আমার করা সর্বশেষ ৭টি ডিজিটাল আর্ট পোস্টের রিভিউ || ১০℅ লাজুক খ্যাঁকের জন্য

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।আজকে আমি কোনো আর্ট করবো না। আজকে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আমার পুরো সপ্তাহের আর্ট পোস্ট নিয়ে। আমার আর্টপোস্টের রিভিউ করবো আজেকে। আসলে পোস্টের ক্ষেত্রে আর্ট পোস্ট আমার সব চয়ে বেশি হয়। কারণ এই কাজটাতে আমি বেশি সাচ্ছন্দ্য বোধ করি। আর লেভেলে ক্লাশ করার সময় পড়েছিলাম, আমি যে কাজে বেশি অভিজ্ঞ সেই কাজই করা উত্তম তাতে পোস্টের কোয়ালিটি ভালো থাকে। তবে আমি রেসিপি পোস্ট, ফটোগ্রাফি পোস্ট করতেও অনেক পছন্দ করি।আগের সপ্তাহের দুটি ও এই সপ্তাহের ৫ টি মোট ৭টি ডিজিটাল আর্টের রিভিউ করবো। আশা করি সবার ভালো লাগবে। তাহলে শুরু করা যাক।

খাঁচা যদি সোনা দিয়েও তৈরি করা হয় তার পরও তা বন্দিশালা। মানুষ বলেন আর পশু পাখি কেউ নিজের স্বাধীনতা হারাতে যায় না। সাবাই নিজেদের পছন্দ মতো জীবন অতিবাহিত করতে চায়। আমি মূলত এই কনসেপ্ট থেকেই এই চিত্রটি এঁকেছিলাম। আমাদের সাবাইকে এই বিষয়টা বুঝা উচিত। পাখি খাঁচায় নয় আকাশে উড়তে বেশি পছন্দ করে। আপনারা চাইলে চিত্রটি আঁকার কৌশল দেখে আসতে পারেন।

মুসলমানদের জন্য ফজিলতের মাস হচ্ছে রমজান মাস। এই মাসে যে যতো প্রকার ইবাদত বন্দেগী করতে পারে তত ভালো। আর এই মাসে বড় ইবাদত হচ্ছে কুরআন পড়া। মূলত এই চিত্রটি এঁকেছি রমজান মাস স্পেশাল। আর আমরা যারা মুসলমান আছি আমাদের বেশি বেশি নামাজ পড়তে হবে। এই চিত্রটি পারসোনালি আমি পছন্দ করি।

এই চিত্রটি এঁকেছি আমাদের সবার প্রিয় লাজুক খ্যাঁকের প্রতি ভালোবাসা থেকেই। আমার বাংলা কমিউনিটিতে এমন কেউ নাই যে লাজুক খ্যাঁকের ভালোবাসা পেতে চায় না। তাই ভাবলাম লাজুক খ্যাঁকের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করি। বি.দ্র - লাজুক খ্যাঁকের ছোঁয়া আছে এই চিত্রতে।

এই চিত্রটি একটু ভিন্ন কনসেপ্টের। আমি এই ছেলেকে পারসোনালি চিনি না। গ্রীন লাইফ হাসপাতালে গিয়ে ছিলাম ছোট ভাইয়ের সিটিস্ক্যান করাতে। ওয়েটিং রোমে বসে থাকার সময় এই পিচ্ছিকে দেখি। এই দেখতে অনেক কিউট। আবার দুষ্টু ও আছে মোটামুটি। আমাদের দেখে মিষ্টি মিষ্টি হাসতেছিলো। আমি একটু লুকিয়ে কিছু ছবি ক্যাপচার করে নিয়েছিলাম। এর পর বাসায় এসে মনে হলো এই ছেলের একটা আর্ট করলে খারাপ হয় না।

এই চিত্রটি আঁকার কোনো পূর্ব পরিকল্পনা ছিলো না। আমি শুভ ভাইয়ের ওয়ালটা ঘুরে দেখছিলাম। দেখতে দেখতে এই চিত্রটি আমার চোখে পড়ে। শায়ান বাবুকে অনেক পিচ্ছি লাগছিলো দেখে আমার খুব ভালো লাগলো। তাই মনে হলো এক ফ্রেমে যেহেতু তিনজন আছে তাহলে ছবিটি এঁকে ফেলি। আকার পর আমার নিজের কাছেও অনেক ভালো লাগছে। বেশি ভালো লাগছে যখন দেখছি এই পোস্টে শুভ ভাই কমেন্ট করছে + পোস্ট রিস্টিম করছে। আমি খুবই খুশি হয়েছি।

১২/০৪/২০২২ আমাদের সবার প্রিয় ব্ল্যাক্স দাদার জন্মদিন ছিলো। সবাই অনেক ভাবে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। আমি যেহেতু ডিজিটাল আর্ট করতে ভালোবাসি তাই আমি দাদার ছবির ডিজিটাল আর্ট করি। ছবিটি আর্ট করতে আমার প্রায় ২ ঘণ্টার বেশি সময় লাগছে।

এই চিত্রটি প্রকৃতি প্রিয় মানুষের জন্য। আমি প্রজাপতি অনেক বেশি পছন্দ করি। আমি ডিজিটাল আর্ট করতে গেলে সেখানে প্রজাতির ব্যবহার করি যদি ব্যবহার করার জায়গা থাকে। মানুষ আর প্রানীর মধ্যাকার ভালোবসার চিত্র ফুটিয়ে তুলার চেষ্টা করেছি এই পোস্টের মাধ্যমে।