আজ বুধবার
আজ
বুধবার ২০২৪
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি আপনাদের দোয়ায় মোটামুটি অনেক ভালো আছি। সকলকে শুভকামনা জানিয়ে শুরু করছি নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি নাটক রিভিউ নিয়ে। নাটকের নাম 'উড়ে যায় বকপক্ষী', যা আমার অতি প্রিয় একটি নাটক। নাটকটির মূল পর্ব ২৬ টি। আজ আমি আপনাদের মাঝে একাদশ পর্ব রিভিউ আকারে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
❤️স্ক্রিনশট: ইউটিউব❤️
নাম | উড়ে যায় বকপক্ষী |
---|---|
রচনা | হুমায়ূন আহমেদ |
পরিচালক | হুমায়ূন আহমেদ |
অভিনয়ে | মেহের আফরোজ শাওন,রিয়াজ,চ্যালেঞ্জার,মাসুম আজিজ,ফারুক আহমেদ,স্বাধীন খসরু,এজাজুল ইসলাম,ড. ইনামুল হক,সালেহ আহমেদ সহ আরো অনেকে। |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
ধরণ | হাস্যরসাত্মক এবং সামাজিক |
পর্বের সংখ্যা | ২৬ |
রিভিউ | একাদশ পর্ব |
দৈর্ঘ্য | ২০ মিনিট ৫৫ সেকেন্ড |
প্ল্যাটফর্ম | ইউটিউব চ্যানেল @NTVNatok |
প্রধান চরিত্রেঃ
চ্যালেঞ্জার
মেহের আফরোজ শাওন
ফারুক আহমেদ
মাসুম আজিজ সহ আরো অনেকে
উড়ে যায় বকপক্ষী নাটকের একাদশ পর্ব নাটকের লক্ষ্য করা যায় তৈয়ব আলী গলায় ফাঁস নেওয়ার জন্য প্রস্তুত গ্রহণ করেছে কিন্তু এ বিষয়টা পুষ্প জানিই না। আর তাই তৈয়ব নিজে পুষ্পের কাছে বিষয়টা জানাতে এসেছে। কিন্তু এ বিষয় নিয়ে পুষ্প তেমন মাথা ব্যাথা নাই। কারণ পুষ্প নিজেই জানে এর আগে অনেকবার তৈয়ব আলী গলায় ফাঁস দেবো বলে গাছে রশি টাঙিয়ে বেড়িয়েছে, আর মানুষকে শাসিয়েছে। তৈয়ব আলীর কাছে বিষয়টা অতি গুরুত্বপূর্ণ হলেও পুষ্পের কাছে অতি সাধারণ বিষয়। একটু ভালোভাবে তার কথায় কর্ণপাত না করাই পুষ্পের বানানো পুতুল ভেঙে দিল তৈয়ব। পুতুলের কাঁদা লাগিয়ে দিল বৈদেশির গাঁয়ে। পথে চরাই করা ছাগলের লাথি মারলো। আর এভাবেই সে তার রাগ প্রকাশ করল।
এদিকে ফজলু চাচা তার সমস্যা সমাধান করার জন্য জল চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে পুকুরের মধ্যে। যেকোনো মুহূর্তে পুকুরে নামে। পুকুরে ডুব মারে। সে মনে করে যে পুকুরের মধ্যে ডুব দিয়ে থাকলে তার মাথার সমস্যা দূর হবে। তার এমন পাগলামি কমানোর জন্য পুষ্প বুদ্ধি করে ফজলু চাচাকে ডেকে পাঠিয়েছে এবং বলেছে পুতুল তৈরি করতে, সামনের মেলাতে পুতুল তৈরি করে বিক্রয় করলে অনেক টাকা হবে। ঠিক এমন কথা শুনে ফজলু চাচা পুতুল তৈরি করার জন্য ছুটে আসে। আর এভাবে ফজলু চাচা অনেকগুলো পুতুল তৈরি করে ফেলে।
এদিকে পুষ্প বৈদেশের মুখে ইংরেজি কথা শুনে বেশ উৎসাহিত হয়েছে, তাই তার আশা কিভাবে ইংরেজি শেখা যায়। তাই এখন থেকে বৈদেশি পুষ্প কে ইংরেজি শেখানো শুরু করেছে ,পাশাপাশি ইংরেজি গান শেখানো শুরু করেছে গিটার বাজিয়ে। বৈদেশিক পূর্বে তাদেরকে বুঝিয়েছিল লেখাপড়ার মূল্য। অনেক পরে পুষ্পের বাবাকে বাংলা শিখাতে পেরেছে। এদিকে পুষ্পের আগ্রহ দেখে ইংরেজি শেখানোতেও সে অমত পোষণ করেনি বরং উৎসাহিত হয়ে এবিসিডি শিখাচ্ছে মাটিতে এবং ইংরেজি গান শোনাচ্ছে বাজনার তালে তালে।
গ্রামে একজন ব্যক্তির শালিকা এসেছে ঘুরতে, তাকে দেখে পাগল হয়েছে তৈয়ব। মেয়েটির নাম সেলিনা বেগম। তৈয়ব যেকোনো কথাবার্তায় তার গায়ের কাপড়ের গুনগান করছিল, তার সাজা গুজার গুণগান করছিল। তার এমন আচরণ দেখে সেলিনা বেগম বিরক্ত হলো এবং বললো গায়ে হাত দিয়ে কথা বলছেন কেন,দূরে থাকুন। কিন্তু তৈয়ব এর ব্যবহার দেখে মনে হচ্ছিল যেন সে তার কত চেনা। ঠিক তেমনি ভাবে কৈতরি বিয়ে ঠিক হয়েছে, তাই সে আর থেমে থাকতে পারছে না। এই জন্যই সিদ্ধান্ত নিয়েছে গলায় ফাঁস দিয়ে বিদায় হয়ে যাবে। তার এমন কর্মকাণ্ড দেখে কৈতরি বেশ ভয় পেয়ে গেল। সে তৈয়বের কাছে ছুটে গেল। কিন্তু দেখা গেল তৈয়ব গলায় দড়ি দেওয়া তো দূরের কথা, সে যেন রোমান্টিক গল্পে মেতে উঠল। তার এমন বিষয়গুলো পুষ্প আগে থেকে ভালো জানে এইজন্যই কর্ণপাত করছিল না গলায় দড়ি দেওয়ার বিষয়টা।
এদিকে ফজলু চাচা সময়ের সুযোগে সুযোগে তার জল চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। সে খাবার খাওয়ার মুহূর্তেও জলে নেমে পড়ে, ডুব মারে উঠে তারপর খাবার খায়। যেকোনো কাজ করতে করতে হঠাৎ জলে নেমে আসে। ফজলু চাচার কুটুম এসেছে তার সন্ধান নিতে তার মাথার অবস্থা কেমন। যখনি তৈয়ব এর কাছে জানতে পারলো অবস্থা আরো খারাপ, এখন সে জল চিকিৎসা করছে। তাই যেন, কুটুমের মন আরো ভেঙে গেল। হয়তো তার কুটুম বড় আশা নিয়ে এসেছিল বোনকে ফিরিয়ে দেবে বলে। কিন্তু এমন অবস্থা দেখে বুঝতে পারল তার মানসিক সমস্যা আরো বেড়ে গেছে, তার বোনকে পাগলের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। ফজলু চাচার কুটুম যখন পুকুরপাড় থেকে উঠে চলে যাচ্ছিল, চাচা তাকে একটি পুতুল হাতে ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করল। এতে আরো বুঝে গেল তার মানসিক সমস্যার কথা। তাই রাগান্বিত অবস্থায় উনি চলে গেলেন।
উড়ে যায় বকপক্ষী নাটকের ১১ তম পর্বে বেশ লক্ষ্য করা গেছে তৈয়ব আলী আর ফজলু চাচার সমস্যার বিষয়গুলো। তৈয়ব আলীর বড় সমস্যা, সে ভালবাসতে চায় কিন্তু কেউ তাকে ভালোবাসে না। সবার বিয়ে হয়ে যায়। তাই সে এ জীবন রাখবে না গলায় ফাঁস নিবে। আর এমন ফাঁস নেয়ার ঘটনা পুষ্পের কাছে অতি কমন হয়ে গেছে। এদিকে ফজলু চাচার মানসিক সমস্যা বেড়েই চলেছে। কিন্তু মানুষের জানে তার মাথার সমস্যা। সে এখন মাতার সমস্যা এবং মানসিক সমস্যা দুটাই দূর করতে জল চিকিৎসা করছে, জলের মধ্যে ডুব দিয়ে থাকছে। এজন্য অন্যান্য নাট্যকারদের অভিনয়ের তুলনায় এদের দুজনার অভিনয়টা বেশ আনন্দদায়ক এবং নিখুত। কেউ যদি এই পর্ব ভালোভাবে লক্ষ্য করে থাকে অবশ্যই অন্যান্যদের তুলনায় এদের বেশি গুনোগান করবে। কারণ এই দুই অভিনেতার অভিনয়টা নাটকের এই পর্ব আরো মাতিয়ে তুলেছে। অন্যান্য পর্বগুলোতেও তাদের পারফরমেন্স দেখেছি এমনই আনন্দদায়ক।
রিভিউটা ভিজিট করার জন্য ধন্যবাদ।
আমি মোছাঃ সিমরান জারা। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য সুমন জিরো নাইন এর পরিবার। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর। আমি একজন গৃহিণী। আমি ফটোগ্রাফি, রেসিপি পাশাপাশি ব্লগ করতে বেশি পছন্দ করে থাকি। এছাড় বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে ভালো লাগে। আমি এসএসসি পাশ করেছি। গাংনী ডিগ্রী কলেজে অধ্যায়ণরত রয়েছি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এ নাটক টা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তবে অনেকদিন হলো নাটকটা দেখা হয় না। আজকের এই রিভিউ এর জন্য কিছুটা দেখার সুযোগ হলো। দেশের সেরা নাটক গুলোর মধ্যে একটি উড়ে যায় বক্ষপক্ষী নাটক। আশা করবো পরবর্তী পর্বগুলো এভাবেই রিভিউ করবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আশা করে নাটকটা দেখবে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই নাটকে সবচাইতে হাস্যকর চরিএ তৈয়ব। এই সে ফাঁস নিতে যায় আবার এই তার সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়ে যায় হা হা। অন্যদিকে দোতরা চাচার মাথাটা একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছে সে সারাদিন জলচিকিৎসা নিতে ব্যস্ত। বেশ চমৎকার রিভিউ করেছেন নাটকের এই পর্বটার।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদম ঠিক বলেছেন আপনি
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit