আজ শুক্রবার
আজ
শুক্রবার ২০২৪
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। সকলকে শুভকামনা জানিয়ে শুরু করছি আজকের একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে এসেছি পাতি হাঁসের ফটোগ্রাফি। মনে করি, এই গৃহপালিত পাখির ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লাগবে। তাহলে চলুন দেখি পাতি হাঁসের ফটোগুলো।
প্রথমে একটা বিষয় বলা ভালো, শহর আর গ্রামের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। কিছু কিছু জিনিস গ্রামে খুঁজে পাওয়া যায় খুব সহজে। আবার কিছু জিনিস রয়েছে যা শহরে খোঁজ করলেও পাওয়া যায় না। শহর মূলত কৃত্রিমভাবে সাজানো থাকে। আর গ্রামগুলো বিভিন্ন জিনিসের সমন্বয়ে সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলে জনসম্মুখে। হয়তো দুই স্থানের পার্থক্য নিয়ে আপনাদের মাঝে খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করব। তবে আজকে এই বিষয়টা হঠাৎ মাথায় আসলো এইজন্য যে আমরা জানি পাতিহাঁস পানিতে থাকে। কিন্তু রাস্তা দিয়ে চলার মুহূর্তে দেখলাম পাতি হাঁসগুলো রাস্তার উপরে চড়াই করছে। শহর এলাকার রাস্তায় সবসময় গাড়ি চলাচল করে এভাবে রাস্তার উপরে পশুপাখি চরাই করতে সাহস পাবে না। কারণ যখন তখন গাড়ি চাপা পড়ার ভয়। আমি যখন আমাদের বাড়ির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম তখন দেখলাম পাতিহাঁস গুলো রাস্তার উপর কত সুন্দর করে চডরাই করছেন। এদিকে সেদিকে পুকুর রয়েছে কিন্তু তারা যে রাস্তার উপরে কেন এভাবে চরাই করছে সেটা বোধগম্য নয়। তবে একথা সত্য স্বাধীন ভাবে তারা চডরাই করতে পারছে। আবার এদের মধ্যে একটি রাজহাঁস দলপতি মতো রয়েছে দেখলাম। মনে হচ্ছে রাজহাঁসটা তাদের সর্দার। রাজ আসার পাতি হাঁস একত্রে এভাবে রয়েছে দেশে বেশ ভালো লাগলো।
আমাদের গ্রামের এই রাস্তা দিয়ে সব সময় মোটরসাইকেল ভ্যান গাড়ি চলাচল করে। তবুও পাতি হাঁস গুলো আবর্জনার পাশ দিয়ে এভাবে চরাই করে চলছে। আমার মায়ের গ্রামে তেমন বেশি একটা পুকুর নেই। তবে দুই গ্রামের ছোট একটি ঘাট রয়েছে। সেখানে সব পার্ট জাক দিয়ে রাখে। পাশাপাশি দুইটা গ্রাম লাগে। দুই গ্রামের এপাড়ার ওপারার পাতি হাঁসগুলো সে পুকুরের মধ্যে চরাই করে। তবে কোনদিন এভাবে রাস্তার উপরে চরাই করে বেড়াতে খেয়াল করি নাই। হয়তো রাস্তা পার হয়ে দ্রুত বাড়িতে চলে যেতে দেখেছি। এক সময় আমি অনেকগুলো পাতি হাঁস পুষে ছিলাম। কিন্তু এখন আর এ বাড়িতেও বাড়িতে কোথাও পোষার সুযোগ হয় না।
আমি যখন রাস্তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন দেখলাম সেগুলো আমার প্রান তাকিয়ে দাঁড়িয়ে পরল। এরপর আমি কিছু ফটো ধারণ করার চেষ্টা করলাম। পাতি হাঁস গুলো বেশ সুন্দরভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তবে পাতিহাঁস বর্ষাকালে পোষা খুব রিক্স। বর্ষার দিনে এই সমস্ত পাতি হাঁস গুলো বাড়িতে আসতে চায় না। তারা বনে জঙ্গলে অথবা পুকুরের কিনারায় দাঁড়িয়ে থাকে। মাগরিবের আজানের পর তাদের খুঁজে আনতে হয়। এটা বেশ বড় ঝামেলার বিষয়। আর এমনই একটা কারণ থেকে আমাদের মায়ের বাসাতে এই হাঁস পোষা বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে বর্ষার পরে আর বসন্ত কালে রোগ হয়। রোগ হলেই সব নষ্ট হয়ে যায়। আবার কার্তিক মাসের দিকে এই পাতিহাঁস পুকুরপাড় থেকে কুকুরে তেড়ে ধরে শিকার করে।
