নাম উড়ে যায় বকপক্ষী রচনা হুমায়ূন আহমেদ পরিচালক হুমায়ূন আহমেদ অভিনয়ে মেহের আফরোজ শাওন,রিয়াজ,চ্যালেঞ্জার,মাসুম আজিজ,ফারুক আহমেদ,স্বাধীন খসরু,এজাজুল ইসলাম,ড. ইনামুল হক,সালেহ আহমেদ সহ আরো অনেকে। দেশ বাংলাদেশ ভাষা বাংলা ধরণ হাস্যরসাত্মক এবং সামাজিক পর্বের সংখ্যা ২৬ রিভিউ প্রথম পর্ব দৈর্ঘ্য ২০ মিনিট প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব চ্যানেল চরিত্রেঃ
নাটক রিভিউ "উড়ে যায় বকপক্ষী" প্রথম পর্ব
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি আপনাদের দোয়ায় মোটামুটি অনেক ভালো আছি। সকলকে শুভকামনা জানিয়ে শুরু করছি নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি নাটক রিভিউ নিয়ে। নাটকের নাম 'উড়ে যায় বকপক্ষী', যা আমার অতি প্রিয় একটি নাটক। নাটকটির মূল পর্ব ২৬ টি। আজ আমি আপনাদের মাঝে প্রথম পর্ব রিভিউ আকারে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
উড়ে যায় বক পক্ষে নাটকের শুরুতেই লক্ষ্য করা যায়, গানের দলের নেতা মসজিদ মিয়া আর্তনাদ করে বলছে "শেষ, সবই শেষ আজ থেকে আর মজিদ মিয়ার গানের দল থাকলো না"। মজিদ মিয়া মাটি ছুয়ে মেয়ের কাছে বলল আমি বাতাকান্দি গ্রামের মসজিদ মিয়া বলছি, মজিদ মিয়ার গানের দল থাকলো না। এরপর মেয়েকে দিয়ে কেরোসিনীর বোতল এনে হারমোনিয়াম জালিয়ে দিল। নাটকের শুরুতেই যেন এক হতাশ পর্ব দিয়ে শুরু হল কাহিনী।
গানের দলের সদস্য তৈয়ব এই দৃশ্য দেখে দ্রুত পানি এনে হারমোনিয়ামের আগুন নিভিয়ে সেটা নিয়ে মজিদ মিয়ার মেয়ে পুষ্পুর কাছে উপস্থিত হলো। আর বলল তোমার আব্বা ঘর বাড়িও জ্বালিয়ে দিতে গেছিল আমি মানা করছি তাই ঘরবাড়ি জ্বালাইনি। এমন কিছু করার কারণটা কি। পুষ্পর মন খারাপ কিছু বলতে চাচ্ছে না। তৈয়ব হারমোনিটা একটু বাজিয়ে দেখল বাজছে।
এমন একটি মুহূর্তে বিদেশি একজন মানুষ গিটার কাঁধে করে গ্রামের দিকে প্রবেশ করছে। পথের মধ্যে তৈয়ব এর সাথে দেখা হল তার। শেখ মজিদ মিয়ার বাড়িতে যেতে চাই। তৈয়ব তার পরিচয় জানতে চাইলো, সে বলল তার নাম হাসান। তৈয়ব তার পরিচয় দিল, এই গানের দলের বিখ্যাত ঢোল বাজক তৈয়ব আলী। এরপর বাড়িটা চিনিয়ে দিল ইশারায়।
গানের দলের আরেকজন সদস্য ফজলু ভাই তার দোকানের মাচায় খেতা মুড়ি দিয়ে ঘুমাচ্ছে, এমন দৃশ্য তৈয়ব দেখে অবাক। এদিকে ফজলু বলল মাঝেমধ্যে তার সাথে জিনের বাদশার কথা হয়, এমন কথা শুনে তো আরো অবাক। দুইজনের মধ্যে এই নিয়ে অনেক কথা হল। এরপর সে দোতারা বাজানো শুরু করল। আর এই ফাঁকে তৈয়ব দুইটা বিস্কুটের প্যাকেট চুরি করল।
হাসান মজিদ মিয়ার বাসায় এসে উপস্থিত। সে মসজিদ মিয়ার সাথে কথা বলছে থাকার বিষয়ে। সে থাকার সকল খরচ এখানে দিবে। সে মূলত এসেছে তার গানের দলের বিস্তারিত তথ্য গ্রহণ করতে। কথা শেষে মুজিব মিয়া তাকে বিদায় হতে বলল দ্রুত। হাসান বলল তাহলে এক কাপ কফি খেয়ে যায়। এরপর পুষ্পর কাছে গেল থাকার বিষয়ে জানতে, মসজিদের মেয়ে পুষ্প নিশ্চিত জানিয়ে দিল তার বাবা যতই তাকে খেদিয়ে দিক না কেন নিজেই তাকে ফিরিয়ে আনবে। ঠিক তাই হলো মজিদ একবার তাকে ডাক দিল, সে ফিরে আসলো পরে মজিদ বলল আপনি কফির কাপটা ফেলে গেছেন নিয়ে চলে যান। বেচারা অসন্তুষ্ট হয়ে চলে গেল। কিছু দূর পথ যেয়ে হঠাৎ মজিদ তাকে ফিরে আনলো।
এদিকে তৈয়ব চোরা একজনার লাউবান থেকে লাল চুরি করল। এরপর তার প্রেমিকার বাড়িতে নিয়ে এসে মিথ্যা বলতে থাকলো,বাজার থেকে কিনে এনেছিলাম তাকে দেওয়ার জন্য। এরপর মিথ্যা স্বপ্নের কথা এটা সেটা বলে প্রেমিকা কৈতরির সাথে গল্প করার চেষ্টা করল। কিন্তু ইতোমধ্যে হাতেনাতে ধরা পড়ে গেল,লাউয়ের মালিক এসে ধরে ফেলল তাকে। তৈয়ব কে চুরি সামারি বাদ দিতে বলে চলে গেল সে লাউ দুটা নিয়ে।
এদিকে হাসান রাতে ঘুমানোর জন্য আর দিনে কাজ করার জন্য একটি জাল মাদুর দুইটা গাছের সাথে বাধার চেষ্টা করছে। বাধতে না পারায় এই দৃশ্য পুষ্প দেখে তাকে একটি মই এনে দিয়ে সাহায্য করল। আর এরই মধ্য দিয়ে প্রথম পর্ব নাটক সম্পন্ন হল।
নাটকটা বেশ অনেক দিনের পুরাতন। তবে কেন জানি এ নাটকের গ্রাম্য পরিবেশ আর কার্যক্রম আমার খুবই ভালো লাগে। তাই এ নাটকটা রিভিউ শুরু করলাম। নাটকের শুরুতে লক্ষ্য করলাম একটি গ্রামের গানের দলের সরদার মজিদ মিয়া তার গানের দল ভেঙ্গে দিয়েছে। তাই হারমোনিয়াম পুড়ানোর মধ্য দিয়ে নাটকটা শুরু হয়। এরপর তার বাড়িতে হাসান নামের এক বিদেশী আসে। দোতারা চাচা ফজলু জিনের বাদশার সাথে কথা বলে। গানের দলের অন্যতম সদস্য তৈয়ব চুরি করে লাউ নিয়ে প্রেমিকার বাড়ি উপস্থিত হয়। সব মিলে খুব সুন্দর অভিনয় লক্ষ্য করলাম প্রথম পর্বে। একদম হুবুহু গ্রাম্য পরিবেশের সুন্দর চিত্র ফুটে উঠেছে এই পর্বের মাঝে। প্রত্যেকের অভিনয়ের সুন্দর দক্ষতা রয়েছে নাটকের মাঝে লক্ষ্য করেছি।
আমি মোছাঃ সিমরান জারা। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য সুমন জিরো নাইন এর পরিবার। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর। আমি একজন গৃহিণী। আমি ফটোগ্রাফি, রেসিপি পাশাপাশি ব্লগ করতে বেশি পছন্দ করে থাকি। এছাড় বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে ভালো লাগে। আমি এসএসসি পাশ করেছি। গাংনী ডিগ্রী কলেজে অধ্যায়ণরত রয়েছি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই নাটকটা আমি অনেকবার দেখেছি। হুমায়ূন আহমেদের সব নাটক আমার দেখা। তবে সমস্ত নাটক গুলোর মধ্যে এটা আমার খুব ভালো লাগে। সুন্দর ভাবে নাটকটা রিভিউ করছি দেখে খুশি হলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তোমাকে অনেক ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
উড়ে যায় বকপক্ষী এই নাটকটি অনেক দিন আগে দেখেছিলাম। নাটকটির মধ্যে অনেক হাসির মহূর্ত রয়েছে। এধরনের গ্রামীন পরিবেশের নাটক গুলো দেখতে একটু বেশি ভালো লাগে। আপু নাটকটির লিংক শো করছে না। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দেখুন ভাইয়া ঠিক করে দেয়া হয়েছে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি আজকে অনেক সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন। উড়ে যায় বকপক্ষী এই নাটকটা আমার এখনো পর্যন্ত দেখা হয়নি। আপনি এই নাটকের এত সুন্দর রিভিউ করলেন দেখে আমার কাছে ভালো লেগেছে। নাটকের সম্পূর্ণ কাহিনী জানতে পারলাম আপনার এই রিভিউ পোস্ট এর মাধ্যমে। ধন্যবাদ এই নাটকটার রিভিউ লিখে সবার মাঝে তুলে ধরার জন্য। পরবর্তী পর্বটা পড়ার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জানতে পেরেছেন জেনে খুশি হলাম
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নাটকের রিভিউ পোস্ট পড়তে আমি খুবই পছন্দ করি। কারণ নাটক দেখা হয় না ব্যস্ততার কারণে। তাই নাটকের রিভিউ পোস্ট গুলো পড়লে, নাটকের পুরো কাহিনীটা রিভিউর মাধ্যমে জেনে নেওয়া যায়। এই নাটকটা অনেক পুরনো একটা নাটক। আর এই জন্য আমার কাছে নাটকটার রিভিউ পোস্ট পড়তে ভালো লেগেছে। প্রথম পর্বের রিভিউ টা আজকে পড়লাম, পরবর্তী পর্বের রিভিউ পড়ার অপেক্ষায় আছি এখন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তবে ব্যস্ততার মাঝেও একটু বিনোদনে মন দেওয়া উচিত।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আপনি খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দিয়েছেন। যদিও পর্ব নাটক আমি খুব কমই দেখি তবে কিছু কিছু নাটক থাকে যেগুলোর পর্ব আকারে থাকলে দেখতে বেশি ভালো লাগে। আপনার রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লেগেছে।সময় পেলে অবশ্যই দেখবো। ধন্যবাদ এত সুন্দর নাটক রিভিউ দেওয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই নাটকটা আমি ছোট থেকে পছন্দ করি তাই রিভিউ করা শুরু করেছি আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit