হঠাৎই গিয়েছিলাম আত্মীয়ের বাড়িতে

in hive-129948 •  3 months ago 

গতকাল গিয়েছিলাম এক আত্মীয়ের বাড়িতে। এমনিতেই শুক্রবার, তার ভিতরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল মোটামুটি শুয়ে বসেই দিনটা কাটছিল। খুব একটা চাপ ছিল না নিজের কাছে, তবে পড়ন্ত বেলায় এসে একটা সংবাদ শুনে মনটা কিছুটা বিষণ্ণতায় ভরে উঠেছিল।

1000029830.jpg

1000029829.jpg

1000029825.jpg

1000029828.jpg

1000029831.jpg

1000029827.jpg

1000029826.jpg

1000029832.jpg

1000029833.jpg

1000029834.jpg

মোটরসাইকেলের প্রতি উঠতি বয়সী তরুণদের আলাদা একটা দুর্বলতা প্রতিনিয়তই কাজ করে, এতে চড়ে খুব সহজেই ঘুরে বেড়ানো যায় তো, তাই সবার পছন্দের তালিকায় মোটরসাইকেল থাকে একদম শীর্ষে। আমার আত্মীয়ের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই হয়েছিল, তবে হঠাৎই আকস্মিক দুর্ঘটনার কারণে সবকিছু যেন কিছুটা এলোমেলো হয়ে গিয়েছে।

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ব্যাপারটা বড্ড দুঃখজনক, এতে যে কি পরিমাণ শরীরের উপর দিয়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায়, তা যারা এ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে কিংবা এই দুর্ঘটনাগুলো স্বচক্ষে দেখেছে, তারা তা বেশ ভালোভাবে জানে।

আমার আত্মীয় অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছে। মনে হয় না, সে আর কখনো মোটরসাইকেলের প্রতি আগ্রহ দেখাবে। গতকাল পড়ন্ত বেলায় গিয়েছিলাম তাকে দেখতে। যেহেতু, যে জায়গাটাতে আছি সেখান থেকে তাদের বাড়ির দূরত্ব খুবই স্বল্প, তাই যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছিলাম। তাছাড়া একটা বিষয় খেয়াল করে দেখবেন, আত্মীয় স্বজনের ভিতরে যদি কেউ ডাক্তারি পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকে, তখন তার সঙ্গে মাঝে মাঝেই সবাই শলা-পরামর্শ করতে চায়।

ভ্যানে চড়ে পুরো পরিবার নিয়ে সেখানে গিয়েছিলাম, বেশ ভালই উপভোগ করছিলাম পড়ন্ত বেলার আবহাওয়া। এমনিতেই সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে, তার ভিতরে শেষ বিকেলে হালকা রোদ উঠেছিল। সব মিলে দারুণ উপভোগ করছিলাম সময়টা।

অতঃপর আত্মীয়ের বাড়িতে পৌঁছে তাদের সঙ্গে কথা বলে, সব কিছু বোঝানোর চেষ্টা করলাম। দেখার চেষ্টা করলাম প্রেসক্রিপশনটা, সবকিছু ঠিকঠাক লাগলো। ঐ হাতে পায়ে একটু ছিলে গিয়েছে আর কিছু জায়গায় কাটাছেঁড়া। হেলমেট ছিল বিধায় মাথায় তেমনটা আঘাত পায়নি, নইলে বড্ড ক্ষতি হয়ে যেত।

তাদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কখন যে সন্ধ্যে হয়ে গিয়েছিল, তা আর খেয়াল করে উঠতে পারিনি। বড্ড অনুরোধ করছিল থেকে যাওয়ার জন্য, তবে সেই সুযোগ আমার কই বলুন। অতঃপর আবারও বাড়ির উদ্দেশ্যে ফেরত চলে আসলাম। এভাবেই কেটে গিয়েছিল গতকালকের সময়টা।

1000020537.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আসলেই মোটর সাইকেলের প্রতি আগ্রহ প্রায় প্রতিটি মানুষের।আর সাইকেলের দুর্ঘটনায় ঘটছে বেশিরভাগ। আত্মীয়র মধ্যে অসুস্থ থাকলে, বেশ খারাপ লাগে। ভালোই হলো সবাই কে নিয়ে রোগী দেখতে গিয়েছেন।

শুধু মোটরসাইকেল না, প্রায় সব রকম যানবাহনের দুর্ঘটনা প্রায়ই হচ্ছে, প্রতিটি দুর্ঘটনাই দুঃখজনক।

