ছুটির দিনে বাসায় বিরিয়ানি খাওয়ার অভিজ্ঞতা

in hive-129948 •  10 months ago 

biriyani-7599454_1280.jpg
source

সম্ভবত শেষ দেড় মাস আগে একবার বিরিয়ানি খেয়েছিলাম, তাও সেটা বগুড়ায় গিয়ে। তারপর আর খাওয়া হয়ে ওঠেনি। তাছাড়া বিরিয়ানি রান্না করতে, যে উপকরণ গুলোর দরকার হয় সেগুলো মোটামুটি ক্রয় ক্ষমতার ঊর্ধ্বে। এটা যদি মানতে আপনার অসুবিধা হয়, তাহলে আমার করার কিছু নেই। আমার জায়গা থেকে সত্যিটা অবলীলায় বলে দিলাম।

হয়তো দুটো মানুষের জন্য চাইলেই বন্দোবস্ত করা যাবে, তবে যেহেতু বাসায় আরো লোকজন থাকে,তাই সবাইকে নিয়ে চিন্তা করলে, এমন আয়োজন এখন একটু খরচ সাপেক্ষ।

মূলত গতকাল আমার ছোট ভাইয়ের প্রথম বিবাহ বার্ষিকী ছিল, তাই আয়োজনটা হয়তো সম্ভব হয়েছে এই উপলক্ষকে কেন্দ্র করেই। তখনও আমি ঘুম থেকে উঠি নি, তবে বিরিয়ানির গন্ধ যখন তীব্রভাবে ছুটে আসছিলো নাকে, তখন দ্রুত ঘুম থেকে উঠে পড়েছি। অনুমান করার চেষ্টা করছিলাম, আসলে রান্নাটা কোথায় হচ্ছে। কারণ আশেপাশে এত বাসা বাড়ি, হুটহাট কার বাসায় কখন কি রান্না হয়, তা তো বলা মুশকিল।

অতঃপর বুঝতে পারলাম এই গন্ধ মূলত আমাদের রান্নাঘর থেকেই আসছে। তাৎক্ষণিক পেটের ভিতরে যেন মনে হয় এক প্রকার যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল । কোন রকমে সেখানে গিয়ে দেখার চেষ্টা করলাম ঘটনা কি। বাহ্,দারুন তো। কাচ্চি বিরিয়ানি রান্না হচ্ছে আজ বাসায়। ব্যাপারটা ভাবতেই যেন, ক্ষুধা আরও বাড়িয়ে গেল।

অবশেষে মুখ হাত ধুয়ে, খাবার টেবিলের উদ্দেশ্যে যখন যাবো তখনই গিন্নি বলে বসলো, এখনো আধা ঘন্টার বেশি সময় লাগবে। এতোটুকু সময় যেন আমি ধৈর্য ধরি। গিন্নির এমন প্রস্তাব আসলে প্রত্যাখ্যান করা খুবই কঠিন। তবে যেহেতু বলেই দিয়েছে, তাই নিজেকে শান্ত করে ফেললাম।

একটা বিষয় খেয়াল করে দেখবেন, যখন আপনি অতিরিক্ত ক্ষুধার্ত থাকবেন তখন কিন্তু সময়গুলো কাটতে চায় না, মানে ক্রমাগত স্বল্প সময় গুলো আরো যেন দীর্ঘ হতে থাকে। যাক অবশেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ চলেই আসলো, খাবার টেবিলে বসে আছি আর আমার চোখের সামনে প্লেট ভরা কাচ্চি বিরিয়ানি।

মনে মনে আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তুলছি। সে কি গন্ধ, এমন অবস্থায় খাবার সামনে রেখে সময় অপচয় করা নিতান্তই বোকামি। অবশেষে পরিমাণ মতো খেয়ে ফেললাম। বলা যায়, একটু বেশিই খেয়ে ফেলেছি পরিমানে। যেহেতু দীর্ঘ অনেকটা দিন পরে বিরিয়ানি খেলাম, তাই এই অনুভূতি ছিল কিছুটা অন্যরকম। সব মিলিয়ে মনে মনে ধন্যবাদ দিচ্ছিলাম গিন্নিকে, এই অভুক্ত মানুষকে বিরিয়ানি রান্না করে খাওয়ানোর জন্য।

