সেলসম্যান || @shy-fox 10% beneficiary

in hive-129948 •  3 years ago 

হুট করে যখন পরিচিত মুখগুলোর দেখা হয়ে যায়, তখন একটা উষ্ণ অনুভুতি ভিতরে কাজ করে । এমনটা তো হওয়ার কথা ছিল না শাওনের, তবে আজ কেন তার এমন হচ্ছে । দীর্ঘ বার বছর অর্থাৎ যদি দিন হিসাব করা যায় তাহলে কিন্তু হয়তো তাৎক্ষণিক আপনি নিজেও হিসাবটা মিলাতে পারবেন না ।

Screenshot_20220310-165510_Messenger.jpg

এমনিতেই ছোট চাকুরী কিন্তু কাজের ব্যস্ততা অনেক । কোম্পানির চাকুরি গুলো অনেকটা এরকমই হয় । কোম্পানিকে গতিশীল রাখতে কর্মীদের উপর যেন মানবিকতার ব্যাপার গুলো ভুলে যায় কোম্পানির হর্তাকর্তারা । যারা কোম্পানির হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছে, তারাও যে রক্তে মাংসে গড়া মানুষ এবং তাদের ভিতরেও যে আবেগের সঞ্চার হয়, এই ব্যাপার গুলো ভুলে যায় কোম্পানি নামকরণ প্রতিষ্ঠাতারা ।

এ শহরে জীবনের থেকে জীবিকার মূল্য অনেক বেশি । এটা কেউ না মানলেও , শাওন এটা হারেহারে মানে ও ব্যাপারটা কে মাথার ভিতরে ভালোভাবেই আবদ্ধ করে রাখে । বার বছর পরের শাওনটা এখন অন্য ভাবে তৈরি হয়ে গিয়েছে।

তার এখন অনেক দায়িত্ব,কাঁধে তার লম্বা একটা ঝোলা ব্যাগ । তাতে কিছু কাগজ, কাগজগুলো কিন্তু যেনতেন কাগজ না । তাকে অর্ডার কাটতে হয়, পণ্য ডেলিভারি দিতে হয় এবং আবার নতুন অর্ডার নেওয়ার জন্য দোকানীকে আকুতি জানাতে হয় ।

20211119_161644-01.jpeg

বোবা শহরে কেউ কারো কথা শোনে না বা কেউ কারো কথা রাখে না । এ-শহর শুধু কাজ বোঝে , যে যত কাজ পারে তার কদর ততবেশি , যার কাজ নেই, সে অনেকটা আবর্জনার মত । খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে শাওন অনেকটাই এলোমেল ভাবছিল । জ্বলন্ত সিগারেটাতে কষা দুটো টান দিয়ে শাওন যেন অনেকটাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল।

বুক পকেট থেকে ছোট্ট একটা সাদা কাগজ বের করল এবং দেখে নিল তার গন্তব্য আজ কোন দিকে । বস তাকে ভালভাবে বলে দিয়েছে, শাওন আরো কিছু দোকান কাভার করো , আরো কিছু সেল বাড়াও। হয়তো তোমার প্রমোশনটা এই বারেই হয়ে যাবে । বিয়েটা নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না ।

20211119_163613-01.jpeg

শাওনের আজকাল বড্ড তেতো লাগে বসের কথাগুলো । শাওন জানে বস নিজেই আলাদা একটা চাপের ভিতরে আছে আর সেই চাপ ঝাড়ে শাওনের উপর । শাওন নিরুপায়, শাওন শুধু কথা হজম করে । পেটের তাগিদে শুধু কথাগুলো বাষ্প করে উড়ে দেয় ।

নদীর ওপারে নতুন একটা বাজার হয়েছে কিন্তু আজ পর্যন্ত শাওনের সেখানে যাওয়ার সময় হয়নি । বস কি আর সেই কথা মানবে । বস শুধু বলেই যাবে দোকান কাভার করো, দোকান কাভার করো । সেল বাড়াও আর সেল বাড়াও।

শাওনের মেজাজ আজ খুব ভালো । ঘুম থেকে উঠেই আয়নার দিকে যখন তাকালো, তখন বারবার নিজের চেহারাটা দেখছে । কানের উপরের পাশের কয়েকটা চুলে হালকা পাক ধরেছে । বয়স তো হয়ে যাচ্ছে , বয়স কি আর কোম্পানির গন্ডি বাঁধা দায়িত্ব বোঝে । যেটা জীবনের গতি , সেটা তো এগিয়েই যাবে । বিয়ে করুক আর না করুক, বয়স তো আর থেমে থাকবে না ।

পড়ন্ত বিকেলে যখন নদী পার হয়ে নতুন বাজার টাতে শাওন পা রাখল , তখন থেকেই হঠাৎ কেন জানি অস্থিরতা বোধ হচ্ছিল । সামনের কয়েকটা দোকানীর সঙ্গে কথা বলে যখন, শাওন বাজারের মাঝামাঝি এসেছে, তখন হুট করেই একটা দোকানের সাইনবোর্ডের দিকে তার নজর গেল। বেশ বড়সড় সাইনবোর্ডে লেখা বিপা ভ্যারাইটি স্টোর ।

20211119_163613-01.jpeg

বিপা নামের কেউ একজন শাওনের জীবনে ছিল। তবে সেই বিপা যে, এই শহরে বাস করছে তা কিন্তু শাওনের জানা ছিল না বা জানার কথাও না । এই শহরের অলিতে গলিতে হরেক রকমের মানুষ। এত মানুষের ভিড়ের মাঝে শাওন বিপাকে খুঁজে পাবে তা হয়তো শাওন কল্পনাও করতে পারেনি ।

ব্যাপারটা এমন ছিল সাইনবোর্ডটা দেখে যখন শাওনের আগ্রহ হলো সে ঐ দোকানীর সঙ্গে কথা বলবে । ঠিক সেই মুহূর্তে দোকানি তখন এক ভদ্রমহিলার সঙ্গে কথা বলছিল, কথাগুলো এমন ছিল , কিগো আর কতক্ষণ দেরি করবে বাবুর গুঁড়ো দুধ তো নিয়েছো, এখন না হয় বাড়ি যাও । শাওন ভদ্রমহিলার পিছন থেকে দাঁড়িয়ে কথা গুলো শুনে বুঝতে পারল । ভদ্রমহিলা আর অন্য কেউ না, ভদ্রমহিলা হচ্ছে সেই দোকানীর বউ ।

20211119_163647-01.jpeg

কথা শেষ না হতেই , শাওন দোকানী কে বলল । ভাই আমি অলিম্পিক কোম্পানি থেকে এসেছি, আমাদের নতুন বিস্কুটটা ভালোই। আপনি কি আমাদের পণ্যটা নিবেন । হুট করেই ভদ্রমহিলা পিছন দিকে তাকিয়েছে, শাওনের সঙ্গে তার চোখে চোখ পড়েছে ।

সেকি চাহনি হয়তো কয়েক সেকেন্ডের দেখা তারপরেও যেন শাওন চোখ ফেলতে পারছে না। শাওন অনেকটাই বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে । দোকানী সোজাসুজি বলে দিল, আমার আর নতুন পণ্য লাগবে না । আগের গুলো বিক্রি করেই শেষ করতে পারছিনা, আপনি এখন যানতো ।

20211119_163650-01.jpeg

বুকের মাঝে চিনচিন ব্যথা শাওনের আগে কখনো অনুভব হয়নি কিন্তু দীর্ঘ বার বছর পরে যে ধাক্কা সে খেলো সেটা অনেকটাই অসহনীয় ছিল । শাওন ফিরে যাচ্ছে কিন্তু হুট করেই পিছন থেকে সেই চিরচেনা ডাক এলো । শাওন সাহেব, কিছু না হয় বিস্কুট দিয়েই যান । দোকানী বিপাকে বলল, তুমি ভদ্রলোককে চেনো নাকি । বিপা বলল , তুমি তার বিস্কুট নিয়ে নাও । ঐদিকে বাবু বাড়িতে একা আছে, আমাকে যেতে হবে ।।

