কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি আপনাদের দোয়ায় মোটামুটি অনেক ভালো আছি। সকলকে শুভকামনা জানিয়ে শুরু করছি নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি নাটক রিভিউ নিয়ে। নাটকের নাম 'উড়ে যায় বকপক্ষী', যা আমার অতি প্রিয় একটি নাটক। নাটকটির মূল পর্ব ২৬ টি। আজ আমি আপনাদের মাঝে ৭ তম পর্ব রিভিউ আকারে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
❤️স্ক্রিনশট: ইউটিউব❤️
নাম | উড়ে যায় বকপক্ষী |
রচনা | হুমায়ূন আহমেদ |
পরিচালক | হুমায়ূন আহমেদ |
অভিনয়ে | মেহের আফরোজ শাওন,রিয়াজ,চ্যালেঞ্জার,মাসুম আজিজ,ফারুক আহমেদ,স্বাধীন খসরু,এজাজুল ইসলাম,ড. ইনামুল হক,সালেহ আহমেদ সহ আরো অনেকে। |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
ধরণ | হাস্যরসাত্মক এবং সামাজিক |
পর্বের সংখ্যা | ২৬ |
রিভিউ | ৭ তম পর্ব |
দৈর্ঘ্য | ২০ মিনিট |
প্ল্যাটফর্ম | ইউটিউব @NTVNatok চ্যানেল |
চরিত্রেঃ
- চ্যালেঞ্জার
- মেহের আফরোজ শাওন
- ফারুক আহমেদ
- মাসুম আজিজ সহ আরো অনেকে
উড়ে যায় বকপক্ষী নাটকের সপ্তম পর্বের শুরুতেই মিশা খালির বিখ্যাত খান বংশের একমাত্র ছেলে জালাল এসে উপস্থিত উস্তাদ মজিদ মিঞার গ্রামে। সে মূলত এই গ্রামে এসে উপস্থিত হয়েছে পুষ্পোর গানে মুগ্ধ হয়ে। পুষ্পর গান শুনবে এরপর তার গান ভালো লাগলে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিবে। কিন্তু গ্রামে এসে উপস্থিত হয়ে উস্তাদ মজিদ মিঞার বাড়ি খুঁজে পায় না। বেশ কিছু মানুষের কাছে বাড়ি জেনে নেয়। কিন্তু বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বাবা মেয়ে কাউকে দেখা পেলেন না। এরপর তার প্রচন্ড খিদেতে পেট জ্বলতে থাকে। অনেক মানুষের কাছে খাবার পাওয়ার জন্য টাকার লোভ দেখায় কিন্তু কেউ খাবারের ব্যবস্থা করে দেয় না। আর এই সুযোগে গানের দলের তৈয়ব আলী খাবার দেওয়ার মিথ্যা কথা বলে ২০০ টাকা হাতিয়ে নেয় তার কাছ থেকে। এদিকে প্রচন্ড খিদায় খুব কষ্ট করছিলেন জালাল খাঁন
🌻স্ক্রিনশট: ইউটিউব🌻
এরপর জালাল খান খিদে মেটাতে গানের দলের ফজলু অর্থাৎ দোতারা চাচার দোকানে উপস্থিত হন এবং কিছু খেয়ে নেন। তবে সেই দোকানের মধ্যেই ঘুমিয়ে ছিল তৈয়ব আলী। এরপর হঠাৎ রাস্তায় জালাল খান দেখতে পান বাবা মেয়ে রাস্তা দিয়ে আসছেন। জালাল তাদের কাছে প্রশ্ন করে উস্তাদ মজিদের কথা, পুষ্প এর কথা। কিন্তু জানা ছিল না এরাই সেই বাবা মেয়ে। এরপর তাদের কাছে এসে নিজের পরিচয় তুলে ধরে, কেন এসেছে সে বিষয়টাও ব্যক্ত করলেন। তার কথার ভঙ্গি দেখে ওস্তাদ মজিদের খুব ভালো লাগলো। কিন্তু পুষ্পের কাছে মনে হল জালাল খায় একজন বোকা মানুষ। মজিদ মিয়া তাকে তার বাড়িতে যেতে বললেন। কিছু ডাল ভাত খেতে বললেন। কিন্তু জানান দোকান থেকে খেয়েছেন, এদিকে আবার টাকার অহংকার দেখিয়ে বললেন টাকা তার কাছে তেজপাতা। তাই পুষ্প আর বেশি কথা না বলে তার বাবাকে টানতে টানতে নিয়ে চলে গেল বাড়িতে।
