প্রথম ভোট দেওয়ার অনুভূতি

in hive-129948 •  11 months ago 
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী।আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও ভাল আছি।আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার প্রথম ভোট দেওয়ার অনুভূতি

আমাদের বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ। অর্থাৎ আমাদের সরকার আমরা নিজেরাই নির্বাচন করি,অর্থাৎ দেশ গঠনের কাজে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারি আমরা এই একটা মাত্র কাজের মাধ্যমে। কারন আমাদের নির্বাচিত প্রার্থীই ভবিষ্যতে দেশের উন্নয়নে গৃহীত সকল সিদ্ধান্তে আমাদের পক্ষ থেকে অংশ নেবে।
তাই খুব যাচাই বাছাই করে প্রার্থী নির্বাচন করা উচিত। যদিও আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই কাজটা করতে পারে না। তারা অনেক সময় নানা ধরনের আবেগে প্রভাবিত হয়ে ভুল প্রার্থী নির্বাচন করে।

যাই হোক ওসব বিষয়ে না যাই,আমি আমার অভিজ্ঞতা বলি। আপনারা জানেন আজ ছিল বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন। আমি আবার নতুন ভোটার। এবারই প্রথম আমার কোন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া। তাই একটু এক্সাইটেড ছিলাম। যেহেতু সকাল ৮টা থেকে নির্বাচন শুরু তাই ভাবছিলাম সকাল সকাল গিয়ে ভোট দিয়ে আসব। মা কেও বলছিলাম সকালে ডেকে দিতে।
মা ও সকালে ডেকে দিয়েছিল,কিন্তু যে পরিমান ঠান্ডা তাতে সকাল সকাল ভোট দেওয়ার ইচ্ছাটাকে পিছিয়ে দিয়ে আবার ঘুম দিলাম।

এরপর একটু বেলা হলে মা ডাক দিল,তারপর ফ্রেশ হয়ে ভাবলাম দেখি ভোট কেন্দ্রের দিকে গিয়ে খোজ খবর নেই।যদি ভিড় কম থাকে তো ভোট টাও দিয়ে আসব,নইলে বিকেলে গিয়ে ভিড় কমলে ভোট দেব। তখনই পাশের বাসার আন্টি এসে জানালো উনারাও যাবেন,একসাথে সবাই মিলে যাওয়া হোক।আমিও তাদের সাথে গুটি গুটি পায়ে রওনা দিলাম। কিন্তু ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখলাম ভোটারের উপস্থিতি বেশ ভাল থাকলেও, তেমন ভিড় হয়নি। কারন বুথ বানানো হয়েছিল বেশ কয়েকটা।

তখন জানতে পারলাম ভোট দিতে টোকেন দরকার,আমার টোকেন নেই। টোকেনে ভোটার নাম্বার লেখা থাকে,সেটা জমা নিয়ে তবে ভোট দিতে ঢুকতে হবে,আন্টিরা আগেই টোকেন সংগ্রহ করেছিল তাই তারা ভোট দিতে ঢুকে গেল,তখন আমি গেলাম টোকেন সংগ্রহ করতে। আমার মত ভোটারদের সুবিধার জন্য প্রার্থীরা টোকেনের ব্যবস্থা করেছিল কেন্দ্রের বাইরে। সেখানে গিয়ে আমার আইডি কার্ড অনুযায়ী টোকেন নিয়ে ফিরে আসলাম।এবার ভোট দেওয়ার পালা।

টোকেন জমা দিয়ে দিয়ে ভেতরে গেলাম,সহকারী পোলিং অফিসার আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে ব্যালট পেপার ও সিল দিলেন।
সেই সাথে বৃদ্ধাঙ্গুলে মার্কার দিয়ে দাগ দিয়ে দিল।এরপর আমি ব্যলট নিয়ে আলাদা ঘরে গিয়ে আমার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিলাম।এরপর সেটাকে ব্যালট বক্সে ফেলে বাইরে চলে আসলাম।বাইরে আসতেই কয়েকজন বন্ধুবান্ধব এর সাথে দেখা হয়ে গেল। তাদের সাথে বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে চলে আসলাম।প্রথমবার দেশ গঠনের কাজে অংশ নিতে পেরে বেশ ভালই লাগছিল।

আজকের পোস্ট এপর্যন্তই। আবার আগামী দিন হাজির হব নতুন পোস্ট নিয়ে৷ ততক্ষণ পর্যন্ত ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

যাক, এই প্রথম বার জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিয়ে দেশ গঠনে নিজের নাগরিক অধিকার এর পূর্ণ প্রয়োগ করলে দেখে ভালো লাগলো। একজন সচেতন নাগরিকের মতো দেখে শুনে বুঝে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে নিজের হাতে ভোট দিয়েছো। বেশ ভালো।

Posted using SteemPro Mobile

প্রথম শব্দটা জীবনে আসলেই সবার কাছেই অনেক ভালো লাগে। আপনি যে প্রথম ভোট দান করেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। এখন থেকে আপনিও একজন দেশের সু নাগরিক হয়ে গেলেন।

প্রথম ভোট প্রদানের অনুভূতিটা আজকে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ভাই। আসলে ভোট দেওয়ার আনন্দ অন্যরকম থাকে কিন্তু দিন শেষে যদি শোনা যায় নিজের প্রার্থী হেরে গেছে এটা কিন্তু খুবই খারাপ লাগে দুঃখজনক হয়ে ওঠে। যাইহোক ভোট প্রদানের অনুভূতিটা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনার প্রার্থী জিতেছে কিনা জানাবেন।

প্রথমবারের মতো আপনি ভোট প্রদান করতে পেরেছেন এটা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। শুনেছিলাম এবার ভোটকে কেন্দ্র করে অনেক জায়গাতে অনেক ধরনের সহিংসতা দেখা দিয়েছে। খুবই ভালো লাগলো এটা জানতে পেরেছে আপনাদের ওইদিকে কোন ধরনের সমস্যা হয়নি।

ভাই আপনি নতুন ভোটার এবং সেই সঙ্গে প্রথম বার ভোট দিতে পেরেছেন, সেই জন্য আপনাকে কংগ্রাচুলেশন। যাইহোক, ভালোই ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা হলো যা দেখতে পাচ্ছি আপনার ব্লগটি পড়ে। আমিও যখন প্রথম ভোট দিতে যাই সব ব্যাপার গুলো জানতাম না। আপনি স্টেপ বাই স্টেপ ভোট দেওয়ার পুরো ব্যাপারটা খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে যা জেনে ভালো লাগলো।

আসলে ভোট দেওয়ার আনন্দ অনেক বেশি। তবে বর্তমানে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে তাতে করে ভোটারের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। যাই হোক আপনি প্রথমবার ভোট দিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।