নাটক রিভিউ "উড়ে যায় বকপক্ষী" ১৩ তম পর্ব

in hive-129948 •  2 months ago 


আসসালামু আলাইকুম

আজ
বৃহস্পতিবার

১২ সেপ্টেম্বর,
২০২৪

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি আপনাদের দোয়ায় মোটামুটি অনেক ভালো আছি। সকলকে শুভকামনা জানিয়ে শুরু করছি নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি নাটক রিভিউ নিয়ে। নাটকের নাম 'উড়ে যায় বকপক্ষী', যা আমার অতি প্রিয় একটি নাটক। নাটকটির মূল পর্ব ২৬ টি। আজ আমি আপনাদের মাঝে ১৩ তম পর্ব রিভিউ আকারে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।


Screenshot_20240912-183209.jpg

❤️স্ক্রিনশট: ইউটিউব❤️


নাটকের বিশেষ তথ্যঃ


নামউড়ে যায় বকপক্ষী
রচনাহুমায়ূন আহমেদ
পরিচালকহুমায়ূন আহমেদ
অভিনয়েমেহের আফরোজ শাওন,রিয়াজ,চ্যালেঞ্জার,মাসুম আজিজ,ফারুক আহমেদ,স্বাধীন খসরু,এজাজুল ইসলাম,ড. ইনামুল হক,সালেহ আহমেদ সহ আরো অনেকে।
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা
ধরণহাস্যরসাত্মক এবং সামাজিক
পর্বের সংখ্যা২৬
রিভিউ১৩ তম পর্ব
দৈর্ঘ্য২০ মিনিট ৫৫ সেকেন্ড
প্ল্যাটফর্মইউটিউব চ্যানেল @NTVNatok


প্রধান চরিত্রেঃ


চ্যালেঞ্জার
মেহের আফরোজ শাওন
ফারুক আহমেদ
মাসুম আজিজ সহ আরো অনেকে


কাহিনীর সারসংক্ষেপ


অনেকদিন পর জালাল খা আবারও পুষ্পদের গ্রামে উপস্থিত। তবে তার অবস্থা তেমন একটা ভালো নয়। তার কি প্রবলেম হয়েছে নিজেও ভালো ভাবে বলতে পারেনা। সে আসার পর লক্ষ্য করে দেখে ফজলু চাচার জল চিকিৎসা চলছে। সে ফজলু চাচার মত নিজের ও জল চিকিৎসা শুরু করে দিল। কারণ ফজলু চাচা একটা কথা তাকে সুন্দর করে বুঝিয়ে বলে যে মাছের তো জ্বর আসেনা, জলে থাকে তাই। কথাটা জালাল খার বিবেকে ধরল। তাই সে ফজলু চাচার মত জলের মধ্যে ডুব মেরে থাকা শুরু করে দেয়। তবে এমন বিষয়টা পুষ্প যখন জানতে পারলো, সে জল থেকে তুলে নিয়ে গেল জালাল কে।

Screenshot_20240912-210626.jpg

🌻স্ক্রিনশট: ইউটিউব🌻



এদিকে পুষ্পদের চেয়ারম্যান হাসানকে ইলেকশন করার জন্য বলে। হাসান বৈদেশী মানুষ। সে এসেছে তথ্য সংরক্ষণের জন্য গানের দলের। কিভাবে সে চেয়ারম্যানের ইলেকশন করে দিবে। সে তো রাজনীতি বুঝেনা। কিন্তু চেয়ারম্যান উল্টাপাল্টা কথা বলল এজন্য তাদের দুজনার ভিতর দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হলো। দুইজনা হাতাহাতি করতে করতে মারামারি শুরু করে দিয়েছে। আর তাদের এই মারামারির বিষয়টা একটি বাচ্চা মেয়ে স্বচক্ষে দেখেছে। পরবর্তীতে চেয়ারম্যানের লোকজন হাসানের গায়ে হাত উঠেছে। জানো বিষয়টা খুবই দুঃখজনক হয়ে দাঁড়ালো।

Screenshot_20240912-210549.jpg

🌻স্ক্রিনশট: ইউটিউব🌻



এদিকে তৈয়ব গ্রামের এক ব্যক্তির শ্যালিকা অর্থাৎ সেলিনা বেগমকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে মিথ্যা বলে তিন কবুল পাঠ করে বিয়ে করে ফেলেছে। তার এ তিন কবুল পাঠ করার বিষয়টা জানার পর দুলাভাই প্রচন্ড রেগে গেছে। লোকটার মাথায় এতটা গরম হয়েছে, শালিকাকে এক হাতে ধরে আর এক হাতে দাঁও নিয়ে তৈয়বকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন গ্রামের মধ্যে। তার এমন রাগ দেখে গানের দলের ওস্তাদ বললেন মেয়েটাকে হাতে করে নিয়ে বেড়ানোর কি প্রয়োজন তাকে তো বাড়িতে রেখে আসত পারত। সে প্রায় মানুষকে প্রশ্ন করছে তৈয়েবের সাথে দেখা হয়েছে কিনা। কিন্তু এ প্রশ্ন সে তৈয়ব কে করেছিল। ওই মুহূর্তে তৈয়ব বোরখারা নিচে ছিল নিজেকে বাঁচাতে।

Screenshot_20240912-210705.jpg

🌻স্ক্রিনশট: ইউটিউব🌻



এদিকে প্রত্যেকটা দিন ফজলু চাচার জল চিকিৎসা চলতে রয়েছে। উনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাত দিন ধরে পানির মধ্যেই থাকবেন। তাই পুষ্পকে বলে দিয়েছে সে যেন তার খাবারদাবার এনে দিয়ে যায় উপরে। তার এমন পাগলামিটা সত্যি সবাইকে যেন হাসায়। কিন্তু পুষ্প সত্যিই একটা ভালো মেয়ে যার জন্য সে হাসিমুখে ফজলু চাচার পাগলামি মেনে নেয় এবং সঠিক সময়ে খাবার নিয়ে উপস্থিত হন পুকুর পাড়ে। তবে ফজলু চাচার এমন অবস্থার পর থেকে গানের দলের কার্যক্রম যেন অনেকটা কমে গেছে। আগের মত আর গানের দলের আয়োজন জমজমাট হয় না। এদিকে ওনার স্ত্রী চলে যাওয়াই তার মনের দুঃখটা পুষ্প ভালোভাবে বুঝতে পারেন। তাই পুষ্প নিজের সন্তানের মত তাকে যত্ন নিতে থাকেন।

Screenshot_20240912-210803.jpg

🌻স্ক্রিনশট: ইউটিউব🌻



তৈয়ব মনে প্রাণের সেলিনা বেগমকে ভালোবেসে ফেলেছে। সে বিশ্বাস করে তাদের তিন কবুল বলায় বিয়ে হয়ে গেছে। তাই যে করে হোক তার সাথে দেখা করার জন্য ছুটে আসে কিন্তু তার দুলাভাইয়ের জন্য বেশ ব্যাহত হতে হয়। এইজন্য সে বোরখার সাজ নিয়েছে। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি প্রতিনিয়ত মেয়েটার দুলাভাই ছুটে বেড়াচ্ছে তৈয়ব কে খুঁজে বের করার আশায়। যখনই পুকুর ঘাটে সেলিনার সাথে দেখা করতে আসলো অমনি সে দেখতে পারলো দুলাভাই দাও হাতে এগিয়ে আসছে। তাই ভয়ে দৌড়ে পালিয়ে গেল, কথা হলো না ছেলিনারা সাথে।

Screenshot_20240912-210848.jpg

🌻স্ক্রিনশট: ইউটিউব🌻



এদিকে সারা গ্রাম জুড়ে ভোটের আয়োজন চলছে। বর্তমান যিনি চেয়ারম্যান রয়েছে তার মার্কা ঘড়ি আর সুলাইমান চাচার মার্কা গরু। গানের দলের সবাই সোলাইমান চাচার পক্ষে কাজ করছেন। তবে পূর্বের জিনিস চেয়ারম্যান রয়েছেন তার পক্ষে ভোট মেলা। এদিকে সোলায়মান চাচার কুটুম মিছিলের জন্য বের হলে তার পিছনে তেমন লোক হয় না। তাই বাড়ির কর্মচারীর সাথে কুটুমের দ্বন্দ্ব বিভেদ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তার সাথে মারামারি শুরু হয়ে যায়। এখানে তার দোষ ছিল কেন সে জনের স্লোগান দিচ্ছে না আর লোকজন তাদের পিছু আসছেনা। একজন বাড়ির শ্রমিক হয়ে কি করতে পারে এই বিষয়ে। বিষয়টা না বুঝে ভুল বুঝাবুঝিতে মারামারি হয়ে গেল দুজনার। আর এভাবে একটি পর্যায়ে এই পর্বের সমাপ্তি আসে।

Screenshot_20240912-210905.jpg

🌻স্ক্রিনশট: ইউটিউব🌻


99pyU5Ga1kwqSXWA2evTexn6YzPHotJF8R85JZsErvtTWYsppmXccekHQtuRnvumd4YXJL6tgu3HeQ9kVdaMY7Ztny91Kmy6WbCfuPPL5AaxDjDtXQqm2QqLmK5DNCPD34-1.png