Banner.png

ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
অসাধারণ গল্প লিখছেন ভাই, শাওনের মতো হাজার হাজার মানুষ বসের তেড়া কথা শুনেও শুধুমাত্র জীবিকার তাগিদে এই সব নিম্ন মানের কাজ করে। এই শহর সত্যি শুধ কাজ চেনে। কাজ ছাড়া এখানে কারো দাম নেই।
বিশেষ করে, লাস্টের পার্ট পড়ে খুবই কষ্ট লাগলো। ভালোবাসার মানুষ আজ অন্যের ঘরের বউ। এমন পরিস্থিতি যাতে কারো জীবনে না আসে। এটা খুবই কষ্টের। এখানে শাওন বীপা দুই জনই কষ্ট পেয়েছে। তবে দুই জনই কষ্ট চেপে রেখেছে।
আমাদের সমাজের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে খুবই সুন্দর একটা গল্প লিখছেন। আপনার লেখা পড়ে খুবই ভালো লাগে। আর ঘটনাগুলো ইউনিক। ধন্যবাদ ভাই। 💕💕
আপনার গল্পের হিরো যেমন শাওন।এরকম হাজারো শাওনের গল্প আমি জানি।খুব কাছ থেকে এদের দেখার সৌভাগ্য হয়েছে বারংবার।এরা সকালবেলা উঠিয়ে বাসায় রেডি হয়ে চা খাওয়ার সময় পান না।হাতে ব্যাগ নিয়ে লক্ষ্য পূরণের জন্য ছুটে বেরিয়ে পড়ে।বাইরে এসে বাসের জন্য অপেক্ষা করে আর চায়ের দোকানে একটি বিস্কুট এক কাপ লাল চা খেয়ে কাজে জয়েন করে।আর অন্য কলিগদের সাথে নিজের হতাশার কথা গুলো শেয়ার করে।তাদের মন মেজাজ সবসময় হট থাকে।
এই শাওন দের মত কোন এক সময় আমিও সকালবেলা বেরিয়ে পড়তাম কাজে।তাদের কথাগুলো শুনতে পেতাম।প্রতিদিন বাড়ছে এবং অটো সিএনজি তে যখন বের হতাম তখন তারাও পাশে বসে থাকতো তাদের কথাগুলো খুব কাছে থেকে শুনেছি আসলেই ঠিকই বলেছেন ভাইয়া জীবনের চেয়ে জিবিকার মূল্য বেশি।♥♥

বোবা শহরে কেউ কারো কথা শোনে না বা কেউ কারো কথা রাখে না ।

অসাধারন লিখেছেন ভাইয়া। আপনার লেখাগুলো যতই পড়ি ততই মুগ্ধ হয়ে যাই। আসলে কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যার লেখা পড়লে মুগ্ধতা দিনে দিনে আরও বেড়ে যায়। সত্যি কথা বলতে কাল্পনিক গল্প হলেও আমাদের জীবনের গল্প গুলোর সাথে অনেক মিল রয়েছে। একটি সেলসম্যানের জীবন কাহিনী খুবই সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। বোবা শহরে ইট-পাথরের চার দেয়ালের মাঝে সবাই যে যার মত। কেউ কারো কথা শোনে না। যে যার মতো তাদের কর্মব্যস্ত জীবনে ব্যস্ত সময় পার করে। হয়তো সেই কর্মব্যস্ততার মাঝে হঠাৎ করে সেই প্রিয় মানুষের মুখ চোখে পড়ে এবং চোখে চোখে কিছু কথা হয়। হয়তোবা সেই মুহূর্ত অনাকাঙ্ক্ষিত। তবুও আমরা মাঝে মাঝে এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে যাই। আসলে আমাদের জীবনে সবকিছুই বিচিত্র রকমের। আপনি শাওন সাহেবের গল্পের মধ্য দিয়ে হাজারো সেলসম্যানের জীবনের গল্প তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া অসম্ভব সুন্দর ভাবে আপনার এই লেখাগুলো সকলের মাঝে শেয়ার করেছেন এবং আমাদেরকে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। সেই সাথে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া।

চেষ্টা করছি ভাই পারিপার্শ্বিক অবস্থা নিয়ে একটু লেখালেখি করার জন্য। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

