পেয়াজি খেয়ে বের হয়ে গেলাম টক দই কিনতে।কিন্তু আমাদের দরকার ছোট একটা গ্লাসের দই।কিন্তু সেখানে ছোট কোন দই ছিল না। কি করব ভাবছি এমন সময় দোকানদার বলল দাদা বড় টাই নিয়ে যান। যতটা বেচে যাব তা দিয়ে ঘোল বানিয়ে খাবেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম,ওষুধের দোকানদার রা ঠিক কতটাকা ঘুষ দিয়েছে আপনাকে? দোকানদার আমার কথা বুঝতে না পেরে খানিকক্ষণ হা করে রইল। ওর অবস্থা দেখে বুঝিয়ে বললাম,এই ঠান্ডার মাঝে যদি ঘোল বানিয়ে খাই,তাইলে শিওর নিউমোনিয়া।আর নিউমোনিয়া হলে ডাক্তার এর লাভ।তাই মজা করে বললাম।
দোকানদার হেসে ফেলল আমার কথায়। এরপর আবার মুরগীর দোকানে গেলাম। গিয়ে দেখি মুরগী রেডি,মুরগী কয়লা নিয়ে মশলার দোকানে। সেখানে থেকে সরাসরি বাড়ি চলে আসলাম।এসেই মেজাজ খারাপ। ছোট ভাইরে বলছিলাম চুলা বানানোর ইট গুলা ছাদে তুলে রাখতে, কিন্তু কিছুই করে রাখে না। এরপর খানিক ঝাড়ি দিয়ে কাজে লাগিয়ে দিলাম। দ্বীপ মাংস ম্যারিনেট করতে লেগে গেল আর আমি ছোট ভাইয়ের সাথে চুলা বানানোর ইট ছাদে তুললাম। চুলা রেডি হতে হতে মাংসেও মশলা মাখানো শেষ।
মাংস ম্যারিনেট হতে একটু সময় প্রয়োজন, তাই সেই সময়টা আড্ডা দিলাম আর ছাদে লাইট এর ব্যবস্থা করলাম।এরপর মাংস রেডি হলে সবাই ছাদে চলে আসলাম। এরপর আসল বারবিকিউ এর সব থেকে কঠিন অংশ। কয়লায় আগুন ধরানো।অনেকে বলতে পারেন এ আবার এমন কি কঠিন? না ভাই যত সহজ ভাবছেন অত সহজ মোটেই না।ঘন্টাখানেক অনেক চেষ্টার পরেও আমরা তিনভাই আগুন জ্বালাতে পারলাম না। তখন ছোট ভাই তার এক বন্ধুকে কল দিল,সে নাকি এক্সপার্ট এই বিষয়ে। কিন্তু সেও ডাহা ফেল মারল।
এরপর বুদ্ধি বের করা হল কেরোসিন দিয়ে চেষ্টা করা যাক,কিন্তু বর্তমানের এই চার্জার লাইট এর যুগে কে আর বাড়িতে কেরোসিন রাখবে।ফলে দোকানে গেলাম,এখন দোকানদার বলল এখন নাকি খোলা কেরোসিন বিক্রয় মানা।কারন সেদিন হরতাল চলছিল।ছোট ভাই বলল আমাদের দেখে কি ওরকম মনে হয় যে আমরা কেরোসিন দিয়ে কোন অকাম করব,তখন দোকানদার বলল ওদের দেখে তো মনে হচ্ছিল না।কিন্তু তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে। আমরা তো হাসতে হাসতে শেষ। ছোট ভাইয়ের ইজ্জতের বার-বি-কিউ হয়ে গেল।
এরপর অনেক রিকুয়েস্ট এর পর অল্প কিছু তেল নিয়ে আসলাম। সেটা দিয়ে অনেক চেষ্টা করার পর আগুন ধরল কয়লায়। এরপর আস্তে আস্তে আমরা মাংস ঝলসানো শুরু করলাম।প্রায় ঘন্টাদুয়েক সময় লাগল সম্পূর্ণ মাংস ঝলাসাতে৷ এর মাঝে অবশ্য আগুন অনেক ঝামেলা করেছে৷ অনেক সংগ্রাম করে সেই ঝামেলা মেটাতে হয়েছে। তবে মজাও হচ্ছিল বেশ। বারবিকিউ এর সাথে পরোটা না হলে জমে না।,তাই পরোটা,মেয়োনিজ,আর সসের ব্যবস্থা আগেই করা হয়েছিল। এরপর খাওয়াদাওয়ার পালা। সবাই মিলে চুলা ঘিরে বসে পড়লাম। মাংস মুখে দিয়েই মন ভরে গেল।।পরিশ্রম সার্থক। দারুন হয়েছিল খেতে। এরপর খাওয়াদাওয়া শেষে আগুন ভালভাবে নিভিয়ে, সব গুছিয়ে বাসায় চলে আসলাম।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে এমন বার্বিকিউ গুলো তে আসল মজাই তো হচ্ছে গান-গল্প- হাসি- তামাশার মাঝে সময় কাটানো টা! দোকানদারদের সাথে তোমাদের ঠাট্টাগুলো পরে বেশ মজা পেলাম। এবং এত কাহিনী করে চুলা ধরিয়ে রান্না করার সাদ যে অসাধারণ হয়েছে, এটাও উপরি পাওনা এবং বড় সার্থকতা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit