শাপে বর

in hive-129948 •  11 months ago 
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী। আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও ভাল আছি। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব একটি গল্প

সোর্স

সেই একঘন্টা ধরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে তানভীর। দারাজে একটা পার্সেল আসার কথা তার। কিন্তু ডেলিভারি বয় যেন আমাবশ্যার চাঁদ হয়ে গেছে দেখাই নেই,ফোন দিলেও কল যাচ্ছে না। একদম বিরক্ত হয়ে গেছে। সকাল থেকেই তানভীরের দিন টা খারাপ যাচ্ছে। ঘুম থেকে উঠেই ফোনের চার্জার নষ্ট,বের হতে গিয়ে বাইকের চাবি খুজে না পাওয়া,এরপর অনেক খোজাখুজির পর চাবি খুজে বের করে এখানে আসা। এসে আবার ডেলিভারি বয়ের খোজ নেই। মেজাজ টাই খিচড়ে গেছে।

মনে মনে এসব ভাবছে তানভীর,এর মাঝে ডেলিভারি বয় এসে হাজির।তানভীর ভাবল কষে কয়েকটা গালি দেই,তারপর মনে হল হয়ত কোন সমস্যা হয়েছিল। তাই গালি দেওয়া স্থগিত রেখে জানতে চাইল,ভাই আরেকটু হলে তো সূর্য ডুবেই যেত এত তারাতারি আসার কি দরকার?তার কন্ঠে একটু শ্লেষ মিশে ছিল। তখন ডেলিভারি বয় হেসে বলল,"মাফ করবেন ভাই। আমরা দুজন ডেলিভারি দিতে বের হই।কিন্তু আমার পার্টনারের বউ অসুস্থ,তাই হঠাৎ ওকে ছুটি নিতে হল।এদিকে ওর ডেলিভারি গুলো ফেলে রাখলে গ্রাহক দের হয়রানি হবে আবার পার্টনার বসের ঝাড়ি খাবে।

তাই ওর গুলোও আমি নিয়ে বের হয়েছি। সে মস্ত বোঝা ডেলিভারি করতেই দেরি হয়ে গেল ভাই,সবার শেষে আপনার টাই ছিল। তানভীর মনে মনে ভাবল,"ইশ!গালি দিলে কি মহা ভুল করে ফেলতাম। কত সুন্দর চিন্তাভাবনা এদের।গ্রাহকদের কথা ভেবে আবার পার্টনার কে বাচাতে নিজে অতিরিক্ত পরিশ্রম করছে। যাই হোক এবার আসল কথায় আসল,"আচ্ছা যা হবার হইছে।এবার পার্সেল টা দাও ভাই। জলদি জলদি পার্সেল নিয়ে তানভীর হলে চলে আসল।

কিন্তু ঐযে বলে, যেখানেই যাও গোপাল সঙ্গে যাবে কপাল। লাস্ট পার্সেল টা বের করে দেখা গেলো পার্সেল টা তানভীরের না। পার্সেল এ নাম লেখা তানজিমা।একে কাজের চাপ তারউপর নাম দুইটা কাছাকাছি হওয়ায় ডেলিভারি ম্যান গুলিয়ে ফেলেছে। তানভীর ও সেখানে চেক করে নেয়নি। মেজাজ টা আবার খারাপ হয়ে গেল। আপন মনেই খানিকক্ষণ নিজের কপাল আর ডেলিভারি বয় কে গালি দিল। তারপর ভাবতে বসল এখন কি করা যায়?

তখন মনে পড়ল, আরে প্রত্যেকটা প্যাকেজের গায়েই প্রাপকের ফোন নাম্বার থাকে। যদি তানভীরের কাছে তানজিমের প্যাকেজ আসে,তাইলে তানভীরের প্যাকেট ও তানজিমের কাছে থাকার ভাল সম্ভাবনা।তাই তানভীর প্যাকেজের নাম্বার টা খুজে বের করে ফোন দিল। ফোনের ওপাশে থেকে ভেসে আসল একটি কোমল নারীকন্ঠ।

আজকের পর্ব এপর্যন্ত। আগামী অংশ সামনের পর্বে। কেমন লাগল অবশ্যই জানাবেন। ধন্যবাদ সম্পূর্ণ গল্প পড়ার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

ফোনের ওপাশে থেকে ভেসে আসল একটি কোমল নারীকন্ঠ।

আমিও আসলে মনে মনে ভাবছিলাম যে এরকম কিছু একটা ঘটনা ঘটবে। হা হা হা...

কাছাকাছি নামের বানানের কারণে অনেক সময় এমন হতে বাস্তবেও দেখেছি, একজনের পার্সেল অন্য জনের কাছে চলে যেতে। যাইহোক, আমার কাছে ব্যাপারটা কিন্তু খুব ইন্টারেস্টিং লাগছে। এখানে একটা প্রেমের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। পরবর্তী পর্বে অপেক্ষায় রইলাম ভাই।