এ শহরে জীবনের থেকে জীবিকার মূল্য অনেক বেশি ।

ভাইয়া আপনার লিখনী সবসময় আমাকে মুগ্ধ করে । অসাধারণ লিখনী আপনার। আসলে ভাইয়া আমি যখন আপনার লেখাগুলো পড়ি তখন বারবার মনে হয় আমি যেন কোনো প্রফেশনাল রাইটারের লেখা পড়ছি। অসাধারণ লিখেন আপনি। আসলে একজন সেলসম্যান তার মনের কথাগুলো হয়তো ব্যক্ত করতে পারেনা। আপনি আপনার এই লিখনীর মাঝে একজন সেলসম্যান এর আত্মকথা তুলে ধরেছেন। হয়তো এভাবেই একজন সেলসম্যান তার জীবন থেকে হারিয়ে ফেলে তার ভালোবাসার সেই প্রিয় মানুষটিকে। হয়তো এভাবেই হঠাৎ করে আবার তাদের চোখ চোখ পড়ে যায় ও ভিন্ন অনুভূতি সৃষ্টি হয়। এভাবেই হয়তো একটি সেলসম্যানের জীবন অতিবাহিত হয়। অসাধারণ লিখনী সকলের মাঝে উপহার দিয়েছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।

পাঠকের সন্তুষ্টি লেখকের আত্মতৃপ্তির বহিঃপ্রকাশ। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।

আসলেই এ শহরে জীবনের চেয়ে জীবিকার দাম বেশি।
ভাইয়া আপনার এমন গল্প লিখাগুলো আরো চাই।

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

বোবা শহরে কেউ কারো কথা শোনে না বা কেউ কারো কথা রাখে না।

ভাই আসলেই বোবা শহরে কেউ কারো কথা শোনে না। কেউ কারো কান্না শুনে না। সকলেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। আপনার পোস্টটি পড়ে আজকে আমার খুবই খারাপ লাগলো। আসলে আমরা মানুষ এরকমই কারো। কষ্টকে কষ্ট মনে করি না। বিশেষ করে কোম্পানির চাকরি গুলো আরো এরকম। তারা মানুষকে মানুষই মনে করে না। তারা শুধু তাদের কর্মকে দেখে। কিভাবে তারা কর্মে উন্নতি করবে।কিন্তু একটা মানুষকে এত যে কষ্ট এত চাপের মধ্যে কাজ করে সেটা তারা ভুলে যা।য় আসলে কোম্পানিগুলো তাদের নিজেদের লাভের জন্য একটি মানুষকে মানসিকভাবে কাজ করায়। যা সত্যিই অনেক কষ্টের। কিন্তু কি করবে পেটের দায়ে এই কষ্ট মেনে নিতে হয়। শাওনের কষ্ট গুলো দেখে খুবই খারাপ লাগলো। আসলে একজন সেলসম্যান খুবই কষ্ট করে। প্রোডাক্ট সেল করার জন্য কিন্তু যখন তার মুখে অনেক কষ্ট নিয়ে দোকানদার কাছ থেকে প্রোডাক্ট না সেল দিতে চলে যেতে হয়।তখন খুবই খারাপ লাগে। আসলে শাওনের জীবনের গল্পটা পড়ে খুবই খারাপ লাগলো। আসলে আমরা প্রতিটা মানুষ নিজেদের দায়িত্ব পালনে হাজার কষ্ট বুকে চাপা দিয়ে কাজ করি। মানুষ এরকমই তার দায়িত্বকে রক্ষা করতে অনেক ত্যাগ স্বীকার করে। যাই হোক আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। এই পোস্টটি একদম বাস্তব যা আমাদের সমাজে প্রতিনিয়ত ঘটছে এরকম ঘটনা। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।

জীবন এটাই ভাই এবং আশেপাশের অবস্থা দেখছি আর শিখছি । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

ভাই আপনি গল্পের মাধ্যমে মানুষের কঠিন বাস্তবতার চিত্র তুলে ধরেছেন। সোনার চামচ মুখে নিয়ে যারা জন্ম গ্রহণ করেনি কিংবা অভাব যাদের নিত্যসঙ্গী তাদের কাছে জীবনটা এমনই কঠিন। ভালবাসার মানুষগুলো হয়ে যায় অন্যের। তবে সত্যি কথা বলতে কি গল্পপড়তে ইদানীং আর ভালো লাগেনা। আমার কাছে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে লেখা গুলোই বেশি আকর্ষণীয় মনে হয়। শুভকামনা রইল আপনার জন্য

চেষ্টা করছি পাঠকের সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

আগেরদিন বলেছিলাম আপনার প্রত‍্যেকটা লেখা এককথায় অসাধারণ। শেষ হয়েও যেন শেষ না। পড়ে যেন তৃপ্তি মেটে না। আমাদের সমাজে এমন শত শত শাওন ঘুরে বেড়াচ্ছে। সব শাওনেরই একদিন তার বীপার সাথে দেখা হয় এইরকম পরিস্থিতিতে। যাইহোক অসাধারণ ভাবে গল্পটা ফুটিয়ে তুলেছেন ভাই।

চেষ্টা করছি ভাই পারিপার্শ্বিক অবস্থা তুলে ধরার জন্য। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

আমি আপনার থেকে গল্প বলব না আমি মনে করি এটা সম্পন্ন একটা বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন প্রিয় ভাই। পৃথিবীটা দেখতে অনেক বড় মনে হলেও পৃথিবীটা অনেক ছোটো কখন কার সাথে দেখা হয়ে যায় তা বলা যায় না । অল্পের মধ্যে আপনার গল্পটি অনেক সুন্দর ছিল ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।

কাজের কথা বলতে গেলে নিজের পরিবারের দিকে আমরা যদি একটু নজর দেই ভালো উপার্জন থাকলে সবাই সেই ছেলেটাকে কত আদর করে ।আর যখন সেই ছেলেটা অনেক চেষ্টা করে একটি চাকরির জন্য কেন চাকরি হয় না তখন সবাই অবহেলা করে যায়। যাই হোক সবশেষে আসলে কিছু বলার নেই এই বিষয়ে।

পাঠকের সন্তুষ্টি লেখকের আত্মতৃপ্তি বহিঃপ্রকাশ। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।

ভালোবাসা বড় নিষ্ঠুর, হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসা যখন সামনে এসে দাঁড়ায় বা চোখে পড়ে তখন ব্যথাটা বুকের ভেতর থেকে হয়। বাকরুদ্ধ হয়ে যায়, বোঝানোর মতো ও নয়। তবে পৃথিবীটা অনেক গোল দেখা হওয়াটা স্বাভাবিক। যদিও আপনার গল্প তবে কেন জানি মনে হচ্ছে বাস্তবিক কোন ঘটনা, সত্যি কোম্পানির বড় কর্মকর্তারা তারা জানেই না যে মানুষ নামের লোক গুলো তাদের অধীনে কাজ করে। তাদের শুধু একটাই কথা কাজ যে যত ভাল পারে তারই নামটা বেশি যপে। আপনার এত সুন্দর একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন।

পারিপার্শ্বিক অবস্থা খুবই জটিল। তাই চেষ্টা করছি সরল মনে সে গুলো পাঠকদের সামনে তুলে ধরার জন্য। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

ভালো ছিলো গল্পটা,, ভাইয়া।মাঝে মাঝে ছোট ছোট গল্প পড়তে ভালোই লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার বাস্তবিক গল্পগুলো পড়ে খুব ভালো লাগে শাওনের গল্প শুনে খুব খারাপ লাগলো ভাইয়া। কিন্তু কিছুই করার নেই বাস্তবতার কাছে হার মানতে হবে কারণ বাস্তবতা বড় কঠিন। আপনি বরাবর বাস্তবমুখী বিষয়গুলো তুলে ধরেন এই জন্য খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি বাস্তব গল্প তুলে ধরার জন্য।

আসলে ভাই আপনার লেখার ভিতর একটা ভাবার্থ আছে। গতকাল আপনার একটা পোস্ট করেছিলাম অনেক ভাল লেগেছে আমার কাছে। আসলে ভাইয়ের দুনিয়াটা বড় মনে হলেও আসলে অনেক ছোট। দিনশেষে দেখবেন যে সবার সাথেই দেখা হয়ে যায়। আপনার এরকম বাস্তবধর্মী গল্প গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। কারণ শেষে এক ধরনের টুইস্ট রাখেন। যাকে বলা হয় শেষ হয়েও হইল না শেষ। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য এত সুন্দর একটা গল্প আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য।

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালোবাসা অবিরাম।