ব্যক্তিগত মতামত:

এ নাটকের মধ্যে আমরা দুইটা মারামারি হাতাহাতি লক্ষ্য করেছি। একদিকে চেয়ারম্যানের সাথে বৈদেশীর মারামারি। আরেক দিকে সোলায়মান মাতুব্বরের কুটুম ও বাড়ির কাজের লোকের সাথে। তবে এর মধ্যে বেশ হাসি আনন্দ রয়েছে ফজলু চাচার ও তৈয়বের কথার মধ্যে। ফজলু চাচা প্রথম থেকেই আনন্দদায়ক কথা বলে দর্শকের মন জয় করে রেখেছে। পাশাপাশি শুরু থেকেই এ পর্যন্ত তৈয়বে কথাগুলোর জন্যই নাটকটা যেন দেখতে মন চাই বারবার। দ্বিতীয়বারের মতো জালাল খাঁ আবার এসে উপস্থিত হয়েছে এই গ্রামে। এখানে প্রত্যেক জনের সুন্দর অভিনয় আমাকে মুগ্ধ করে। আগের মত এখনো জালাল টাকা কে তেজপাতা রূপে গণ্য করেন। তবে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বেশ বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন গানের দলের ওস্তাদ। বৈদেশীর মারামারির কথা, তৈয়বের পাগলামি বিবাহ ও জালালের অসুস্থতা যেন গানের দলের ওস্তাদের মনটাকে বিষন্ন করে রেখেছে। তবে আগামী পর্বে আমরা নতুন কিছু আশা করব। ইলেকশনের বিষয় এবং তৈয়বের বিষয়টা কোন পর্যায়ে উপস্থিত হয়। তবে এই পর্বে আমার কাছে ফজলু চাচার কিছু সংলাপ আমাকে মুগ্ধ করে।

ব্যক্তিগত রেটিং:

৮.৭৫/১০


নাটকের লিংক


রিভিউটা ভিজিট করার জন্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif

আমার পরিচয়

আমি মোছাঃ সিমরান জারা। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য সুমন জিরো নাইন এর পরিবার। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর। আমি একজন গৃহিণী। আমি ফটোগ্রাফি, রেসিপি পাশাপাশি ব্লগ করতে বেশি পছন্দ করে থাকি। এছাড় বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে ভালো লাগে। আমি এসএসসি পাশ করেছি। গাংনী ডিগ্রী কলেজে অধ্যায়ণরত রয়েছি।


qjrE4yyfw5pEPvDbJDzhdNXM7mjt1tbr2kM3X28F6SraZjhKfwarvyppgw9vqb9HZvwjHzdVYbXjNSwmxX8BvQtkJibkzjkMfqSg4GHwc6sRTpcDcvAvyxra.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

এই নাটকটা আমারও খুব ভালো লাগে। মাঝেমধ্যে দেখার চেষ্টা করে থাকি। আসলে পুরাতন দিনের নাটক গুলো খুবই ভালো। এখানে গ্রামীন পরিবেশ রয়েছে। যেন গ্রামীন পরিবেশের নাটকের মধ্যে অন্যরকম প্রশান্তি আর ভালো লাগা খুঁজে পাওয়া যায়। এ নাটকের তৈয়বের অভিনয়টা আমার বেশি ভালো লাগে।

রিভিউ পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ

উরে যায় বক পক্ষি হুমায়ুন আহমেদ এর বহুল আলোচিত একটি সিরিয়াল নাটক।আমি বেশ কয়েকবার এটা দেখেছি কখনো পুরান মনে হয়নি আমার কাছে।হাসি রসাত্মক এবং দারুন ইমোশনাল সিন দিয়ে ভরপুর এই নাটক টা সুন্দর রিভিউ করেছেন। ধন্যবাদ।

হ্যাঁ অনেক হাস্যকর

উড়ে যায় বকপক্ষী এই নাটকটার ১৩ তম পর্বের রিভিউটা অনেক বেশি সুন্দর ছিল। আর আমার কাছে পুরোটা পড়তে অনেক ভালো লেগেছে। এরকম নাটকগুলো রিভিউ পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। এই নাটকের পুরো কাহিনীটা অনেক সুন্দর ছিল। আমি চেষ্টা করবো সময় পেলে এই নাটকটা দেখার জন্য। আশা করছি আপনি অনেক তাড়াতাড়ি এই নাটকের ১৪ তম পর্বের রিভিউটা শেয়ার করবেন।

হ্যাঁ নাটকটা বেশ চমৎকার