গত মাসের শেষ থেকেই মোটামুটি টানা একের পর এক লাগাতার হরতাল অবরোধ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি লেগেই আছে, এই ব্যাপারগুলো সর্বস্তরে জনসাধারণের ভিতরে যে বিশ্রী প্রভাব ফেলেছে তা যেন খুব ভালোভাবে বুঝতে পারছে সাধারণ মানুষ।
চতুর্দিক থেকে সমস্যা প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষের লেগেই আছে। সব থেকে বড় যে ব্যাপার সেটা হচ্ছে, এই হরতাল মিছিল অবরোধ এসবের কারণে যে সকল নিরীহ মানুষের প্রাণ ঝরে যাচ্ছে বা আহত হচ্ছে, তাদের পরিবারের কথা চিন্তা করলে আরো বেশি খারাপ লাগে। সাধারণ মানুষ যেন অনেকটা পণ্য হয়ে গিয়েছে এসবের কাছে।
এভাবে চলতে থাকলে, সামনের দিনগুলোতে যে আরো খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে, তা যেন বেশ ভালোই আন্দাজ করা যাচ্ছে । আজকাল তো রাস্তায় বের হলেই মনে হয় জীবনটা হাতে নিয়ে ঘুরছি, কখন কোথা থেকে কি হয়ে যাবে তা যেন বলা যায় না। আর এইসব ফাঁকে সিন্ডিকেট প্রচুর বিরাজমান সর্বক্ষেত্রে। বিশেষ করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কোথায় থেকে কোথায় চলে গিয়েছে, তা একদম বলা বাহুল্য।
এসব নিয়ে কেউ যে মুক্তভাবে মতামত পোষণ করবে বা সমষ্টিগতভাবে আলোচনা করবে সেই সুযোগ নেই বললেই চলে। অনেকটা ভয়ের মধ্যে আছে সবাই। কারো যেন কিছু করার নেই, সবাই পিষ্ট হয়ে যাচ্ছে তারপরেও কেউ মুখ খুলছে না। নীরবে সবকিছু যেন সহ্য করে যাচ্ছে। গুটিকয়েক কিছু মানুষের কাছে জিম্মি হয়ে গিয়েছে সর্বসাধারণ মানুষজন। অনেকটা তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই কথাগুলো বলছি।
আমি মনেকরি এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা শুধু আমার একার না, বলা যায় সকলের। ভাই আপনারা রাজনীতি করেন বা যাই করেন না কেন, এতে তো আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কোন সমস্যা নেই । তবে অহেতুক সাধারণ মানুষকে পণ্য বানানোর কোন মানেই হয় না। সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলে, নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য যা ইচ্ছে তাই করবেন এবং নিজেদের মন মর্জি মত সবকিছু হবে, এই ব্যাপারটা কিন্তু কিছুটা দৃষ্টিকটু লাগে।
আপনার কোন জবাবদিহিতা নেই, পয়সার শেষ নেই, কিভাবে ইনকাম করছেন বা এতো পয়সার উৎস কোথায়, তারো কোন ঠিক ঠিকানা নেই। আপনার কাছে আসলে হরতাল-অবরোধ হলেই কি বা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অতিরিক্ত বাড়লেই কি, কেননা আপনার তো এসব গায়ে লাগেনা। ঘুরে ফিরে দেখা যায়, সিন্ডিকেট গুলোর সঙ্গে আপনারা ওতপ্রোতভাবে জড়িত আছেন বা এসব নিয়ন্ত্রণ করেন আপনারাই।
এমতাবস্থায় আমরা যেমন ভারাক্রান্ত, তেমনটা বলা যায় অর্থনৈতিকভাবেও সাধারণ মানুষ অনেকটাই বিধ্বস্ত। এই স্বাধীন ভূখণ্ড আপনার বাপ-দাদার তো একার সম্পত্তি না, বলা যায় সকলের বেঁচে থাকার অধিকার আছে এখানে। খুব বেশি কিছু বলার বা চাওয়ার নেই, শুধু বলবো সাধারণ মানুষের জায়গায় নিজেকে একবার দাঁড় করিয়ে দেখুন, তাহলেই হয়তো বুঝতে পারবেন, কি চলছে পারিপার্শ্বিক অবস্থাতে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1720360537362690054?t=8GAImE2i8wQZyGUa0bdkaA&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বর্তমান পরিস্থিতিটা যা দাঁড়িয়েছে আসলেই রাস্তায় বের হলে মনে হয় জানটা হাতে নিয়েই বের হচ্ছি। বের তো হচ্ছি কিন্তু বাসায় ঢুকতে পারবো কিনা সেটা জানিনা। আর বাজারের কথা তো নাই বলি। মধ্যবিত্তদেরই চলতে এত কষ্ট হচ্ছে, দিনমজুরদের না জানি কি অবস্থা!! 😥
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সাধারণ মানুষের কথা ভাবলে, মাথা আরো অনেকটাই সঠিকভাবে কাজ করে না। খালি হতাশার ছাপ দেখতে পাই চোখে মুখে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদম পয়েন্টে কথা বলেছেন ভাই। রাজায় রাজায় যুদ্ধ করতেছে আর প্রাণ ওষ্ঠাগত আমাদের সাধারণ মানুষের।একদিকে ব্যবসা বাণিজ্য নেই অন্যদিকে দ্রব্যমূল্যের আকাশ ছোয়া দাম।প্রার্থনা করি পরিস্থিতি দ্রুতই স্বাভাবিক অবস্থায় ফরে আসুক।ধন্যবাদ বাস্তবতা তুলে ধরার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই স্বাভাবিক হওয়া দরকার সবকিছু এই মুহূর্তে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দেশের যে অবস্থা আমারও তাই মনে হয় ভাইয়া, রাস্তায় বের হলে মনে হয় জীবনটা হাতে নিয়ে বের হচ্ছি। কখন কি ঘটনা হয়ে যায় বলা যায়। ইতোমধ্যে দেখলাম অনেকেই আহত আবার নিহতও হয়েছে কয়েকজন! দেশের রাজনৈতিক অবস্থা যেমন গরম তেমনি পণ্য দ্রব্যের দামও গরম! সবই উর্ধ্বগতিতে আছে। মাঝে চিপায় পরে গেছে আমাদের মতো সাধারণ পাবলিক। হয়তো আমাদের দুঃখ দেখার বা কথা শোনার সময় তাদের নেই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তাই তো দেখছি ভাই, সময়টা আসলেই বেশ কঠিন যাচ্ছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই আজকে শপিং করতে নিউ মার্কেট গিয়েছিলাম ওয়াইফকে নিয়ে। আসা যাওয়ার পথে মনে মনে ভয় ছিলো কখন কি ঘটে যায়। আজকে আবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চরমোনাই এর মহাসমাবেশ ছিলো। সবমিলিয়ে কিছুটা আতঙ্কের মধ্যেই ছিলাম। আসলে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তার কোনো শেষ নেই। বেশিরভাগ মানুষ আর্থিক সংকটে পড়ে গিয়েছে। প্রতিটি জিনিসের দাম একেবারে আগুন। আজকে মাইকিং করে আমাদের এখানে ৬০০ টাকা কেজি গরুর মাংস বিক্রি করেছে, তবুও তেমন বিক্রি নেই। আসলে আমাদের দুঃখ দেখার কেউ নেই। সবাই আছে শুধু ক্ষমতা অর্জনের লড়াই নিয়ে। যাইহোক এমন সময়োপযোগী একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সাধারণ মানুষ খুবই কষ্ট করতেছে কিন্তু উপরে যে মানুষগুলি থাকে তারা তো শুধু বসে বসে মজা দেখে। দেশের যে কি অবস্থা হবে বলা যাচ্ছে না। সামনে নির্বাচন আমরা চাই সুষ্ঠু নির্বাচন। যেই হোক না কেন🥺 দেশটাকে যেন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা হয় ।দেশে যদি অবরোধ চলতে থাকে। যারা আমাদের মত মধ্যবিত্ত মানুষ কর্ম করে জীবন জীবিকা চালায়। তারা কিভাবে তাদের সংসার জীবনে অতিবাহিত করবে। হরতাল মিছিল এর মধ্যে তো কোন সাধারণ মানুষ গেলেই মারধর করা হচ্ছে। নির্দোষ মানুষকেও অনেক সময় পরিস্থিতির শিকার হতে হচ্ছে। ঠিক জীবনটা হাতে নিয়ে ঘুরতেছি আমরা। এখন সাধারণ মানুষকে পণ্য বানিয়ে ফেলছে। এই কথাটি সাথে আমি একমত।আমরা হয়তো বুঝতে পারতেছি না কিন্তু ঢাকায় যারা আছে এবং সাধারণ মানুষ যারা আছে আসলে তাদের জায়গায় দাঁড় করালে দেখা যাবে যে জীবন কতটা কঠিন,🥺🥺
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit