আমি আপনাদের সামনে অন্যরকম একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। শরীর এবং মন ভালো রাখার জন্য আমাদের প্রত্যেকেরই মাঝে মাঝে ঘুরতে যাওয়া জরুরী স্থান পরিবর্তন করা ভালো। তাই ভাবলাম কোথাও একটু ঘুরে আসি শরীর টাও একটু ভালো হবে সাথে মনটাও। মামাতো বোনেরা শীতের কেনাকাটা করতে আমাদের বাসায় এসেছে। তাই চিন্তা করলাম ওদের সবাইকে নিয়ে একটু ঘুরে আসি। আমাদের সিরাজগঞ্জ শহরটা যেহেতু যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত। এখানে কয়েকটা নদীর ঘাট বা বাঁধ আছে যেগুলো দেখতে হাজারো মানুষের ভীড় হয় প্রতিদিন। আমাদের অনেক বার যাওয়া হয়েছে সেই জায়গাগুলোতে তারপরেও নদীর তীরে বসলেই মন হালকা হয়ে যায়। নদীর ঠান্ডা ঠান্ডা বাতাস, ঢেউের শব্দে মন আনন্দে নেচে ওঠে। সব বোনেরা মিলে চলে গেলাম নদীর ঘাটের উদ্দেশ্যে। আর এই আনন্দ আমি একা কেন ভোগ করব? আমার বাংলা ব্লগ ও তো আমার আরেকটা পরিবার। আমার এই পরিবারের সাথেও আমার আনন্দটা ভাগ করার জন্য আমি নদীর ঘাটের সুন্দর সুন্দর মুহূর্তগুলো ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনাদের মাঝে তুলে ধরব। আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। কথা না বাড়িয়ে চলুন নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করা যাক।

সিরাজগঞ্জ ক্রসবার ৩ যাকে আমরা (চায়না বাঁধ) বলি। রিকশা নিয়ে সেখানে গেটে নামতেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে একদম মুগ্ধ হয়ে গেলাম। শীতকাল হওয়ার পানি খুব একটা নেই শুকিয়ে গেছে। তারপরও এর সৌন্দর্যের কমতি নেই। আশেপাশের লোকজনেরা দুই পাশে সরিষা চাষ করছেন। নীল আকাশ, সবুজ মাঠ এবং হলুদ হলুদ সরিষা ফুলের সমারহ সবকিছু যেন একদম এক শিল্পীর হাতে আঁকা চিত্রকর্ম। বাঁধের উপরেও গাছ লাগানো আছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে দেখতে সামনের দিকে হাঁটা দিলাম।

বাঁধের নিচের দিকে যেতে ইচ্ছে করলো কারণ নিচে দিকে পানিটা অনেক শুকিয়ে বালুর চর পড়ে গেছে। বাঁধের উপর দিয়ে অনেকগুলো টারবাইন লাগানো আছে এগুলোর সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়। বাঁধের উপরে অনেকগুলো ফুচকার দোকানেও আছে এখানে সবাই বসে ফুচকা খায় আর নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করে।

নদীর পানি অনেকটাই শুকিয়ে গেছে এবং বালুর চর পড়ে গেছে হালকা সেখান থেকে পানি ধরা যায় আবার এখান থেকে নৌকায় ওঠা যায়। খানিকটা দূরে দেখলাম কয়েকটা নৌকা ঘাটে বাঁধা আছে। তাই বোনেরা মিলে ঠিক করলাম এই নৌকায় উঠে নদীটা একটু ঘুরে দেখবো এবং কিছুটা দূরে আরেকটা নদীর ঘাট আছে সেখানে নৌকায় করে যাওয়া যাবে। চলে গেলাম চার বোন মিলে নৌকায় উঠে বসলাম।

নৌকায় ওঠার পরে খেয়াল করছিলাম ছোট বড় ঢেউ এসে নৌকায় বাড়ি দিচ্ছে আর নৌকাটা হালকা দুলছে। বেশ কিছুক্ষণ নৌকার মাঝির আরো কিছু ছাত্রের জন্য অপেক্ষা করে অবশেষে নৌকা চালু করলেন। বেশ মজা লাগছিল নদীর ভিতর।

কিছু দূর যাওয়ার পর কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ উপভোগ করছিলাম সাথে প্রচন্ড ঠান্ডা বাতাস এবং নৌকার হেলে দুলে চলা সব মিলিয়ে অসাধারণ মুহূর্ত।

ফটোগ্রাফি🖼️ -৬👇

অবস্থান

একদম নদীর মাঝখানে খেয়াল করলাম একজন মাঝি একাই নৌকা চালিয়ে যাচ্ছেন। নদীর একদম মাঝখানে হওয়া দেখতে খুব দারুণ লাগছিল।

ফটোগ্রাফি🖼️ -৭👇

অবস্থান

অবশেষে আর একটা নদীর ঘাটে এসে পৌঁছলাম। এখানে আসতে আসতে সন্ধ্যা লেগে যাচ্ছিল। আঁকাশের দিকে খেয়াল করতেই দেখলাম চাঁদ মামা উঁকি দিচ্ছে।চাঁদের আলো নদীতে পরে ঝিলিমিলি করছিল। সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করতে করতে সবাই মিলে ফুচকা খেলাম। তারপর মনটাকে ফ্রেশ করে বাসায় চলে আসলাম।

এতক্ষণ আমার পোষ্ট মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজ এখানেই শেষ করছি আবার অন্য কোনদিন নতুন কিছু নিয়ে আপনাদের সামনে উন্মোচিত হব। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

ধন্যবাদ সকলকে✨💖

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরা	Redmi note 9
ক্যামেরা.মডেল	note9
ধরন	ফটোগ্রাফি 💫।
কভার ফটো ডিজাইন	ক্যানভা অ্যাপ।
অবস্থান	সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ।

আমার পরিচয়

আমি শেলি। আমি বর্তমানে সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুরে খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ে সি এস ই তে অধ্যায়নরত আছি। ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকতে ভালোবাসি। নতুন কিছু শিখতে এবং জানতে ভালোলাগে।ঘুরতে আর খেতে খুব ভালোবাসি।অবসর সময় পেলেই ছবি আঁকি। এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে। 🌼💖🌼

👉সবার প্রতি শুভেচ্ছা এবং পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।