গতকাল সকাল সৈয়দপুর এসেছিলাম ফুপুর বাড়িতে।বাড়িতে অনুষ্ঠান থাকায় বাইরে যেতে পারি নাই।সারাদিন প্রচুর ব্যস্ত থাকতে হয়েছে, গতকালই বাসায় ফিরে যেতাম কিন্তু সারাদিন কাজ করে অনেক ক্লান্ত তাই ফুপু কোন ভাবেই বাড়িতে আসতে দিল না।তাই বাধ্য হয়ে থেকে গেলাম।
সকালে ঘুম থেকে উঠার পর থেকে বাম চোখ টা জ্বলছিল এবং লাল হয়ে ছিল।পরে বুঝতে পারলাম চোখ উঠেছে।ফুপু এই অবস্থায় বাড়ি আসতেই দেবে না।কিন্তু আমার ক্লাস আর টিউশন এর জন্য আজ বাড়ি ফিরতেই হবে।তাই ফুপুকে অনেক বুঝিয়ে রাজি করলাম।তখন ফুপা বলল ৩.৪০ এ সৈয়দপুর থেকে বগুড়ার সরাসরি বাস পাওয়া যায় সেটাতে যেতে।যেহেতু আজকে টিউশন ও ক্লাস মিস হয়েই গেছে তাই বিকেলে যাওয়ার সিদ্ধান্তই নিলাম।
খাওয়াদাওয়া সেরে গেলাম কাউন্টারে।সেখানে গিয়ে দেখি তুলকালাম অবস্থা।যাত্রী ও কাউন্টারের লোকদের মাঝে প্রায় মারামারির অবস্থা।টিকেট এর দাম জানার পর তো আমার ও মেজাজ চরম খারাপ।গতকালই যে টিকেট ছিল ১৮০ টাকা আজ সেই টিকেট ২৭০ টাকা।তাদের থেকে কারন জানতে চাইলে তারা জানাল গতকাল সরকার জ্বালানীতেলে লিটার প্রতি ৩৪টাকা বাড়িয়েছে।এখন তারা তো আর নিজের পকেটের টাকা দিয়ে লস করে যাত্রী পরিবহন করবে না।তাই তারা ২৭০ এর নিচে টিকেট বিক্রি করবে না।অবশেষে অনেক বাকবিতণ্ডার পর ২৫০টাকা করে তারা রাজি হল।এখন যাত্রীরা অসহায় তাদের যেতেই হবে।অনেক ঝামেলা করে একটি টিকেট সংগ্রহ করে বাসে উঠে বসলাম।
কিন্ত সকাল থেকে মন্দ ভাগ্য যেন পিছেই ছাড়ছে না।বাসটি বেশ গতিতেই যাচ্ছিল।হঠাৎ বাসের পিছনের ডান পাশের চাকাটি পাংচার হয়ে যায়।ফলে বাস নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে রাস্তার ধারের একটি বড় গাছ কে প্রায় ধাক্কা দিচ্ছিলই,কিন্তু ড্রাইভার সাহেব তার নিপুন দক্ষতায় আবার নিয়ন্ত্রণ ফিরে আনেন এবং গাছটিকে এড়িয়ে একটি নিরাপদ জায়গায় গাড়িটি থামাতে সক্ষম হন।
এরপর চলল গাড়ির চাকা সারানোর কাজ।প্রায় ২০ মিনিট সময় লাগে চাকা খুলে নতুন চাকা লাগাতে।ততক্ষণ আমি আশেপাশে ঘোরাফেরা করে দেখলাম।এরপর সন্ধ্যা সাতটায় বাসায় পৌছাই।তবে মনের মধ্যে ভয় বসে গেছে।চোখ বন্ধ করলেই সেই মূহুর্ত মনে পড়তেছে।ড্রাইভার সাহেব দক্ষ না হলে আজ অনেক বড় বিপদ হত। ঈশ্বর নিজা হাতে রক্ষা করেছেন।
এখন বাসায় গিয়ে চোখের ডাক্তার দেখাতে হবে চোখ টা খুব সমস্যা করতেছে। সবাই দোয়া করবেন।
ঈশ্বরের অশেষ কৃপা ছিল বলেই আজ অনেক বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছো। বাইরের বের হওয়ার সময় অবশ্যই ঈশ্বরের নাম স্মরণ করে বের হওয়া দরকার কারন একমাত্র তিনিই পারেন আমাদেরকে সকল বিপদ হতে রক্ষা করতে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যা কাকিমা।ঈশ্বর কে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এরকম ঘটনা মাঝে মাঝে আমাদের দেশে ঘুরতে দেখা যায়। মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনি সুস্থ রয়েছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া জ্বালানি তেলের যে পরিমাণ এর দাম বৃদ্ধি হয়েছে তাতে টিকিটের মূল্য বৃদ্ধি পাবে এটাই স্বাভাবিক।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যা ভাইয়া।আমি জানতাম না বিষয় টা তাই একটু অপ্রস্তুত হয়ে পড়ছিলাম
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit