বর্তমানে ফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। ফোন ছাড়া আমরা অচল। একসময় শুধুমাত্র যোগাযোগের কাজেই সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বহুমুখী। সময় কাটানো থেকে শুরু করে বিনোদন সব কাজেই মোবাইল ফোন আমাদের কাজে লাগে। শুধু চার্জিং এর সময় বাদে বাকি সময় সবার হাতেই শোভা পায় ফোন। এই চার্জিং এর সময়টাই সব থেকেই বিরক্তিকর। মাঝে মাঝে তো আমার মনে হয় যদি ফোন এমনভাবে তৈরি হত যে ৫/৬ বছরের আগে চার্জ শেষ না হত।
যাই হোক গত শুক্রবার রাতে ফোন চার্জে দিয়ে ঘুমিয়েছি,কারন ঘুম থেকে উঠেই আগে ফোন দরকার হয়,ফোনে মার্কেট সোশ্যাল মিডিয়া চেক করে তারপর বাদ বাকি কাজ।সেদিন ও সকালে ঘুম থেকে উঠে ফোন হাতে নিলাম। কিন্তু দেখলাম ফোন বন্ধ। এমন তো হবার কথা না। বেশ কয়েকবার পাওয়ার বাটনে চাপ দিলাম।কিন্তু একই অবস্থা।ততক্ষণে আমার আত্মারাম খাচা ছাডার অবস্থা। কারন স্টিমিট অ্যাকাউন্ট, ছোট বেলা থেকে তোলা স্মৃতিময় ছবিগুলো সব এই ফোনে স্টোর করা। টাকা গেলে টাকা আসবে কিন্তু ছবিগুলো আর আসবে না। এটাই মেইন চিন্তা।
এরপর ভাবলাম চার্জ হয়নি হয়ত,তাই আবার চার্জে লাগালাম। কিন্তু যে কে সেই।ফোনের জীবন্ত হওয়াত কোন লক্ষণ দেখা গেলো না। এবার তো আরো অবস্থা খারাপ আমার,তখন মা বলল অন্য চার্জার দিয়ে ট্রাই করতে। মায়ের বুদ্ধিটা মনে ধরল,কিন্তু চার্জার নেই তাই তৎক্ষণাৎ পাওয়ার ব্যাংক দিয়ে চার্জ দিলাম। দেখলাম বুট মেনু আনলক হয়েছে। তখন বুঝলাম আসলে আমার চার্জার এর সমস্যা। এরপর ভাল করে পরীক্ষা করে দেখলাম চার্জিং কেবলের এক প্রান্ত ছেড়া।
পাওয়ার ব্যাংক দিয়ে দুই তিনবার চার্জ দেওয়া যাবে,কিন্তু তারপর? তাই ভাবলাম একটি কেবলের অর্ডার দেওয়া যাক। স্থানীয় দোকান গুলোকে ভরসা পাইনা,কারন এরা দাম অরিজিনাল এর নিয়ে সস্তা জিনিস গছিয়ে দেয়। আর সেগুলো ব্যবহার করলে ফোনের বারোটা বাজে। তাই দারাজই ভরসা।
ফোনের অ্যাক্সেসরিজ এর ব্যাপারে আমি বেশ খুতখুতে। তাই যে সে কেবল অর্ডার করলাম না। besus আমার পছন্দের একটি ব্র্যান্ড। বাজেটের মাঝে এদের ফোন এক্সেসরিজ গুলো অনেক ভাল হয়। এর আগেও besus এর বেশ কয়েকটি জিনিস ব্যবহার করেছি।
তাই অর্ডার করে ফেললাম। তিনদিনেই প্রডাক্ট হাতে পাবার কথা,কিন্তু প্রোডাক্ট হাতে পেতে লাগল ৫দিন।অবশ্য মাঝে বিজয় দিবসের ছুটি ছিল,আবার আমি অর্ডার ও দিয়েছিলাম সাপ্তাহিক ছুটির দিনে তাই এই দুইদিন হিসাব বাদ দিতে হবে। কিন্তু কেবল হাতে পেয়েই মনটা হালকা হলো। প্যাকেটের কিউআর কোড স্ক্যান করে দেখলাম সেলার জেনুইন প্রোডাক্ট দিয়েছে। কেবলটির বিল্ড কোয়ালিটি অসাধারণ।তাছাড়া এই কেবলের একটি বিশেষ্যত্ব আছে। কেবলটির আসল আবরণের উপর নাইলনের সুতা দিয়ে ঠাস বুননে ঢাকা।এতে কেবলটি নমনীয় হয় ফলে সহজে ছেড়ে না। কেবলটি 3A সাপোর্টেড ফলে ফাস্ট চার্জিং নিয়ে কোন চিন্তাই করতে হয়না। তবে দুখের বিষয় হল আমার কেবল টা ঠিকই ছিল,নষ্ট হয়েছে অ্যাডাপ্টার টি। তাই আবার অ্যাডাপ্টার অর্ডার করতে হল। সেটার রিভিউ দিব অন্য দিন।
|
|--|
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই ভাইয়া ফোন ছাড়া যেন এখন আমরা চলতেই পারি। আর ক্যাবলের বিষয়টা বেশ মজা লাগলো আপনি ভেবেছেন নষ্ট হয়েছে ক্যাবল কিন্তু পরে দেখেন অ্যাডাপ্টার নষ্ট হয়েছে এখন আবার অ্যাডাপ্টার কিনতে হবে। আপনার অভিজ্ঞতাটা বেশ ভালো লাগলো। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit