শৈশবের খেলার মাঠ

আগে যেখানটাতে দিনের বেশিরভাগ সময় কাটতো, সেখানে এখন আর যাওয়া হয়েই ওঠেনা। বলছি আমাদের এলাকার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কথা। বিশেষ করে মাধ্যমিকে পড়ার সময়, প্রচুর সময় কাটিয়েছি এই মাঠে।

যদিও আমি মাধ্যমিকে অন্যত্র পড়তাম, তবে তারপরেও যখনই এলাকায় আসতাম, তখন এই মাঠেই ছুটি যেতাম । বাল্যকালের বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হতো, তাছাড়া পাড়ার ছেলেরা মিলে ক্রিকেট ফুটবল খেলতাম এই মাঠে । সব মিলে সেই সময় গুলো এখন আর নেই, তবে অতীত স্মৃতি গুলো বেশ ভাবায় আমাকে।

ভিডিও লিংক

সেদিন যখন হুট করে দীর্ঘদিন পরে ইট পাথরের নগরীতে গিয়েছিলাম, তখন মুহূর্তেই ছুটে গিয়েছিলাম শৈশবের সেই স্কুল মাঠে। পড়ন্ত বেলায় একা একা বিচরণ করে বেরিয়েছে খেলার মাঠটার ভিতরে। পুরনো স্মৃতিগুলো যেন বারবার চোখের সামনে ভাসছিল, অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে, বিশেষ করে বড় রাস্তা সংস্করণের জন্য মাঠের অর্ধেক চলে গিয়েছে রাস্তার ভিতরে। আর যতটুকু অংশ এখনো জীবিত আছে , তাও প্রায় মৃতই বলা যায়।

কেননা মাঠটার হয়ে গিয়েছে বেহাল দশা , যে মাঠে আগে প্রতিনিয়তই খেলাধুলা লেগেই থাকতো, সেই মাঠ এখন সম্পূর্ণ ফাঁকা। নেই আগের মতো কোলাহল কিংবা ব্যস্ততা। আমার নিজেরই কত স্মৃতি জমিয়ে আছে এখানে, হঠাৎ বুকের ভেতর যেন হাহাকার করে উঠছিল, বারবার মনে পড়ছিল শৈশবের বন্ধুদের কথা , জীবন-জীবিকা সংসার নামক বেড়াজালে পড়ে সবকিছুতেই যেন দূরত্ব তৈরি হয়ে গিয়েছে হোক সেটা বন্ধুত্বে নতুবা সর্বক্ষেত্রে।

এখন আর চাইলেও আগের মত সবাই মিলে একত্রিত হওয়া যায় না, যায় না একসঙ্গে নিজেদের মতো করে সময় কাটানো, বড্ড ফ্যাকাসে হয়ে গিয়েছে জীবনটা, বাস্তবতার চাপে পড়ে যেন জীবনের সব শখ-আহ্লাদ শেষ হয়ে গিয়েছে।

কে কোথায় আছে, তাও সঠিকভাবে জানা হয়ে ওঠেনি, টুকটাক যে একটু কথা হয় তাও সেটা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। আর বাস্তবে দেখা-সাক্ষাৎ তা তো অনেকটা মরীচিকার মতো। সময় যেমন জীবন থেকে অনেক কিছু কেড়ে নিয়েছে, তেমনটা আবার অনেক কিছু দিয়েছে। তবে দেওয়া নেওয়ার ভিড়ে, যা হারিয়েছি তা হয়তো আর কখনো ফেরত পাবো না।

যারা আমার শৈশব জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল, তাদের জন্য অফুরন্ত ভালোবাসা রইলো। ভালো থাকিস তোরা নিজ নিজ অবস্থানে।

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht

|| Join the Discord Server for more Details ||

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy