নতুন অতিথির আগমন(ভাতিজি)

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি।আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও ভাল আছি। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমাদের মাঝে আসা নতুন মেহমান কে নিয়ে

এসেছে নতুন শিশু
তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান

মানুষের জীবন চক্র মোটামুটি সিম্পল।জন্ম নাও,দিনে দিনে বুড়ো হও তারপর মারা যাও। বললাম খুব সহজেই।কিন্তু এই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে যাওয়া খুবই কষ্টকর।সবাই চায় চিরদিন বেচে থাকতে।কিন্তু চিরদিন বেচে থাকা কি আসলেই সম্ভব? হ্যা সম্ভব।কি আমাকে পাগল ভাবছেন? না চিরদিন বেচে থাকা সম্ভব, তবে এর মাঝে একটু কিন্তু আছে।মানুষ দুইভাবে অমর হয় এক.তার কাজের মধ্যে দিয়ে দুই.নতুন প্রজন্মকে পৃথিবীতে নিয়ে আসার মাধ্যমে।

টাইটেল ভাল করে না পড়লে আপনারা হয়ত ভেবে থাকবেন যে আমার বুঝি বাচ্চা হয়েছে। কিন্তু না, আমি এখনো অবিবাহিত। তবে আমার ফ্রেন্ড নাফিজ বিবাহিত। নাফিজ কে তো চেনেন হয়ত,আমাদের পাচ জনের গ্রুপের লিডার নাফিজ।গত ২৫তারিখ রাতে হঠাৎ নাফিজের ফোন। রাত বিরাতে ফোন মানে হয় খুব ভাল সংবাদ অথবা খুব খারাপ সংবাদ।তবে আমি তো মানুষ তাই মনে সব সময় নেগেটিভ টাই আগে মনে আসে।

তাই দ্রুত ফোন রিসিভ করলাম,কিন্তু যা শুনলাম তাতে আনন্দে লাফাতে লাগলাম। আমি চাচা হয়ে গেছি।আসলে এটা আমার প্রথমবার চাচা হওয়া৷অনুভুতি টাই আলাদা। যদিও নিজেকে একটু বুড়ো মনে হচ্ছিল।যাই হোক আমার আনন্দ দেখে হয়ত ভাবছেন আমার এত খূশি হবার কি আছে? একটু ভেবে দেখুন, পাচটা মানুষ যারা সুখে দুখে সবাই একসাথে।তাদের পরবর্তী প্রজন্মের প্রথম জন পৃথিবীতে এসেছে।যা একটি শুভ সূচনা। একদিন এই পিচ্চিই নেতৃত্ব দেবে পরের সবাইকে। আসলে আমাদের আবেগ টা বোঝানো একটু কষ্টকর।

যাই হোক পিচ্চিকে দেখতে অনেক ইচ্ছা হচ্ছিল। কিন্তু পিচ্চির বাবাই তখন বাড়িতে ছিল না।নাফিজ তখন ছুটি পায়নি, ফলে আসতে পারে নি। এরপর ২৮তারিখ নাফিজ আসে। কিন্তু একা একা কিভাবে যাই,তানিভীর কে কল দিলাম।সে পরেরদিন চলে আসল। তখন আমি আর তানভীর যাওয়ার প্রস্তুতি নেই। প্রথমেই মার্কেটে চলে গেলাম।নতুন মানুষকে তো আর খালি হাতে দেখতে যাওয়া যায়না।এখানে বিপদ,আমরা দুজনেই আনাড়ি। কখনো বাচ্চাকাচ্চাদের জন্য কেনাকাটা করি নি।

তারপরেও দুইজন মিলে পছন্দ করে জামা কিনে নিয়ে হাজির হলাম নাফিজের শ্বশুর বাড়ি।কারন পিচ্চিকে নিয়ে ভাবি ওখানেই গেছে,আর নাফিজও সরাসরি ওখানেই গেছে।অবশেষ অপেক্ষার পালা শেষ হল। আমরা ভাতিজিকে দেখলা। যেন একটুকরা চাঁদ এসেছে। অনেক কিউট হয়েছে ভাতিজি। যদিও আমরা যখন যাই তখন ভাতিজি ঘুমাচ্ছিল। তাকে বিরক্ত না করে,বন্ধুর থেকে নতুন অভিজ্ঞতা শুনলাম। এরপর ভাতিজি কিছুক্ষণের মাঝেই জেগে গেলো। তার সাথে কিছুক্ষণ খুনসুটি করলাম।এরপর ডাক্তার সাহেব তানভীর ভাবিকে কিছু উপদেশ দিল। আমার আবার পরের দিন সিরাজগঞ্জ যাওয়ার কথা ছিল, তাই ভাতিজি ভাবির থেকে বিদায় নিয়ে তারাতারি চলে আসলাম বাসায়। সবাই ভাতিজির জন্য দোয়া করবেন।