Banner-16.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

সত্যি ভাইয়া বর্তমান সব কিছু যেহারে দাম ক্রয় ক্ষমতার উর্ধ্বে। তবে বাসা বাড়িতে লোকজন কম থাকে বিধায় সত্যি খাওয়ার মতো অবস্থা থাকে। কিন্তু সবাইকে নিয়ে খেতে গেলে সত্যি সহজে খাওয়া হয়ে উঠে না।আপনার বিরিয়ানি খাওয়া দেখে লোভ লেগে গেল। আসলে বিরিয়ানি ঘ্রাণ পেলে ক্ষুধা আরো বেড়ে যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো।

এটা একদম ঠিক বলেছেন যে, খাবারের গন্ধ নাকে আসলে তখন আসলে নিজেকে কন্ট্রোল করে রাখা বড্ড কঠিন হয়ে যায়।

একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া একজন দুইজনের জন্য বিরিয়ানি খাওয়ার খরচ হলেও সবাই খেতে গেলে মুটামুটি খুব ভালোই খরচ।যাই হোক বিবাহ বার্ষিক উপলক্ষে ভালোই কাচ্চি খেয়ে নিলেন। তবে ভাই এমন ভাবে একা একা খেয়ে নিলেন এইটা কি মানা যায় বলেন তো।যাক খেয়ে যখন ফেলেছেন তখন আর কিছু করার নেই পরের বার দাওয়াত চাই না হয় পেটে কিন্তু🤭🤭।

অবশ্যই দাওয়াত রইলো আপু, চলে আসেন সময় করে।

আমি ভাবছিলাম আপু মনে হয় বলবে বিরিয়ানীর গন্ধ পেলে কোথা থেকে 😁। যাক, ত্রিশ মিনিট ওয়েট করতে হলো আপনাকে। আসলে কোনো কিছুর অপেক্ষায় থাকলে সময় যেন যেতেই চাই না। তবে অনেকদিন পর আপনার বিরিয়ানী খাওয়ার অভিজ্ঞতা জেনে ভালো লাগলো

এটা একদম ঠিক বলেছেন যে, অপেক্ষার সময় গুলো বেশ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়।

চমৎকার বর্ণনা দিলেন আপনি বিরিয়ানি খাওয়ার। সত্যি আপনার বর্ণনা শুনে পেটের মধ্যে খিদা লেগে গেছে। এত সুস্বাদু বিরিয়ানি খেতে খুবই ভালো লাগে। যেহেতু সকাল বেলায় পেট খালি ছিল তাহলে খুব জোরে সুরে খাওয়া-দাওয়া করলেন মনে হচ্ছে হা হা হা। ভীষণ ভালো লেগেছে আপনার অনুভূতি পড়ে।

এটা সত্য যে, পেট খালি ছিল বিধায় অনেকগুলো খেয়ে ফেলেছিলাম আপু।

হ্যাঁ ভাই বগুড়ায় গিয়ে আপনার কাজিন ইমুর সাথে বিরিয়ানি খাওয়ার পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছিলেন। তারপর উকুলেলে কেনার জন্য একটি দোকানে ঢুকেছিলেন। যাইহোক বাসায় বিশেষ উপলক্ষে মজার মজার খাবার খাওয়ার সুযোগ হয় কমবেশি সবারই। আপনার ছোট ভাইয়ের প্রথম বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন ভাই। আসলেই অপেক্ষার সময় সহজে কাটতে চায় না। যাইহোক পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। এতো সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

আমি আপনার কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ, যে পূর্বের বিষয়গুলো আপনি মনে রেখেছেন । শুভেচ্ছা রইল ভাই।