পরিবেশ দূষণ

in hive-129948 •  8 months ago 

আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।


image.png



লিংক


বর্তমান সময়ে পরিবেশ দূষণ আমাদের সবথেকে ক্ষতিকারক একটি দিক। প্রাচীনকালের পরিবেশ এতটাই ভাল ছিল যে তখনকার সময়ে এত কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতো না এবং চারিদিকে পরিবেশ অনেক বেশি ঠান্ডা ছিল। এছাড়াও চারিদিকে জনসংখ্যা এত কম ছিল এবং সবুজের পরিমাণ অর্থাৎ বন জঙ্গল এতই বেশি ছিল যে পরিবেশে কার্বন-ডাই-অক্সাইড এর পরিমাণ কম ছিল এবং অক্সিজেনের পরিমাণ অনেক বেশি ছিল। যেহেতু দিন দিন জনসংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে এবং এসব বন জঙ্গল আস্তে কমে যাচ্ছে। এর ফলে পরিবেশের ভারসাম্য দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। এই পরিবেশের ভারসাম্য যদি ঠিকঠাক না থাকে তাহলে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় প্রায় প্রতিবছর।

আসলে পরিবেশ দূষণের ফল আমরা এখন নিজেরাই টের পাচ্ছি। এই পরিবেশ দূষণের ফলে প্রতিটা ঋতুতে আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখতে পাই। এছাড়া বর্তমানে গরমের শুরু হতে না হতেই যে প্রচন্ড পরিমাণে গরম পড়া শুরু হয়ে গেছে তাতে মানুষের টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসলে এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিন্তু মানুষেরই সৃষ্টি। কারণ মানুষ নানাভাবে এই প্রকৃতিকে দূষিত করছে। এছাড়াও মানুষ যেসব কলকারখানা তৈরি করছে সেসব কলকারখানা থেকে যেসব ধোঁয়া বের হচ্ছে তা পরিবেশে মিশে পরিবেশ সবথেকে বেশি দূষিত হচ্ছে। আর মানুষের সৃষ্টি যেসব নোংরা আবর্জনা আমরা ঘরের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় ফেলি সেসব নোংরা আবর্জনা যেখানে সেখানে ফেলার ফলে পরিবেশও দূষিত হচ্ছে।


আসলে প্রতিবছর যে হারে মানুষ বন জঙ্গল ধ্বংস করছে সেই হারে যদি বন জঙ্গল ধ্বংস করতে থাকে তাহলে একদিন পৃথিবী জঙ্গলবিহীন হয়ে যাবে। এছাড়াও প্রকৃতিতে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ খুব দ্রুত হারে বেড়েই চলেছে। আসলে এসব দিক লক্ষ্য করলে সত্যিই একটা ভয়ংকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদি না আমরা মানুষ নিজেদেরকে এখনো না শুধরে নেই তাহলে হয়তোবা পৃথিবী একদিন ধ্বংসই হয়ে যাবে। আর এই পৃথিবীকে ধ্বংসের থেকে রক্ষা করতে হলে প্রথমে আমাদের প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষরোপণ করতে হবে।

এছাড়াও জনসংখ্যা যাতে বৃদ্ধি না পাওয়ায় সেজন্য প্রত্যেক অশিক্ষিত লোককে শিক্ষাদান করতে হবে এবং অতিরিক্ত জনসংখ্যার কুফল সম্পর্কে সকলকে জ্ঞান দান করতে হবে। আর এভাবে চলতে লাগলে একদিন পৃথিবী আবার পুনরায় ঠিক হয়ে যেতে পারে। তাইতো জনগণের ভিতরে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। আর এই জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মানুষকে প্রথমে বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদান করতে হবে।



আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

6

একদম ঠিক বলেছেন আপনার সাথে আমিও একমত। প্রকৃতপক্ষে আমরা নিজেরাই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। নিজেদের বসতভিটা তৈরি করার জন্য বন জঙ্গল কেটে বড় বড় দালান কোঠা তোলা হচ্ছে।আর এরই ফলে প্রকৃতি নিধন হচ্ছে যেটার বিরূপ প্রতিক্রিয়া বা পরিস্থিতি আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি । আর জনসংখ্যার দিক থেকেও সবাইকে আসলে কন্ট্রোলিং এ আসা উচিত।আর এটাও ভালো বলেছেন যে যারা এ বিষয়ে অবজ্ঞ তাদেরকে শিক্ষা দান উচিত। ধন্যবাদ সময়োপযোগী একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।