গাংনীবাজারে ফুচকা খাওয়ার ও কেনাকাটার মুহূর্ত

আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি আপনাদের দোয়ায় মোটামুটি অনেক ভালো আছি। সকলকে শুভকামনা জানিয়ে শুরু করছি নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি গাংনী বাজারে কিছুটা আনন্দঘন মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম সেই বিষয়ের ফটো নিয়ে। আশা করি আমার এই ব্লগটা আপনাদের ভালো লাগবে। তাই চলুন দেরি না করে এখনি শুরু করি।

বিশেষ কারণে গাংনী বাজারে উপস্থিত হয়েছিলাম আমরা দুজনে। একদিকে ডাক্তারের কাছে গেলাম এরপর কিছু কেনাকাটার প্রয়োজন। এজন্য হসপিটাল থেকে বের হয়ে চলে আসলাম বাজারের দিকে। বাজারের দিকে আসা মাত্রই দেখলাম চোখের সামনে একজন ফুচকা বিক্রেতা খুব সুন্দর করে ফুচকা তৈরি করছে, আর পাশে অনেকজন মানুষ ভিড় করছে ফুচকা খাওয়ার জন্য। আমারও খুব ইচ্ছে হলো ফুচকা খাওয়ার। তাই আমরা সেই জায়গায় বসে পড়লাম ফুচকা খাওয়ার উদ্দেশ্য। আমি এর আগে অনেকবার এখানে লক্ষ্য করে দেখেছি মানুষের ফুচকা খাওয়ার জন্য ভিড় করে। তাই অনেক দিনের আশাও ছিল একদিন এই জায়গায় ফুচকা খেতে আসবো। ঠিক সেই কাঙ্খিত দিন এসে গেল আমার

প্রায় দশ মিনিট বসে থাকার পর আমাদের কাঙ্খিত ফুচকা রেডি করে দিলেন। অনেক সুন্দর করে বিভিন্ন মসলা পাতি দিয়ে তৈরি করেছেন দেখলাম। অনেক দিনের শখ ছিল প্রিয়জনের সাথে বসে এখানে ফুচকা খাব। যাইহোক সে আশা পূরণ হল। ফুচকা গুলো বেশ মোটামুটি সুস্বাদু ছিল। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে টাকা পরিশোধ করে পোশাকের মার্কেট এর দিকে উপস্থিত হলাম।

রুমের বেশ কয়েকটা জিনিস প্রয়োজন ছিল বিশেষ করে জানালা দরজার পর্দা। তাই উপস্থিত হলাম একটি দোকানে। দেখলাম সেখানে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস টাঙ্গানো রয়েছে। পছন্দ করলাম কয়েকটা। গাংনী বাজারের এই স্থানটাতে পাশাপাশি অনেকগুলো পোশাকের দোকান রয়েছে। সারিবদ্ধ দোকান গুলো দেখতে বেশ ভালো লাগে আর বর্তমান শীতের সময় হয় কেনাকাটার জন্য অনেক নারী পুরুষের আগমন। সকল মানুষের ভালো লাগছিল কেনাকাটা করার মুহূর্তে পাশাপাশি ফটোগ্রাফি করতে।

পাশাপাশি দোকানে থাকা অনেক কিছু ফটোগ্রাফি করতে থাকলাম। দোকানদার ভাইদের কাছে এক একটা জিনিস বিষয়ে জানার চেষ্টা করলাম আর ধারণা নিলাম। এখানে বালিশের কভার থেকে শুরু করে বালিশ কম্বল জানালা দরজার পর্দা সিট কাপড় সহ অনেক কিছু রয়েছে। এরপর যতক্ষণ অবস্থান করলাম এক এক জিনিস সম্পর্কে ধারণা পেলাম অবশেষে কেনাকাটা শেষ করে টাকা পরিশোধ করে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। আর এভাবেই গাংনী বাজারে বিশেষ একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করলাম।

Photography device: Infinix hot 11s
Location

সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আমার পরিচয়

আমি মোছাঃ সিমরান জারা। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য সুমন জিরো নাইন এর পরিবার। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর। আমি একজন গৃহিণী। আমি ফটোগ্রাফি, রেসিপি পাশাপাশি ব্লগ করতে বেশি পছন্দ করে থাকি। এছাড় বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে ভালো লাগে। আমি এসএসসি পাশ করেছি। গাংনী ডিগ্রী কলেজে অধ্যায়ণরত রয়েছি।

বোঝাই যাচ্ছে গাংনী বাজারে গিয়ে অনেক কিছু কেনাকাটা করেছেন কেনাকাটার পাশাপাশি অনেক কিছু দেখেছেন, দুজনেই অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। ফুচকা পছন্দ করে না এরকম মানুষ হয়তো বা খুঁজে পাওয়া যাবে না বিশেষ করে মেয়েরা ফুচকা অনেক বেশি পছন্দ করে। কিছুটা সময় সেখানে অপেক্ষা করে ফুচকা খেয়েছেন জন্য ভালো লাগলো, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

_{Posted using SteemPro Mobile}

Sort Order:

Trending

[-]

steem.history (78) · 10 months ago

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.

_{please click it!}

_{(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)}

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

$0.00

monira999 (76) · 10 months ago

ডাক্তারের কাছে গিয়েছেন আর সেই সুযোগে কেনাকাটা করেছেন দেখে ভালো লাগলো আপু। আর আপনি অনেক সুন্দর ভাবে নিজের অনুভূতি তুলে ধরেছেন। ফুচকা গুলো দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে আপু।

simransumon (61) · 10 months ago

হ্যাঁ আপু বারবার তো যা হয়ে ওঠে না তাই একবারে কেনাকাটা করেছি পাশাপাশি ফুচকা খেয়েছি

jibon47 (71) · 10 months ago

ফুচকা আমার খুব প্রিয়

biplob89 (67) · 10 months ago

ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন গাঙ্গুল বাজারে ফুচকা খাওয়া এবং কেনাকাটার খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত। সত্যি ভাইয়া খুব সুন্দর একটা মুহূর্ত আপনি উপভোগ করেছেন আপনার পোস্ট থেকে মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

ভাইয়া একটু দেখেশুনে কমেন্ট করবেন। আমি আপনাদের ছোট ভাবি। আপনার ভাইয়ের সাথে গেছিলাম। আইডি দেখলেই তো বুঝতে পারেন।