বার-বি-কিউ ঠিক আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি নয়,এটি পাশ্চাত্যের সংস্কৃতি। তবে এটা কিন্তু সেই প্রাচীন কাল থেকেই প্রচলিত আছে। সেই আদিম কালে আমাদের পূর্বপুরুষরা শিকার করত,করে প্রথম প্রথম কাচা মাংস খেত। তারপর অভাবনীয় ভাবে আগুনের আবিষ্কার হয়। তারপর থেকে মানুষ শিকারের মাংস পুড়িয়ে খেতে শুরু করে। এটাই কালের বিবর্তনে এখন বারবিকিউ। তবে আগে শুধু মাংস থাকত এখন তার সাথে যোগ হয়েছে নানা রকম মশলা।
যাই হোক বকবক অনেক করলাম,এখন আসা যাক আসল প্রসঙ্গে।কয়েকদিন আগে আমার পিসতুতো ভাই দ্বীপ বেড়াতে আসে। দ্বীপের বাড়ি ময়মনসিংহ।মানিক জোট বলতে যা বোঝায় দ্বীপ আর আমি তাই। তো সেদিন দ্বীপ কে নিয়ে আমার এক কাকার বাসায় বেড়াতে গেছি। বাড়ি আসার সময় কাকাতো ভাই অপূর্ব বলল দাদা চলো বার-বি-কিউ করা হোক।
আমিও ভাবলাম উত্তম প্রস্তাব৷ সেদিন এমনিতেই ছিল প্রচুর ঠান্ডা
তাই ভাবলাম আগুনের পাশে বসে বার-বি-কিউ করতে খারাপ লাগবে না। সাথে সাথেই রাজি হয়ে গেলাম। ওকে বার-বি-কিউ এর নেট আর চুলা বানানোর দায়িত্ব দিয়ে চলে গেলাম বাজারে। কারন আমরা আদিম মানুষ নই,তাই শিকার ও করতে পারি না আবার মশলা ছাড়া শুধু মাংস পুড়িয়ে খেতেও পারি না। তাই বাজারই একমাত্র ভরসা।
প্রথমেই চলে গেলাম মুরগী শিকার করতে, হাহাহা মজা করলাম।মুরগীহাটি গেলাম মুরগী কিনতে। বার-বি-কিউ কিন্তু দেশী মুরগী দিয়ে হয়না,এর জন্য ব্রয়লার মুরগী প্রয়োজন।আর চারদিকে বার-বি-কিউ এর ধুম পড়ে যাওয়াতে দোকানদার রা মুরগীর দাম ও দিয়েছে বাড়িয়ে। মুরগী কাটতে দিয়ে গেলাম কয়লা কিনতে।তখনই বাধল বিপত্তি,যে জায়গা গুলোতে কয়লা পাওয়া যেত সেগুলোতে কয়লা সংকট। আর বাঙালী জাতি ব্যবসার সুযোগ পেয়ে ছেড়ে দেবে এমন হতে পারে? ফলে কয়লার দামেও লেগেছে আগুন।
অনেক খোজাখুজির পর একটি কামারের দোকানে কিছু কয়লা পেলাম, কিন্তু কয়লা গুলো সুবিধার না। তারপরেও বাধ্য হয়ে কিনতে হল।দাম দিতে হল দ্বিগুণ। এরপর কয়লা গুলো মুরগীর দোকানে রেখে গেলাম মশলা ও টক দই কিনতে। দইয়ের দোকানের আগেই বসে একটি তেলে ভাজার দোকান।সেখানকার পেয়াজি আমাদের এলাকায় ওয়ার্ল্ড ফেমাস (হিহি)|এখন এমন বিখ্যাত দোকানের সামনে এসে কিছু না খেয়ে গেলে পাপ হয়। তাই দুই ভাই বসে পড়লাম। যদিও বেশি খেলাম না,কারন ভাজাপোড়া খাওয়ার কারনে যদি অ্যাসিডিটি হয়,তখন আবার বার-বি-কিউ এর ঝলসানো মাংস পেটে দেওয়া যাবে না।বেশি না খাওয়ার আরেকটি কারন কোয়ালিটি অনেক বাজে হয়ে গেছে। পিয়াজি তে পেয়াজের থেকে বাধাকপি বেশি।এরপরেও যে এর নাম কেন পেয়াজি সেটাই অবাক করার বিষয়।
OR
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমরাও সপ্তাহ দুই আগে বারবিকিউ করেছি, মাংস পুড়িয়ে খাওয়ার সে গল্প শুনে আমিও হঠাৎ করে ভেবেছিলাম আপনি মুরগি শিকার করতে গিয়েছেন হাহাহা, শীতের সময় কিন্তু এই জিনিসটা খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই শীতের মৌসুমে বারবিকিউ করার কাজগুলো বেশি হয়। দুই তিন বছর আগেও এই কাজগুলো আমরা প্রচুর করেছি তবে এখন আর করা হয় না। এটা বেশ ভালো বলেছেন ভাই, টাকা দিয়ে মুরগি না কিনে যদি শিকার করে পাওয়া যেত তাহলে তো বেশ ভালই হতো 🤭🤭 হিহি। আমিও একটু মজা করে নিলাম ভাই আপনার মত। তবে বারবিকিউ করার সময় এই কয়লা জোগাড়ের ব্যাপারটা বেশ সমস্যা করে। বারবিকিউ করার আগে অনেকটা দূরে গিয়ে কয়লা ফ্যাক্টরিতে গিয়ে আমরা কয়লা নিয়ে আসতাম । যদিও আপনি অনেক খুঁজে কামারের দোকানে গিয়ে পেয়েছেন। কামারের দোকান থেকে কিনেছেন বলেই দামটা বেশি দিতে হয়েছে ভাই। তবে কয়লার কোয়ালিটি ভালো ছিলনা, এটা জেনে খারাপ লাগলো। বারবিকিউ করার আসল ঘটনাই জানা হলো না ভাই, পরের পর্বে দেখি কি ঘটে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গ্রাম হলে মানুষের মুরগী ঝেড়ে দিয়ে বার-বি-কিউ করতাম।
ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হেহেহে 🤣🤣। সেটা কোনো সমস্যা না ভাই, আপনি শহরে থেকে খামারের বা দোকানের মুরগি ঝেড়ে দিয়ে বার-বি-কিউ করেও খেতে পারেন। 🍗🐥
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মার একটাও মাটিতে পড়বে না দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হিহি 🤣 মার একটাও মাটিতে না পড়লে নিজের শরীরে ধারণ করে নেবে ভাই। 🤣🤣🤣🤪🤪 খেতে গেলে একটু কষ্ট তো করতেই হবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যা ঠান্ডা পড়েছে তাতে রোজ বার্বিকিউ করতে হবে। খাওয়া যাই হোক নাহ্ কেন, আগুনে হাত শেকতে বেশ আরাম পাওয়া যায়। হিহিহিহি। তবে আমিও খেতে পারি না এই পোড়া মাংস। খুব একটা টেস্ট পাই না। ভার্সিটি লাইফে বেশ কয়েকবার এমন পার্টি করলেও খেয়ে মজা পাই নি কখনো। যাই হোক, দুই ভাইয়ের মজার আয়োজন দেখে খুব ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit