আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমাদের সমাজে দুটি কথার খুব বেশি প্রচলন রয়েছে। সেটা হলো মেজোরিটি এবং আরেকটি হল মাইনোরিটি। মেজোরিটি বলতে এখানে আসলে আমি যেটা বুঝিয়েছি। সেটা হলো যে দল কিংবা যেই দলের মানুষ অনেক বেশি থাকে সংখ্যায় তাদেরকে। আর মাইনোরিটি বলতে এখানে বুঝিয়েছি। যারা আসলে মানুষ সংখ্যা হিসাব করলে অনেক কম হয়ে যায়। অর্থাৎ অন্তত মেজোরিটির চেয়ে কম মানুষ সংখ্যক কিংবা লোকবল তাদের থাকে। তারাই হলো মূলত মাইনোরিটি।
আমি আজকে এমন একটি ব্যাপার নিয়ে লেখালেখি করতে এসেছি। যেটা নিয়ে আমার মনে হয়েছে যে আমার একটু হলেও লেখালেখি করা উচিত। কারণ আমার মাঝেমধ্যে মনে হয় যে, আমি মেজোরিটি হয়ে যদি একজন মাইনোরিটিকে তার স্বাধীনতা লাভ করতে কিংবা স্বাধীনতা পালন করতে দিতে না পারি। তাহলে আমি মনে করি আমি মানুষ হিসেবে একজন ব্যর্থ।
কারণ যারা সংখ্যায় কম থাকে। সাধারণভাবে তাদের উপরে সকলের চোখ একটু বেশি থাকে। তাদেরকে নিয়ে একটু বেশি কথা হয় এবং তাদের সাথে অন্য বড় দলগুলো সব সময় কিছুটা ঝামেলা তৈরি করার চেষ্টা করে। তাই যখন আমরা যাদের দলে কম সংখ্যক মানুষ রয়েছে। তাদের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করি। তাদের সাথে একটি সুসম্পর্ক গঠন করার চেষ্টা করি। তাদের সমস্যাগুলো শোনার চেষ্টা করি। তাহলে দেখবেন যে, একদিন তারাও আমাদেরকে তাদের মানুষ হিসেবে কাছে টেনে নিয়েছে।
আমাদের হাতের ৫ আঙ্গুল যেমন সমান হয় না। ঠিক তেমনটাই পৃথিবীর কোনো কিছুই সমান হয় না। সবকিছুতে ভালো খারাপ দুটো রয়েছে। কিন্তু তাই বলে কখনোই কিন্তু মাইনোরিটির উপরে নির্যাতন চালানো যাবে না। কারণ কোনো মানুষের প্রতি মানুষ যখন নির্যাতন চালায়। তখন কিন্তু সে আর কোনোভাবেই সৃষ্টির সেরা জীব হয় না। আমার পাশের মানুষ আমার মতোই মানুষ, আমার দেশের মানুষ। আমার যে জন্মভূমি, তারও ঠিক একই জন্মভূমি। এতো কিছু একই হওয়ার পরেও যদি তার অস্তিত্বের লড়াইয়ে তাকে ক্লান্ত হতে হয়। তাহলে আমি মনে করি এটা আমাদের জন্য অনেক লজ্জার।