🌻স্ক্রিনশট: ইউটিউব🌻
এদিকে গ্রামের মাতবর সোলাইমান মিয়ার সাথে দেখা হয়েছিল জালাল খাঁর। উনি তার নাম পরিচয় জানতে চেয়েছিলেন কিন্তু পাল্টা বেয়াদবের মত জালাল খাতা তার নাম পরিচয় জানতে চেয়েছিলেন, এতে বেশ অসম্মানিত হয়েছিল সোলায়মান সাহেব। এরপর জালাল খাঁ একটি গাছের নিচে গোঁফ দাড়ি সেভ করে নিচ্ছিলেন, এমন মুহূর্তে তৈয়বের দেখা মিলল পথ দিয়ে যেতে। পাশের পুকুরে ধারে সিটে বসে ছিলেন সোলায়মান সাহেব, তার হাতের লাঠিটা এনে জালাল খাঁ তৈয়ব আলীকে পিটাতে থাকে। কারণ সে ঠকবাজের পরিচয় দিয়েছে জালাল খাঁর কাছে।
🌻স্ক্রিনশট: ইউটিউব🌻
এদিকে ভাঙ্গা লাঠি হাতে করে সোলায়মান সাহেব বাড়িতে ফিরে। তার পরিবার এমন অবস্থার কথা জানতে চাইলে কিছুতেই বলতে চায় না। তাই মনে মনে তার পরিবার একটু ভয় পেলেন। মনে করলে না হয়তো সামনে ইলেকশন নাজানি বিরোধী দলরা তার সাথে খারাপ আচরণ করছে। তাই ইলেকশনের সহযোগী হিসেবে সোলাইমান সাহেবের পরিবার তার ভাই কাদেরের কাছে চিঠি লেখেন। এরপর বোনের লেখা চিঠি পৌঁছে যায় ছোট ভাই কাদেরের হাতে। দুলাভাইয়ের ইলেকশনে সেও আসার জন্য প্রস্তুত।
🌻স্ক্রিনশট: ইউটিউব🌻
পুষ্প তাদের হারমোনিটা পরিষ্কার করছে। হঠাৎ হাসান রুমের মধ্য থেকে বের হয়ে এসে তাকে ডাক দেয়। সে শুধু দুইটা মিনিটের জন্য অনুরোধ করে জেনো একটু ঘরের মধ্যে এসে দেখে। এরপর ঘরে এসে সে আশ্চর্য হয়ে যায়। হাসান অনেকগুলো মোমবাতি গোল করে সাজিয়ে জালিয়ে রেখেছে। অতঃপর জানতে পারলো আজ হাসানের জন্মদিন। জন্মদিনে মোমবাতি জ্বালাতে হয়, এরপর নিভাতে হয়। এই মুহূর্তে প্রার্থনা করতে হয় নিজের বিশেষ কোনো ইচ্ছা নিয়ে। এমন সব বিষয়গুলো পুষ্পের কাছে নতুন মনে হতে থাকলো, কারণ সে গরিবের ঘরে জন্ম বড় হয়েছে। এ সমস্ত বিষয়ে তার কোন আইডিয়া ছিল না। আর এভাবেই উড়ে যায় বকপক্ষী নাটকের সপ্তম পর্বের শেষ হয়।
🌻স্ক্রিনশট: ইউটিউব🌻
এই নাটকের প্রধান অংশ জুড়ে ছিল জালাল খান। সে পুষ্পের গানে মুগ্ধ হয়ে তাদের গ্রামের বাড়িতে এসে উপস্থিত হয়েছেন। তবে উপস্থিত হওয়ার পূর্বে বেশ সমস্যা ফেস করেছেন। একদিকে তার বাড়ি চেনা নিয়ে, তাদের চিনতে সময় লেগেছে। আবার খিদের কারণে ঠগবাজ তৈয়ব আলীর প্রতারণার শিকার হন। এমন একটি পর্যায়ে তৈয়েব আলীকে আঘাত করেন তিনি। নতুন একটি গ্রামে তার এই আগমন এবং মাতব্বর সোলাইমান সাহেবের সাথে খারাপ আচরণ ও সামনে মারধরের বিষয়টা একটু খারাপ দৃষ্টিতে দেখিয়েছে। এরপরের পুষ্পের বাবার কাছে দালাল খান বেশি পাত্র মনে হয়েছে। কারণ তার কথাবার্তা গুলো ওস্তাদ মজিদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে। কিন্তু পুষ্প তার কথাবার্তা শুনা মাত্র জেনে গেছে জালাল একজন বোকা মানুষ। এদিকে জালালের প্রধান কথা হচ্ছে পুষ্পের গান শুনে যদি ভালো লাগে সে তাকে বিয়ে করবে। এমনকি পুষ্প কে সে প্রস্তাব দিয়ে ফেলে। কিন্তু পুষ্প তাকে বোকা বলে বিয়ে করার সম্মতি দেন না। তবে এখানে অভিনয়ের দিক থেকে আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে জালাল খাঁর। কারণ শেষ এসেই অনেক সুন্দর অভিনয়ের দেখিয়েছেন। পাশাপাশি হাস্য রসাত্মক অভিনয়ে তৈয়ব আলী সব সময় থেকে থাকেন। সব মিলিয়ে এই পর্বটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
৯/১০
রিভিউটা ভিজিট করার জন্য ধন্যবাদ।
আমি মোছাঃ সিমরান জারা। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য সুমন জিরো নাইন এর পরিবার। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর। আমি একজন গৃহিণী। আমি ফটোগ্রাফি, রেসিপি পাশাপাশি ব্লগ করতে বেশি পছন্দ করে থাকি। এছাড় বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে ভালো লাগে। আমি এসএসসি পাশ করেছি। গাংনী ডিগ্রী কলেজে অধ্যায়ণরত রয়েছি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
উড়ে যায় বকপক্ষী নাটকটা কিন্তু অনেক সুন্দর লাগে আমার কাছে। যদিও এই নাটকটা আমি দেখি না, তবে আপনার রিভিউ পোস্টের মাধ্যমে নাটকটার কাহিনী জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি। আজ আপনি অনেক সুন্দর করে এই নাটকটার সপ্তম পর্বের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, যেটা আমি সম্পূর্ণ পড়ার চেষ্টা করেছি। গ্রামীণ এরকম নাটক গুলা আগে বেশি দেখে থাকতাম, তবে এখন খুব একটা দেখা হয় না। আসলে ব্যস্ততার কারণে এখন নাটক খুবই কম দেখা হয়ে থাকে। আশা করছি এই নাটকের অষ্টম তম পর্বের রিভিউ, আপনি তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুযোগ করে দেখবেন ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নাটকটি দেখে বোঝা যাচ্ছে নাটকটি অনেক আকর্ষণীয় ছিল কিন্তু নাটকটি আজো আমি দেখা হয়নি।আপনি নাটকটির টাইটেল দিয়েছেন,"উড়ে যায় বকপক্ষী" সপ্তম পর্ব, আশা করি নাটকটি সময় করে দেখে নেব, নাটকটি অনেক শিক্ষণীয় বিষয়ে রয়েছে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দেখে নিবেন, ভালো লাগবে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই পর্বে সবচাইতে হাস্যকর মূহুর্ত ছিল তৈয়বের মিথ্যা বলে টাকা নেওয়ার দৃশ্যটা। নাটকে সে একজন অতি চালাক মানুষ। পরবর্তীতে তাকে মেরে লাঠি ভেঙে ফেলার ব্যাপার টাও বেশ ছিল। দারুণ করেছেন নাটকের এই পর্বের রিভিউ টা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ ভাইয়া এই পর্বটা বেশ ভালো লাগে আমার। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit