অস্বস্তিকর অবস্থা

ঈদের পরেই গ্রামের বাড়িতে এসেছি, মূলত গ্রামের বাড়িটা ঠিকঠাক করার জন্য। কেননা গ্রামের বাড়িটা ঠিকঠাক করে স্থায়ীভাবে গ্রামেই থেকে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। এটা হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন, বিগত সময়েও বলেছিলাম। তবে এখানে আসার পর থেকে প্রতিনিয়ত ভিন্ন রকম অভিজ্ঞতার সম্মুখীন আমাকে হতে হচ্ছে।

দুঃখের বিষয় হচ্ছে, এ গ্রামে সবথেকে শিক্ষিত মানুষ বেশি, তারপরেও তারা আসলে কতটুকু সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছে এটা নিয়ে ভাবতে গেলে আমি মাঝে মাঝে বড্ড গুলিয়ে যাই। এখানকার সকলের বাড়ি ঘর বেশ ঠিকঠাক তবে রাস্তাঘাটের অবস্থা একদম নাজুক। মূলত এখানকার লোকজন অনেকেই গ্রাম থেকে চাকরির সুবাদে বাহিরে চলে গিয়েছে। শুধুমাত্র গ্রামে থাকা মানুষজন পড়ে গিয়েছে বিপদে। এদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কেউ যে একটু জোরালো ভাবে কথা বলবে, এমন অবস্থা একদম নেই।

যেহেতু আমার দীর্ঘ সময় কখনো একটানা গ্রামে থাকা হয়নি, তাই মোটামুটি এই সময়ে এসে এখানকার প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আমি তেমনটা জানতাম না। তবে বিগত কয়েকদিনে রাস্তাঘাটের অবস্থা দেখে যে পরিমাণ অভিজ্ঞতা হয়েছে তা আসলে আমাকে মানসিকভাবে বেশ আহত করেছে। প্রতিনিয়তই স্থানীয় লোকজনদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছিলাম, এই সমস্যার সমাধানের জন্য।

কেননা আমার মত ভুক্তভোগী তারা নিজেরাও, তবে লোক লজ্জার ভয়ে তারা কিছুই বলতে পারছিল না। তাছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আচার ব্যবহার সম্পর্কে আপনার তো সকলেই অবগত, তা নিয়ে আর নতুন করে কিছু বলতে চাই না। আমি খুব করে চাচ্ছিলাম, এই সমস্যাগুলোর ফুটেজ উপমহল দেখুক।

ভিডিও লিংক

এসব নিয়ে বিগত সময় থেকেই লেখালেখি করেছিলাম, তবে তেমনটা কাজ হয়নি। অবশেষে গতকাল ঘুম থেকে ওঠার পরে দেখি এলাকার লোকজন সকলে নিজেরাই রাস্তা পরিষ্কারের কাজে নেমে পড়েছে, আমি তাদের সঙ্গে কথা বলে সেই ভিডিও ফুটেজ ধারণ করে সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেছি।

শুধু আমি একাই এই কাজটা করিনি, আমার দেখাদেখি আরো সকলেই যে যার অবস্থান থেকে ভিডিও ধারণ করে তাদের নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইলে শেয়ার করেছিল। যাক, এবার আশা করা যায় কাজ হবে। কেননা তাৎক্ষণিক, স্থানীয় সংসদ সদস্য ভিডিও কলে যোগাযোগ করেছিল সকলের সঙ্গে এবং তিনি নিজে আশ্বস্ত করেছেন খুব দ্রুত এর প্রতিকার করার।

আমি কোন কিছুতেই নিজের ক্রেডিট নিতে চাই না, এটা ভালো লাগেনা। দিনশেষে সমস্যার সমাধান হওয়াই মুখ্য বিষয়। এই যে অস্বস্তিকর অবস্থা এখানে সৃষ্টি হয়েছে, এখানকার লোকজন চাইলেই কিন্তু বহু আগেই এটা নিরসন করতে পারত। শুধুমাত্র মাথায় বুদ্ধি ঢোকেনি কিংবা সদিচ্ছা প্রকাশ করেনি।

এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে এসে নিজেরদের সমস্যাগুলো নিয়ে এখন কারো পিছনে ঘোরাঘুরি করার সময় নেই বরং নিজেদের সমস্যা যদি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভালোভাবে তুলে ধরা যায় এবং সেখানে যদি সকলের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন থাকে, তাহলে দেখবেন কাজ অটোমেটিক হয়ে গিয়েছে।

এখানে হয়তো আপনাদের মতভেদ থাকতেই পারে, তবে গতকাল নিজের থেকে এটার চাক্ষুষ প্রমাণ পেয়েছি তো, তাই সেই অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু কথা লিখে ফেললাম।

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht

|| Join the Discord Server for more Details ||

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy