অবশেষে দাওয়াতে গেলাম

source

সকালবেলা ঘুমটা ভেঙেছে হালিম ভাইয়ের ফোনের মাধ্যমে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে সে বার বার বলছে, দুপুর দুইটার মধ্যে কিন্তু বাড়িতে চলে আসতে হবে। আজ আমার মেয়ের বিয়ে, আপনার কি মনে আছে?

হালিম ভাই কে সম্ভবত আপনারা আমার অনেক ভিডিওতেই দেখেছেন, যার ভ্যান গাড়িতে চড়ে আমি এই গ্রামীণ এলাকায় এদিক-সেদিক প্রতিনিয়ত ঘুরে বেড়াই। এটা অবশ্যই আমার দায়িত্বের ভিতরে পড়ে, এর আগেও সে একদিন আমার বাড়িতে এসেছিল। আজ আবার ফোন করেছে, আমি তাকে ফোনে বলেই ফেললাম সমস্যা নেই ভাই, যথাসময়ে আমি পৌঁছে যাবো।

হীরাকে বলাতেই, ও বেশ ভীষণ খুশি হয়ে গিয়েছে। মেয়ে মানুষের এই একটা স্বভাব, কোন জায়গায় দাওয়াতে যাওয়ার কথা শুনলেই সদা নিজেকে প্রস্তুত করে রাখে। বারবার হীরা বলছিল আমাকে, শাড়ি পড়ে যাবে নাকি অন্য কিছু।

আমি সত্যিই সাজ-গোছের ব্যাপারে এত কিছুই জানিনা। আমি শুধু বললাম তোমার যা ভাল মনে হয়,সেভাবেই প্রস্তুত হও আর আমার বিষয়টা নিয়ে খুব একটা ভাবতে হবে না, কালো ট্রাউজারটা দিও আর সঙ্গে একটা গেঞ্জি হলেই হবে। আমাদের এ কাহিনী দেখে, আমার ছোট শালী আবার আমাদের সঙ্গে যাওয়ার জন্য বায়না ধরেছে।

এখন যখন লিখছি, তখন মোটামুটি বেশ ভালই ক্ষুধার্ত আমি। যেহেতু দাওয়াত খেতে যাব তাই আর নিজের বাড়িতে খেলাম না, কেননা আমি জানি এখন সেখানে গিয়েই খেতে বসবো।

তাই অবশেষে সবাই মিলে প্রস্তুতি নিয়ে সোজা গেলে চলে গেলাম পার্শ্ববর্তী গ্রামে। বেশ ভালই সাজানো হয়েছে বাড়িটা। যেহেতু হালিম ভাইয়ের ছোট মেয়ের বিয়ে, তাই তার সামর্থ্য অনুযায়ী সবাইকে চেষ্টা করছে ভালোভাবে আপ্যায়ন করার জন্য। আমাকে দেখে ভাই বেশ খুশি হয়েছে।

ভাইয়ের সাথে কুশল বিনিময় করে অবশেষে সোজা গিয়ে বসলাম খাবার টেবিলে, রকমারি গরম খাবার গুলো থেকে যেন সুস্বাদু ঘ্রাণ বের হচ্ছিল, প্লেটে দেওয়া মাত্রই জলদি পেট ভরে খেয়ে ফেললাম। এমনিতেই অভুক্ত ছিলাম, তার ভিতরে এমন খাবার গুলো খেয়ে বড্ড তৃপ্তি পেয়েছি।

সবমিলিয়ে যদি বলতেই হয় সময়টা বেশ ভালো কাটলো এই দুপুর বেলায়। হালিম ভাইয়ের মেয়ের নতুন জীবনের জন্য আশীর্বাদ করলাম। ওদের দাম্পত্য জীবন সুখের হোক। এই বলে, আপাতত বিদায় নিলাম।

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht

|| Join the Discord Server for more Details ||

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy