ইফতার পার্টি

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী।আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও ভাল আছি।আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমাদের ইফতার পার্টির কিছু মুহুর্ত।

সেদিন আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম আমার দ্বিতীয় প্রজন্মের স্টুডেন্ট এর সাথে ইফতার এর মুহুর্তগুলো।আজ অবশ্য আমার স্টুডেন্ট ছিল।তবে আজ ইফতার আমার বাসায় হয়েছে।আজ ইফতারের আয়োজনের জন্য অবশ্য ক্রেডিট আমাদের কমিউনিটর সদস্য uttso এর।

আমার ইফতার এর কোন প্ল্যান ছিল না।তবে উৎসকে বলে রেখেছিলাম যে সবাই মিলে ইফতার পার্টি করা হোক একটা। উৎসরা আর আমরা প্রতিবেশী।তবে এতদিন ধরে পাশাপাশি থাকতে থাকতে পরিবার এর মতই হয়ে গেছি। তাই প্রায় সব কিছুই একসাথে করা হয়।

যাই হোক ইফতার করা হবে কিন্তু কবে করা হবে তা ঠিক করা হয়নি৷ কাল হঠাৎ ইফতার এর কিছুক্ষণ আগে উৎস এসে হাজির। দাদা চলো ইফতার করব আজ। আমি সর্বদাই উৎসব আনন্দের জন্য রেডি। তাই রাজি হয়ে গেলাম সাথে সাথে। যেহেতু বেশি সময় নাই,তাই ঘরে তো আর বানানোর সময় নেই। সেজন্য দোকান ই ভরসা।

যাই হোক দুইভাই দ্রুত বেড়িয়ে পড়লাম। গিয়ে দেখি সব দোকানেই প্রায় প্রচন্ড ভিড়। অনেক ক্ষণ চেষ্টার পর একটু ফাকা হতেই জলদি জলদি সব কেনাকাটা করে বাসায় চলে আসলাম।আসার পথে আবার আমার দ্বিতীয় প্রজন্মের স্টুডেন্ট এর বাসার সবাইকে দাওয়াত করে আসলাম।কারন একা একা কোন অনুষ্ঠানে মজা নেই।

সব কিছু জলদি জলদি নিয়ে এসে একসাথে মাখানোর ব্যবস্থা করলাম। এর মাঝে শুধু আমার স্টুড়েন্ট আসল। কারন ওদের বাড়িতে মেহমান এসেছে।তাই আন্টিরা আসতে পারে নি। সব রেডি করতে করতেই আজান দিয়ে দিলো। আমরা রোজা করি নি।কিন্তু নিমি এবং তার খালাতো ভাই রোজা ছিল তাই আজান দেওয়ার সাথে সাথেই ইফতার শুরু করা হল।

তারপর খেতে খেতে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো,সেই সাথে অনেক মজাও করা হল।বিশেষ করে আমার মা আর উৎসর মা কাকি যদি একজায়গায় হয় তাইলে সেখানে থাকলে হাসতে হাসতে অবস্থা খারাপ হবে। অনেক মজার ছিল সময়টা। এরপর খাওয়াদাওয়ার পর আরো কিছুক্ষণ গল্প করার পর সবাই মিলে নিমিদের বাসায় গিয়েছিলাম।সেখানে কি হল তা পরের পর্বে।

আজকের পোস্ট এপর্যন্তই।কেমন লাগল জানাবেন।ভুল ত্রুটি মার্জনীয়। সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ।