতে চায় ।

যেহেতু রেস্টুরেন্টের মালিক আমাদের পরিচিত , তাই ম্যানেজার ভদ্রলোক খুব সহজেই রাজি হয়ে গেল ফুলের গাছের চারা দেওয়ার ক্ষেত্রে । হীরার ইচ্ছা বাসার বেলকুনির বাগানটাকে আরও একটু বড়ো করবে । এখান থেকে সংগ্রহ করা চারা গুলো ইতিমধ্যেই রোপন করা হয়েছে। হয়তো পরবর্তী সময়ে সেগুলো দেখানোর চেষ্টা করব ।

IMG-20220908-WA0001.jpg

কাবাব বাড়ির খাবার নিয়ে আমার তেমন কোন কিছু বলার নেই কারণ মোটামুটি এদের সব খাবার বেশ ভালোই এবং যেহেতু নিজেরাই এরা খাবার বানায় তবে একটু সময় লাগে খাবার টেবিলে আসতে । আর মূলত এই সময়টাতেই আমরা ওদের পুরো রেস্টুরেন্টটা ঘুরেছি এবং বেশ কিছু জায়গাতে ছবি তুলেছি এবং সেই আলো আঁধারের পরিবেশে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছে । অতঃপর আধা ঘন্টা পরে আমাদের অর্ডার করা খাবার চলে এসেছিল ।

IMG-20220908-WA0002.jpg

খুব যে আহামরি কিছু অর্ডার করেছিলাম তা কিন্তু না । আর এখানে সকল খাবারের সঙ্গে তারা লুচি দিয়ে থাকে এটা এদের বিশেষত্ব । আমরা অর্ডার করেছিলাম মুরগির ঝাল কাবাব ও খাসির কাবাব । আমি মূলত খাসির মাংসের কাবাব খেয়েছিলাম আর হীরা খেয়েছিল মুরগি । তবে সঙ্গে কোল্ড ড্রিঙ্কস আর ঠান্ডা পানি ছিল । মোটামুটি একটা বড় প্লেটের মধ্যে অনেকগুলো লুচি সাজিয়ে তার ভিতরে সস্ দিয়ে এবং অন্য দুইটা প্লেটে আলাদা আলাদা ভাবে কাবাব সাজিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছিল ।

যাইহোক খেতে খারাপ লাগেনি বরং ভালোই লেগেছিল । সারাদিন গরম আবহাওয়া থাকার পরে সন্ধ্যার দিকে এইদিকটাতে পরিবার নিয়ে এরকম খোলামেলা জায়গায় বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছি এবং বিল পরিশোধ করে আসার সময় হীরা আবারও কিছু ফুলের চারা সেখান থেকে সংগ্রহ করেছে । সর্বোপরি স্বল্প সময়ের জন্য হলেও বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছি সেদিন আমরা কাবাব বাড়িতে ।

Banner-3.png

ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সারাদিন ঘরে বন্দি থাকার পর এরকম সারপ্রাইজ পেলে খুশি তো হওয়ারই কথা। যারা সারাদিন ঘরে থাকে তারাই বোঝে যে বাইরে যাওয়ার কি আনন্দ। যতই গরম থাকুক না কেন চলন্ত রিক্সায় ঘুরতে কিন্তু বেশ ভালই লাগে । আর যদি হয় বিকালবেলায়। পুকুর পাড়ের জায়গাটি খুব ভালো লাগছে। আমার আছে শান্তি শান্তি লাগছে জায়গাটা দেখে। তাছাড়া বিভিন্ন জায়গা থেকে গাছের চারা সংগ্রহ করলে বিভিন্ন ধরনের গাছ সংগ্রহ থাকে। এই কাজটা হিরা আপু ভালো করেছে। খাবারগুলো ভালোই ছিল মনে হচ্ছে। কাবাব আমার কাছে খুব ভালো লাগে খেতে। আর লাল গেঞ্জিটাতে কিন্তু আপনাকে বেশ মানিয়েছে।

আসলেই আপু পুকুর পাড়ের জায়গাটি বেশ ভালোই নিরিবিলি ছিল তাছাড়াও বিকাল বেলায় রিক্সায় ঘুরতে ভালোই বোধ করেছিলাম।

আসলে ভাইয়া বাসার ভিতরে একঘেয়েমি ভাবে থাকাটা খুবই কষ্টকর এবং আপনি খুব ভালো একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সন্ধ্যাবেলা বাইরে বের হবেন। আর এই কথাটি ভাবিকে বলেনি। ভাবিকে সারপ্রাইজ দিন। ভাবিকে যখন বললেন তখন ভাবি অনেক আনন্দিত হল।আসলে কাবাব বাড়িতে অনেক সুন্দর মুহূর্ত এর আগেও আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আজকে আবার শেয়ার কারলেন, খাবারের মান অনেক ভালো। আর দেরিতে খাবার দেয় সেই সময়টা আপনি ঘুরে সুন্দর পরিবেশ উপভোগ করেন। সত্যিই আপনার চিন্তাধারা আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনি, ভাবি এবং শায়ান বাবুর জন্য রইল দোয়া।

ভাইয়া আমি প্রথমে ভেবেছিলাম শশুড় বাড়ি থেকে শালা শালিকা নিয়ে বুঝি কাবাব বাড়িতে ঘুরতে গেছেন,কিন্তুু ভিতরের অংশ পড়ে দেখি সেটা বেড়াতে যাওয়ার আগের। জায়গাটা খুব নিরিবিলি অনেক ফুল দিয়ে সাজানো। হীরা আপু বুদ্ধি করে আবার কিছু চারাও নিয়ে নিলো। সে গুলোও একদিন দেখতে পাবো হয়তো । ধন্যবাদ ভাইয়া।

মাঝে মাঝে যদি পরিবার নিয়ে বাইরে বের হয়ে পছন্দের কোন জায়গায় যাওয়া হয় তাহলে অনেক ভালো লাগে। এছাড়া যখন চার দেয়ালের মাঝে আমরা বন্দী থাকি তখন নিজেকে অনেকটা খাঁচায় বন্দি পাখির মত লাগে। আপনি এবং আপনার পরিবারের সকলকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। শায়ানের জন্মদিনের জন্য কেনা লাল গেঞ্জিটি পড়েছেন দেখে ভালো লাগলো। আপুর বারান্দায় লাগানো গাছগুলোর ছবি এর আগে দেখেছি। আবারো নতুনভাবে গাছ সংগ্রহ করছেন জেনে ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল সবার জন্য।

লাল গেন্জিটা আসলে সেই যে সেইদিন বের করা হয়েছিল তারপর থেকে আর তুলে রাখাই হয় নি , তাই হাতের সামনে পেয়ে ওটা গায়ে জড়িয়েই বেরিয়েছিলাম আপু ।

ভাইয়া আপনার এই ঘুরে ঘুড়ি আমার কিন্তু বেশ লাগে,কারণ আমি নিজে ও ঘুরাঘুরি অনেক পছন্দ করি, আর সত্যি বলতে ঘরে বসে থাকা কতটা যে খারাপ লাগে তা বলে বুঝেনা যাবে না। তবে কাবাব আমার অনেক প্রিয় যাই হোক ভালো লাগলো মাঝে মাঝে আমাদের ও দাওয়াত দিয়েন আসবো নে

আপনার জন্য আমার বাড়ির দরজা সর্বদাই উন্মুক্ত, যখন মন চায় চলে আসবেন আপু ।

খুশি হয়ে গেলাম🥰😇

টানা কাজ করলে একঘেয়েমি চলে আসাটাই স্বাভাবিক। আপনি হীরা ভাবিকে সারপ্রাইজ দেন শুনে নিজের কথা মনে পড়ে গেল। আমার বাসায় একই অবস্থা সারপ্রাইজ দিলে প্রচন্ড খুশি হয়। যাই হোক রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন এভারেজ ছিল তবে আপনাদের একঘেয়েমি ঘোচানোর জন্য পারফেক্ট একটি জায়গা ছিল। অনেক সময় সুন্দর পরিবেশে ক্রাউড হলে ভাল লাগে না, আবার অনেক জায়গা খুব একটা সুন্দর না হলেও নিরিবিলি হলে ভাল সময় কেটে যায়। আপনাদের বেলাতেও তাই হয়েছে। হীরা ভাবির মনে হয় গাছের খুব শখ। আপনাদের ছবিগুলো খুব উপভোগ করেছি। শায়ান কে দেখে মনে হচ্ছে সে কিছু একটা বুঝার চেষ্টা করছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

বাহ্ আপনার ব্যাপারটা জেনেও বেশ ভালোই লাগলো ভাই । হুম ওর বাগান করার খুব শখ এজন্যই চারা সংগ্রহ করেছে ।

ভাবি ও বাবুসহ কাবাব বাড়ি দর্শন ও ঘোরাঘুরি করে বেশ ভালো এনজয় করলেন। মনের একঘেয়েমির আশেপাশে যেকোনো দর্শনীয় স্থানে ভ্রমন বাঞ্ছনীয়। এতে করে মনের প্রফুল্লতা বৃদ্ধি পায়। এখানে খাবারের আয়োজনটা বড় ফ্যাক্টর নয়। আপনার পরিবারের জন্য মঙ্গল কামনা রইল ভাই।

ভাবীকে যে এমন সারপ্রাইজ দিয়েছেন এটা দেখে সত্যিই ভালো লাগলো ভাই। সত্যি বলতে একটু একটু শিখে নিচ্ছি কিভাবে ঘরের লক্ষ্মীকে হঠাৎ করে এমন চমক দেওয়া যাবে 😉। হিহিহিহি,,, পরিবেশটা আসলেই ভালো লাগলো, খুব নিরিবিলি। ইট পাথরে ঘেরা দম বন্ধ করা পরিবেশ থেকে একঘেয়েমী গুলোকে দূর করতে এমন একটা জায়গাই বেশি প্রয়োজন। আর হ্যাঁ ভাবির গাছ গুলো দেখতে যাব একদিন। আমিও নিয়ে আসবো তখন 😊

শিখে রাখা ভালো কখন কোনটা কাজে লেগে যায় বলা মুশকিল। তবে তোর এখন একটা বিয়ে করা দরকার, তাহলে জীবনে আরও বাস্তবিক কিছু অভিজ্ঞতা বাড়বে । শুভেচ্ছা রইল তোর জন্য।

বাসার ভিতরে থাকতে থাকতে কেমন যেন একঘেয়েমি হয়ে ওঠে।তাই মাঝে মাঝেই পরিবারের সদস্যদের সাথে বা বন্ধুবান্ধবের সাথে বাইরে সময় কাটালে ভালোই লাগে, মনের ভিতর একটু রিফ্রেশমেন্ট কাজ করে।ঘরে বন্দী থাকতে থাকতে একঘেয়েনী দূর করার জন্য আপনি এবং আপনার ছোট্ট পরিবারের সদস্য মিলে কাবাব বাড়িতে খুবই সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন ভাইয়া।আর আমাদের সকলের প্রিয় সায়ান বাবু দেখছি আস্তে আস্তে বড় হয়ে যাচ্ছে। সায়ন বাবু নিশ্চয়ই কাবাব বাড়িতে গিয়ে খুবই সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছে।কাবাব বাড়ি রেস্টুরেন্টে গিয়ে খুব সুন্দর একটি সময় কাটানো মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া। সেই সাথে আপনার এবং আপনার পরিবারের সকল সদস্যের সুস্থতা কামনা করছি।

এইটা সত্য শায়ান বেশ দ্রুতই বেড়ে উঠছে তবে বেশ আগের চঞ্চলতা ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে ওর । ধন্যবাদ ভাই ।

কাবাব বাড়ি নামটিই খাবারের।জায়গাটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে বেশ নিরিবিলি ও নীরবতা চারিদিকে।আশা করি দারুণ সময় কাটিয়েছেন আপনারা।আপনজনকে হঠাৎ সারপ্রাইজ দেওয়ার মাঝে ও আলাদা আনন্দ আছে।শায়ান বাবুকে খুবই কিউট লাগছে,ধন্যবাদ ভাইয়া।

ভাইয়া পরিবার মিলে তো চমৎকার সময় পার করেছেন কাবাব বাড়িতে ৷ যেটা দেখলাম কাবাব বাড়ির রেস্টুরেন্টা মনে হয় গ্রামীন পরিবেশের মতো ৷বাশ খড়ের তৈরি ঘড় চারদিকটা বাশেঁর তৈরি বেড়া দেওয়া রাস্তাটা ইট দিয়ে বিছানো ৷তবে আমার কাছে ওই শহরের বড় বড় রেস্টুরেন্টের চেয়ে ৷এই কাবাব বাড়ির পরিবেশ টা অনেক ভালো ৷নেই শব্দ একদম নিরবতা নিরিবিলি ৷ তবে আমার কাছে বাঙালির প্রিয় খাবার লুচি অনেক ভালো লাগে ৷
যাই হোক ভাইয়া খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ৷

আসলেই পরিবেশটা বেশ ভালোই ছিল ওখানকার, তাছাড়াও আমরা বেশ ভালোই উপভোগ করেছি সময়টা ।

ভাইয়া বাসার মধ্যে থেকে একঘেয়েমিতা দূর করার জন্য মাঝেমধ্যে পরিবার নিয়ে একটু ঘোরাঘুরি করাকে আমি দারুণভাবে সমর্থন করি। শায়ান বাবুকে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে আপনার কোলে। ভাইয়া কাবাব বাড়ির খাবারের মেনুটা অতি চমৎকার ছিল। বাসার বেলকনিতে ফুল গাছের চারা লাগালোর বুদ্ধিটা অসাধারণ। ভাইয়া আমিও খাসির কাবাব খেতে পছন্দ করি।কাবাব বাড়িতে কাটানো খুবই সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য প্রিয় ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

কাবাব বাড়ির ফটোগ্রাফি যতটুকু দেখলাম আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। আসলে এরকম পরিবেশে আলো-আঁধারির মাঝে সময় গুলো বেশ উপভোগ্য হয়। বাসায় বন্দি জীবন কাটাতে আসলে মাঝে মাঝে আমরা হাঁপিয়ে উঠি। ভাবি নিশ্চয়ই অনেক সারপ্রাইজড হয়েছিল। আর শায়ান বাবুকে কাবাব বাড়িতে ঘুরতে গিয়ে অনেক উৎফুল্ল দেখাচ্ছে। কাবাব বাড়ির কাবাব খেতে ভালই হবে মনে হচ্ছে, আপনার লেখা পড়ে যেটা বুঝতে পারলাম। আর পরিবেশনটাও অনেক সুন্দর।
ধন্যবাদ আপনাকে।