আসলে মটরসাইকেল পোষা তো আর হাতি পোষার মত না৷ মানে ওই চারচাকা পোষার কথা বলছি৷ তাই আজকাল সবাই দেখি কিছু হোক না হোক একটা মোটরসাইকেল কিনে নেয়। আপনার আত্মীয়র দ্রুত আরোগ্য কামনা করি৷

আপনার লেখা ছাড়াও ছবিগুলিতে যে গ্রামীণ রাস্তাগুলো রয়েছে তা আমার ছোটবেলায় আমার গ্রামের রাস্তার মতো অনেকটা৷ উঠোনের আম গাছে আম ঝুলছে দেখে বাড়ি মনে পড়ে। গ্রামের প্রকৃতি কত নির্মল।

ভালো লাগল পোস্টটি।

আমার দু চাকা নেই কিংবা চার চাকা নেই, তাই আমার এসবের অভিজ্ঞতা বরাবরের মতই শূন্য।

বাহ! গ্রাম বাংলার মাঠঘাট প্রকৃতির দিকে যত তাকাই তত মায়ায় পড়ে যাই। কি অপরূপ সৌন্দর্য, সরল নির্ঝঞ্ঝাট প্রকৃতি বাংলার ভূখণ্ডে পড়েছে, এ নিশ্চয়ই সৃষ্টিকর্তার অনন্য দান, যার ফলে সৌন্দর্যের কোন কমতি নেই।
আত্নীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার দিনটি নিশ্চয়ই আনন্দে কেটেছে আপনার, তবে ব্যস্ত মানুষের আবার তেমন আনন্দে সময় পার করার জো থাকে না।

কারণ এক দিকে জরুরি কাজের তাগিদ আর অন্যদিকে স্বজনের অনুরোধ যেন কিছুদিন থেকে যাওয়া যায়। এমন দ্বিধায় কি আর সুখে থাকা যায়? হা হা হা।

ভালো থাকবেন৷

দয়াকরে পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ুন তারপর মন্তব্য করিয়েন, ধন্যবাদ।

উঠতি বয়সী তরুণ রা বাইক পেলে যেন তাদের মাথায় ভুত চড়ে বসে। প্রচণ্ড গতিতে বাইক ড্রাইভ করে তারা। ফলে এইরকম দূর্ঘটনার স্বীকার হয়। তবে খুব বেশি আহত হয়নি শুনে ভালো লাগল। পরিবার নিয়ে বাইরে যেহেতু গিয়েছিলেন বাইরে পরিবেশ টাও বেশ উপভোগ করেছেন দেখছি।

এটা সত্য যে, অতিরিক্ত গতির কারণে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে যায়।

বাইক এক্সিডেন্ট আসলেই মারাত্মক। আমি স্বচক্ষে বেশ কয়েকটি মর্মান্তিক বাইক এক্সিডেন্ট দেখেছি। যাইহোক আপনার আত্মীয় বাইক এক্সিডেন্ট করার পরেও খুব বেশি সমস্যা হয়নি, এটা জেনে ভালো লাগলো ভাই। আপনার আত্মীয়ের গ্রামটা তো দেখছি আসলেই বেশ সুন্দর। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

আসলেই গ্রামটা অনেক সুন্দর, বিশেষ করে সেদিনের পরিবেশ ছিল অনেকটাই উপভোগ্য, দারুণ কেটেছিল আমার সময়টা।

সত্যিই এক একটি মোটর সাইকেল দুর্ঘটনা একটি পরিবারকে একদম শেষ করে দেয়। নিজে চোখে দেখেছি৷ নিজে বাইক চালাই বহুদিন। অতি সাবধানে চালালেও মাঝেমাঝে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছি। একবার এমন দুর্ঘটনাগ্রস্থ হয়েছিলাম যে রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ সেবা করে ছেড়েছিল। আসলে এই ব্যালান্সের গাড়িটি যে সাবধানতা দাবী করে, আমরা সবসময় সেটি অবলম্বন করে উঠতে পারি না। তাই এমন ঘটে। তবু ইয়াং প্রজন্মকে সাবধান হতে বলি। অযথা স্পিডে চালানোর চিন্তা সবকিছু শেষ করে দেয়। আপনি যথাযথ ভাবে সেই দিকগুলো নিয়ে লিখলেন৷ আপনার আত্মীয় যে অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন, এটাই ওপরওয়ালার আশীর্বাদ। সকলে ভালো থাকুন।

আপনার অভিজ্ঞতা জেনে কিছুটা খারাপ লাগলো, নিজে সর্বদা নিরাপদে মোটরবাইক রাইড করবেন, এই কামনা করছি। আপনার মন্তব্যের শেষের দিকের কথাগুলো আমার ভালো লেগেছে, শুভেচ্ছা রইল।