রেনডোম ফুলের ফটোগ্রাফি: এ যেন কবরের সাথে ফুলের বাস

in hive-129948 •  2 years ago 

আসসালামু আলাইকুম,
সবাই কেমন আছেন ,আশা করি ভালোই আছেন।
আজ আমি কিছু রেনডোম ফুলের ছবি নিয়ে হাজির হয়েছি। যে ছবি আমি আজ শেয়ার করতে যাচ্ছি তা কবরস্থান থেকে ক্যাপচার করা।শুক্রবার আমার নানুর কবর দেখতে করবস্থানে গিয়েছিলাম ।আমার নানু গত জুন মাসের ২৬ তারিখ আমাদের মায়া ত্যাগ করে সৃস্টিকর্তার ডাকে সাড়া দিয়ে চিরস্থায়ী গন্তব্যে পারি জমিয়েছে।

আগে কবরস্থান দেখলে খুবই ভয় লাগতো ,সূরা কালাম পড়তে পড়তে কবরস্থান অতিক্রম করতাম।তবে এখন আর ভয় লাগে না ,এখন কবরস্থানের পাশ দিয়ে যেতে যেতে পরকালের চিন্তা করি আর একদিন যে আমাকে এইখানে থাকতে হবে তা ভেবে মনের ভিতর সকল অভিযোগ,অনুযোগ,চাওয়া,পাওয়া ,অহংকার নিমিষেই বিলীন হয়ে যায়।

যাই হোক সেখানে যেয়েই বিভিন্ন কবরের উপরে ফুলগাছে ফুটে থাকা ফুলের ছবি ক্যাপচাপ করলাম।
ফুটন্ত ফুল গুলো দেখে মনে হচ্ছিলো ,তারা বাহারি রঙে ফুটে দুনিয়ার মানুষগুলোকে জানিয়ে যাচ্ছে কবরে ঘুমন্ত প্রিয়মানুষ গুলো খবু ভালো আছে।

IMG_20221021_171216__01.jpg
ডিভাইস: One plus
লোকেশন: খিলগাঁও

এই ফুলটা দেখে অসম্ভব ভালো লেগেছে ,শীতের মৃদু বাতাসে দুলতেছিলো।এই ফুলটির আমি নাম জানি না ।তবে কালার টা খুবই চমৎকার।

IMG_20221021_171021__01.jpg

ডিভাইস: One plus
লোকেশন: খিলগাঁও

এই নয়ন তারা ফুলটি আমার নানুর কবরের পাশেই ফুটে ছিলো।ফুলটিকে দেখে খুবই খারাপ লাগছিল, মনে হলো অনেকদিন পরে গিয়েছি বলে মুখ ফিরিয়ে রেখেছে।

IMG_20221021_171014__01.jpg
ডিভাইস: One plus
লোকেশন: খিলগাঁও

এই ফুলগুলো প্রায় সব কবরের উপর ই লাগানো আছে ,আমার নানুর কবরের পাশে থেকেই এই ফুলের ক্যাপচার ।নাম জানা নাই ফুলের।

IMG_20221021_171053__01.jpg
ডিভাইস: Oneplus
লোকেশন: খিলগাঁও

এই ফুলটি আমার অসম্ভব প্রিয় ,তবে এই মুহূর্তে নাম টা মাথায় ই আসছে না ।

IMG_20221021_171113__01.jpg
ডিভাইস: One plus
লোকেশন: খিলগাঁও

এই ফুলটি আমি এই প্রথমবার ই দেখেছি।রানী গোলাপী রংয়ের ,গুচ্ছটাইপ ফুল গাছটি।

IMG_20221021_171347__01.jpg
ডিভাইস : One plus
লোকেশন: খিলগাঁও

এটা আমার যতদূর মনে পড়ে এটা কৃষ্ণ চূড়ার গাছ ,তবে বসন্ত ছাড়াও ফুটে এই ফুল!!!আগে বসন্ত কালে সংসদ ভবনের সামনে যেতাম এই ফুলের সমারোহ দেখতে।এই ফুল ছাড়া বসন্ত বেমামান আমার কাছে।

IMG_20221021_171452__01.jpg
ডিভাইস: Oneplus
লোকেশন: খিলগাঁও

এই ফুলটির কি নাম তাও জানা নাই।তবে সাদা রঙের ফুল স্নিধতার জাগান দেয় ।অনেক টা কাঠ গোলাপের মত দেখতে।

এভাবেই করববাসীদের প্রিয়জনরা হরেক রকমের ফুল গাছ লাগিয়ে কবর স্থানের চার পাশে রঙিন করে তুলে।

আজ এই পর্যন্তই ,আমার ফুলের রেনডোম ফটোগ্রাফি কেমন লেগেছে কমেন্ট করে জানাবেন।

"ধন্যবাদ"

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

একদম ঠিক বলেছেন আপু কবরস্থানের পাশ দিয়ে যেতে আসলেই ভয় করে আমার এখনো রাতের বেলা যেতে ভয় করে, দিনের বেলা ততটা ভয় লাগে না। ঠিকই বলেছেন একদিন এই কবরস্থানই মানুষের গন্তব্য হবে। কবরস্থানের উপরে সবসময় সুন্দর সুন্দর কিছু ফুলের গাছ দেখা যায় যেটা দেখতে আসলেই অনেক ভালো লাগে। আপনি তো ভালো কাজ করেছেন একসাথে দুই কাজ করে এসেছেন। এটা ঠিক বলেছেন সাদা রংয়ের ফুল গুলো সব কবরের উপরই দেখা যায় আর হলুদ কালারের ফুলটার নাম আমার কাছে মনে হচ্ছে অলকানন্দা তবে আমি শিওর না। ফুলটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। প্রত্যেকটা ফুলের ফটোগ্রাফি সুন্দর হয়েছে। এর ভেতরে কিছু ফুলের নাম আমি জানি তবে এই মুহূর্তে ভুলে গিয়েছি।

ছোটবেলায় আপনার মত আমারও কবরস্থানের পাশ দিয়ে যেতে ভয় লাগতো, কিন্তু বর্তমান সময়ে রাতের বেলায় কবরস্থানের পাশ দিয়ে গেলেও আর ভয় লাগে না। চমৎকার কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার শেয়ার করার নয়ন তারা ফুলের ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। প্রথমে আপনি যে ফুলের ছবিটি শেয়ার করেছেন তার নাম কসমস আর শেষের দিকে আপনি যে ফুলটিকে কৃষ্ণচূড়া বলেছেন ওইটার নাম সম্ভবত রাধাচূড়া ফুল।

আপনার তোলা ছবিগুলো বেশ সুন্দর হয়েছে। তবে প্রথম ছবিটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। সকল কবরবাসী বেহেস্তবাসী হোক এ দোয়া করি। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

অনেক ফটোগ্রাফি দেখেছি কিন্তু ফটোগ্রাফির মধ্যে এরকম অনুভূতি কারো পোস্টে দেখে নি, কিছু চিরন্তন সত্য কথা ছিল একদিন আমাদের এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যেতে হবে ঠিক ওই স্থানটিতে, কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি কারণ এত সুন্দর ফটোগ্রাফির পেছনের গল্পটা অনেক আবেগ অনেক মায়ার। আল্লাহ আপনার নানুকে বেহেশ্ত নসিব করুক।

আপনি খুবই চমৎকার কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। কবরস্থান থেকে ক্যাপচার করা ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দারুন ছিল। খুবই সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে ফটোগ্রাফি। আপনার নানু এবং সকল কবরবাসী বেহেস্তবাসী হোক সেই দোয়া করি। কবর স্থানের পাশ দিয়ে হাঁটতে অনেকেরই ভয় লাগে। কিন্তু আমার এত বেশি এখন ভয় লাগে না। ছোটবেলায় একটু একটু ভয় লাগতো।

কবরস্থানে পাশ দিয়ে হাঁটতে গা ছমছম করে। ঠিকই বলেছেন সকল অহংকার, চাওয়া,পাওয়া, অভিযোগ একদিন সব শেষ হয়ে যাবে। আমাদের সবাইকে সেখানে থাকতে হবে। প্রথমে যে ছবিটি দিয়েছেন সেটি কসমস ফুল। তার পরের মিনি টগর, হলুদ কালারের ফুলের নাম এলামন্ডা, লাল কালারের ফুলের নাম ল্যান্টেনা, আর সাদা কালার ফুলটার নাম টগর ফুল। আপনাকে ধন্যবাদ এইরকম একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।