আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকে ভাবলাম এমন একটা লেখা আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করি। যে লেখাটি হয়তো কম বেশি আমরা সকলেই অনেক সময় অনুভব করেছি। হয়তো অনেক সময় এই ব্যাপার গুলো নিয়ে একটু খোলামেলা কথা বলার ও চেষ্টা করেছি। কিন্তু আসলে আমাদের জীবনে অনেক এমন ব্যাপার থাকে। যেগুলো নিয়ে আমরা কথা বলতে চাই। কিন্তু তেমন একটা স্বাচ্ছন্দ বোধ করি না বলে শেষ পর্যন্ত কথাগুলো বলা হয়ে উঠেনা। আজকের লেখাটিও আপনারা বলতে পারেন ঠিক তেমনটাই।
আজকের টাইটেলটি হলো, অর্থাৎ দূরত্বের জন্য কে দায়ী? এই প্রশ্নটি যে প্রসঙ্গে সে। প্রসঙ্গটি হলো, আমাদের আজকালকার জেনারেশনের সাথে আমাদের বাবা-মায়ের আসলে অনেক দূরত্ব। দূরত্ব বলতে শারীরিক দূরত্ব নয়, দূরত্ব হলো মানসিক দূরত্ব। অর্থাৎ আমরা এক পরিবারই থাকি। এক বাসার ছাদের নিচেই থাকি। কিন্তু কোথায় যেনো একটা আমাদের মনের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। যেই দূরত্বটা আমরা কখনো মুছে ফেলার চেষ্টা করি না।
আমি জানিনা, এই দূরত্বটা কেনো সৃষ্টি হয়েছে। হয়তো জেনারেশন গ্যাপের জন্য সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু আগের সন্তানদের সাথে তাদের বাবা-মায়েরও তো জেনারেশন গ্যাপ ছিলো। কিন্তু তখন তো তাদের মনের মাঝে এতোটা দূরত্ব ছিলো না। তবে কেনো যতো দিন যাচ্ছে, ততোই আমাদের সাথে আবার আমাদের বাবা মায়েদের দূরত্ব বেড়ে যাচ্ছে। তা আমি সত্যি বলতে পারি না। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, এই মানসিক দূরত্বটার জন্য সন্তানেরা যেমন দায়ী তেমনটাই বাবা-মা ও ঠিক সমান ভাবে দায়ী। হয়তো সন্তানদের থেকে কিছুটা বেশি দায়ী।
আসলে আমার কাছে যেটা মনে হয়। সেটা হলো, উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েদের সাথে বাবা মায়েদের বেশি মানসিক দূরত্ব হয়ে যায়। অর্থাৎ ওই বয়সটাতেই সাধারণত বাবা-মা এবং সন্তানদের মধ্যে একটা অদৃশ্য দেওয়াল গড়ে ওঠে এবং আমার কাছে যেটা মনে হয়। সেটা হলো, সন্তানেরা উঠতি বয়সে কিংবা টিনেজার বয়সের সমস্যাগুলো সম্পর্কে অবগত না থাকলেও। বাবা মায়েরা কিন্তু এই বয়সের সমস্যাগুলো সম্পর্কে খুব ভালোভাবে অবগত থাকে।
তাই যখন সন্তানেরা একটু একটু করে দূরে সরে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন বাবা-মায়েরা যদি ওই সম্পর্কের হালটা ধরে এবং তাদেরকে একটু ভালোভাবে সুন্দরভাবে বুঝানোর চেষ্টা করে যে, এই বয়সটাই সমস্যা। এটা কোনো ব্যক্তিগত সমস্যা নয় এবং এটা কোনো দূরত্বের ও সময় নয়। তখন আমার কাছে মনে হয় যে, অনেক সন্তানেরাই তাদের ভুলটি বুঝতে পারত এবং বাবা-মায়ের সাথে আর দূরত্ব সৃষ্টি করতো না। তাই আমার কাছে মনে হয় যে, সন্তানদের চেয়ে বাবা মায়েরা একটু বেশি দায়ী। কারণ সন্তানেরা যেসব সমস্যার সম্পর্কে অবগত না থেকে দূরত্ব সৃষ্টি করে। বাবা মায়েরা সেসব সমস্যা সম্পর্কে অবগত থেকেই দূরত্ব সৃষ্টি করে।