স্ক্রিনশট নেয়া হয়েছে Rabbitholebd Sports চ্যানেল থেকে
শেষ পর্যন্ত নীতিশ রেড্ডির ৩৭ বলে ৬৪ এবং আব্দুল সামাদের ১২ বলে ২৫ রানের উপর ভর করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ একটি লড়াকু পুঁজি দাঁড় করায়। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে তাদের স্কোর দাড়ায় ৯ উইকেটে ১৮২ রান। পাঞ্জাব কিংসকে জেতার জন্য করতে হতো ১৮৩ রান। জবাব দিতে নেমে পাঞ্জাব কিংস এর উপরের দিকের ব্যাটসম্যানরা অল্প রানের ভেতরেই আউট হয়ে যায়। জনি বেয়ারেস্টো পাঞ্জাব কিংস এর বিদেশি কালেকশন। তিনি দ্বিতীয় ওভারে ০ রানে আউট হয়ে যান। শেখর ধাওয়ান কিছুক্ষণ চেষ্টা করলে ও পরবর্তীতে তিনি ও তার উইকেট হারিয়ে বসেন। এরপর থেকে পাঞ্জাব কিংস এর মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা সবাই দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু কেউই তাদের ইনিংস বড় করতে পারেননি।
স্যাম কুররান ২২ বলে ২৯ এবং সিকান্দার রাজা ২২ বলে ২৮ রান করেন। ততক্ষণে পাঞ্জাব এর রান রেট বেশ কমে গিয়েছিলো। পরবর্তীতে শশাঙ্ক সিং মাত্র ২৫ বলে ৪৬ রানের একটি কার্যকরী ইনিংস খেলে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে খেলায় ফিরিয়ে আনেন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন জিতেন শর্মা এবং আশুতোষ শর্মা। দুজনে যথাক্রমে একজন ১১ বলে ১৯ আর একজন ১৫ বলে ৩৩ রান করেন। এদের ইনিংসের উপর ভর করে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ম্যাচটা প্রায় জিতেই গিয়েছিলো। শেষ ওভার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের জেতার জন্য প্রয়োজন ছিল ২৯ রানের। যেটা প্রায় অসম্ভব একটা লক্ষ্য। কিন্তু তাদের ব্যাটসম্যানেরা এই অসম্ভবটাকে প্রায় সম্ভব করে ফেলেছিলো। তারা শেষ ওভারে ৬ বল থেকে ২৬ রান নিতে সক্ষম হয়েছিলো। যার ফলে ম্যাচটা কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব মাত্র দু রানে হেরে যায়। এই দিনের ম্যাচটা হয়েছে আসলেই পয়সা উসুল। দর্শকেরা এই ধরনের ম্যাচই দেখতে চায়। নিতিশ রেড্ডি তার ৩৭ বলে ৬৪ রানের ইনিংসটার জন্য ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।