তবে আমার খুবই ভালো লাগছিল রাস্তার পাশে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকা পাতি হাঁসগুলোকে দেখে। এরা মুক্ত মনের স্বাধীন ভাবে রাস্তার পাশে চরাই করে চলছে। যদি কোন সমস্যা থাকতো তাহলে এভাবে রাস্তার উপর থাকতে পারতো না। যাই হোক বিভিন্ন রঙের পাতি হাঁস গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগল। এই হাঁসগুলো দেখে মনে পড়ে গেছিল আমার পূর্বের পোষা পাতিহাঁস গুলোর কথা। তবে আমার বাবু বড় হলে আমিও চেষ্টা করব কিছুটা করে পড়ার জন্য। হয়তো এইখানে যে রাজহাঁস লক্ষ্য করা যাচ্ছে সেটা পাতি হাঁসের ডিমের সাথে একত্রে ফুটানো হয়েছিল। সেই থেকে পাতি হাঁসের রাজহাঁস একসাথে বড় হয়েছে তাই এক সাথেই রয়েছে তারা। এর আগে আমি একদিন শুনেছিলাম একটি পুকুরে অনেকগুলো পাতি হাঁসের সাথে রাজহাঁস চরাই করে। তবে এই দেখার পর বিশ্বাস হয়েছিল।
পোস্ট বিবরণ
ফটোগ্রাফি | পাতি হাঁস |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল ফোন |
ক্যামেরা | Infinix Hot 11s-50mp |
লোকেশন | Gangni-Meherpur |
ফটোগ্রাফার | Simransumon |
দেশ | বাংলাদেশ |
ব্লগটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোছাঃ সিমরান জারা। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য সুমন জিরো নাইন এর পরিবার। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর। আমি একজন গৃহিণী। আমি ফটোগ্রাফি, রেসিপি পাশাপাশি ব্লগ করতে বেশি পছন্দ করে থাকি। এছাড় বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে ভালো লাগে। আমি এসএসসি পাশ করেছি। গাংনী ডিগ্রী কলেজে অধ্যায়ণরত রয়েছি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গ্রামের দিকে গেলে এই ধরনের দৃশ্য গুলো দেখা যায়। আর আপনি সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। দারুন ভাবে ফটোগ্রাফি করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ সত্যি কথা
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি একদমই ঠিক বলেছেন গ্রামের অনেক কিছু আসলে শহরে পাওয়া যায় না। তার মধ্যে হাঁস মুরগির লালন পালনের বিষয়টা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। রাস্তাঘাটে গ্রামে বাড়ির মধ্যে হাঁস মুরগির হাঁটাচলা করেই বিষয়টা আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। আমাদের অনেক এরকম হাঁস মুরগি ছিল আমার আম্মু লালন পালন করতে এখন নেই। যাইহোক আজকের পোস্টটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গ্রামে এই দৃশ্য লক্ষ্যনীয়
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শহরের গ্রামের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য রয়েছে। এটা ঠিক বলেছেন শহরের সবকিছুই কৃত্রিম। যাইহোক আপনার অনুভূতি এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনার ক্যাপচার করা এই ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে। সাদা রঙের হাঁস গুলো দেখতে বেশি ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে দারুন ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য এবং সেই সাথে আপনার অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সাদা গুলো বেশি ভালো লাগে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit