Photography device: Infinix hot 11s
Location
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে গাংনী বাজারে একদিন
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। সকলকে শুভকামনা জানিয়ে শুরু করছি আজকের একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি গাংনী বাজারে কিছু কেনাকাটার উদ্দেশ্য নিয়ে। কেনাকাটার বিশেষ মুহূর্ত তুলে ধরব আপনাদের মাঝে, আশা করি ভালো লাগবে আমার এই ব্লগটা।
বিবাহের পর বেশ অনেকবার গাংনী বাজারে উপস্থিত হয়েছি প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার উদ্দেশ্যে। কয়েকবার উপস্থিত হয়েছি হাজবেন্ডের সাথে। একবার উপস্থিত হয়েছি আব্বার সাথে। আবার উভয়ের সাথে উপস্থিত হয়েছি এই বাজারে কেনাকাটা করতে। একদিন ছোট বোনের সাথে উপস্থিত হয়েছিলাম কিন্তু বিশেষ প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কেনা হয়ে উঠেছিল না। তাই আবারও আব্বু এবং আমার হাজবেন্ডের সাথে এসে উপস্থিত হলাম। বাজারটা বেশ বড় এখানে প্রয়োজনীয় অনেক কিছু কিনতে পাওয়া যায়। আর আমার আব্বুদের বাসা থেকে যতটা সুবিধা তার চেয়েও আমার শ্বশুর বাড়ির দিক থেকে আরও নিকটে এই বাজার। তাই সময় করে চলে আসলাম সবাই কেনাকাটা করতে। প্রথমে আমি প্লাস্টিক জাতীয় জিনিস কেনার উদ্দেশ্যে উপস্থিত হলাম একটি দোকানে। কিন্তু এই মুহূর্তে আব্বু বলল স্যান্ডেল কেনা বেশ ঝামেলা আগে তোমাদের স্যান্ডেল ট্যান্ডেল কিনে নাও। দেখলাম আব্বার কথায় সহমত পোষণ করলো সে। কিন্তু আমি যে অনেকগুলো প্লাস্টিকের জগ, গামলা, সরপর এটা সেটা কিনব, যেন আমার জিনিসের গুরুত্ব নেই তাদের। তারা তাদের মত কেনাকাটা শুরু করে দিল আর আমি আমার মত আমার প্রয়োজনীয় জিনিস দেখতে থাকলাম।
গাংনী বাজারে এটা নিউমার্কেট এখানে সবকিছুই পাওয়া যায়। আর সকল প্রয়োজনীয় জিনিস এর দোকানগুলো পাশাপাশি হাওয়ায় বেশ ভালো হয়েছিল আমাদের জন্য। বাম পাশের ঘরটিতে আব্বা আর সে তাদের জুতা স্যান্ডেল কেনায় ব্যতিব্যস্ত। এদিকে বেশ কয়েকটা দোকানে আমি আমার জিনিস দেখতে থাকলাম। আপনজনদের সাথে মাঝেমধ্যে এভাবে বাজারে আসার মজাটাই আলাদা। যেটাই দেখছিলাম সেটাই কিনতে ইচ্ছে করছিল কিন্তু টাকা তো আমার কাছে না টাকা রয়েছে তাদের দুজনার কাছে কি আর করার। আমার কাছে টাকা থাকলে তো তাদের আগেই আমি জিনিস কিনে রেডি হয়ে যেতাম বাড়ি যাওয়ার জন্য। আমাদের একটা ঝামেলা বোরখা পড়ে বেশিক্ষণ থাকা খুবই অসহনীয় লাগে। বাজারে কেনাকাটা করতে হয়তো একটু দেরি হয়ে যায় তারপরেও চেষ্টায় থাকি দ্রুত বাড়ি ফিরতে। যাই হোক তাদের কেনাকাটা হলো এরপর আমি কি কিনব সেই বিষয়ে তারা এগিয়ে আসলো।
অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর সুযোগ পেয়ে গেলাম। আব্বুকে বললাম আপনি আমাকে এটা এটা কিনে দিবেন,আর আমার হাজব্যান্ডকে বললাম আলাদা এটা এটা কিনে দিতে হবে। এরপর বারবার তাদের চোখ পান তাকাতে থাকলাম। দুজনাই বললো আচ্ছা ঠিক আছে টাকার চিন্তা মাথায় রেখে তারপর তুমি তোমার মত জিনিস নাও। আব্বু আমাকে কিনে দিল গামলা, বালতি,মগ সহ ১ হাজার টাকার জিনিস। এরপর আমার হাজব্যান্ড জগসহ টুকিটাকি সুকেশ সাজানো সাহস চামুচ রান্না করা খুন্তি, একটি ছোট ঘড়া সহ আরো অনেক কিছু কিনে দিল। এরপর আমি বিভিন্ন প্রকার বিস্কুট খেতে পছন্দ করি, সে সমস্ত জিনিস কিনে দিয়ে নিয়ে গেল হাড়ি পাতিল এর দোকানে। বিস্তারিত আরেকটি পোস্টে শেয়ার করব। ততক্ষণ ভালো থাকবেন।
আমি মোছাঃ সিমরান জারা। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য সুমন জিরো নাইন এর পরিবার। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর। আমি একজন গৃহিণী। আমি ফটোগ্রাফি, রেসিপি পাশাপাশি ব্লগ করতে বেশি পছন্দ করে থাকি। এছাড় বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে ভালো লাগে। আমি এসএসসি পাশ করেছি। গাংনী ডিগ্রী কলেজে অধ্যায়ণরত রয়েছি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মানুষের দৈনন্দিন জীবনে অনেক কিছুই কেনাকাটা করতে হয় । জীবনের এই যাত্রা যতদিন থাকবে এই কেনাকাটা এবং আকাঙ্ক্ষা থেকেই যাবে। আপনার শহর থেকে কিছু কেনাকাটার মুহূর্ত দেখে ভালো লাগলো। যেটার সাক্ষী হয়ে গেলাম আমরা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদম ঠিক কথা বলেছেন আপনি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit