আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে শৈশবকালে স্কুলে যাওয়ার স্মৃতি সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।
লিংক
আসলে শৈশবকালের স্মৃতিগুলো আমাদের সত্যিই সেই শৈশবকালের কথা মনে করে দেয়। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন ভাবতাম যে কবে আমরা বড় হব এবং বড়দের মতো স্বাধীনভাবে চলাচল করব। কিন্তু এখন বড় হয়ে দেখি যে বড় হওয়ার থেকে শৈশবকালের সময়টা অনেক বেশি ভালো ছিল। আর এর জন্য বর্তমানে আমাদের আফসোস হয়। আসলে সুযোগ পেলেই স্কুলে যাওয়া স্মৃতি গুলো আমার মনে হয় সবার কিছু না কিছু মনে আছে। কেননা এই গোল্ডেন টাইম এর সময় গুলোতে আমরা বিভিন্ন ধরনের মজা করতাম স্কুলে যাওয়ার সময়। আসলে শৈশবকালে স্কুলে যাওয়ার প্রতি আমাদের আলাদা ধরনের একটা নেশা ছিল। কেননা স্কুল যেদিন বন্ধ থাকতো সেই দিনটা আমাদের আর ভালো যেত না। কারণ স্কুল খোলা থাকলে সেখানে সব বন্ধু বান্ধবীদের সাথে আমাদের দেখা হয়।
কিন্তু ছুটির দিনগুলোতে আমাদের সেই বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে আর দেখা হয় না। আর এই জন্য সেই সময়টা আমাদের অনেক বেশি খারাপ যায়। এছাড়াও আমরা যখন দলবেঁধে একসাথে স্কুলে যেতাম তখন স্কুলে যাওয়ার পথে আমরা বিভিন্ন ধরনের দুষ্টুমি করতে করতে স্কুলে যেতাম। মাঝে মাঝে আমরা রাস্তার পাশে যে বিভিন্ন ধরনের ফলের ক্ষেত থাকতো সেখান থেকে আমরা বিভিন্ন ধরনের ফল নিয়ে স্কুলে যেতাম। মাঝে মাঝে আমাদের কিছু দুষ্টুমির জন্য অন্যদের অনেক বেশি ক্ষতি হতো। আসলে তারাও কিন্তু আমাদের উপরে তেমন একটা বেশি রাগ করত না। যেহেতু আমরা ছোট ছিলাম তাই তারা তাদের শৈশবকালের কথা মনে করে আমাদেরকে ক্ষমা করে দিতে। আসলে রাস্তা যতই বেশি থাক না কেন আমরা গল্প করতে করতে এই বেশি রাস্তা আমাদের কাছে খুব কম মনে হতো।
এছাড়াও স্কুলে গিয়ে সর্বপ্রথম আমরা সামনের দিকে বসার জন্য চেষ্টা করতাম। আসলে ক্লাসরুমের ভালো জায়গাগুলো সব সময় আমাদের দখলে থাকতো। মাঝে মাঝে যখন কোন স্যার ক্লাসে অনুপস্থিত থাকতো তখন আমরা সেই ক্লাসটাতে অনেক বেশি আনন্দ এবং মজা করতাম। কিন্তু পার্শ্ববর্তী ক্লাসগুলো থেকে অন্যান্য শিক্ষকরা এসে আমাদেরকে শাসন করিয়ে চুপ করিয়ে দিতেন। এছাড়াও তখন আমরা আস্তে আস্তে বিভিন্ন দুষ্টুমি করার চেষ্টা করতাম। আর ভাবতাম কখন স্কুলের টিফিনের টাইম হবে। আসলে স্কুলের টিফিনের টাইমে আমরা সব থেকে বেশি মজা করতাম। কেননা এই টিফিন পিরিয়ডে আমরা সবাই মিলে এক জায়গায় বসে আমাদের বাড়ি থেকে নিয়ে আসা খাবার গুলো ভাগ করে খেতাম। আসলে কোন খাবার ভাগ করে খাওয়ার মজাটাই কিন্তু আলাদা।
আর আমরা দ্রুত খাবার দাবার শেষ করে মাঠে চলে যেতাম বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা করার জন্য। আসলে প্রতিটি স্কুলে খেলাধুলার জন্য ফুটবল ক্রিকেট ইত্যাদি থাকে। আর এজন্য আমরা সর্বপ্রথম টিফিন হবার সাথে সাথে ছেলেদের কাছ থেকে ফুটবল অথবা ক্রিকেট নিয়ে এসে নিজেদের কাছে রেখে দিতাম। আর খাওয়া-দাওয়া শেষ হলেই সেই বল নিয়ে মাঠে চলে যেতাম। কেননা আমরা যদি দেরি করে যেতাম তাহলে অন্যান্য ছাত্ররা আবার সেই বলগুলো তাদের কাছে নিয়ে এনে রেখে দিত। আসলে এভাবে টিফিন পিরিয়ড শেষে আমরা যখন আবার পুনরায় ক্লাসে চলে যেতাম এবং ক্লাস ছুটির পর আমরা যখন পুনরায় বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিতাম তখন কিন্তু আমাদের বন্ধু-বান্ধবের সংখ্যা অনেক বেশি থাকতো। আর এভাবে আমরা সারাটা পথ গল্প এবং দুষ্টুমি করতে করতে বাড়ি যেতাম।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
আপনার ছোটবেলার স্মৃতি পড়ে আমাদের স্কুল জীবনের কথা মনে পড়ে গেল। স্কুল জীবনে এরকমই হতো টিফিন করে সবাই এরকম খেলার জন্য অস্থির হয়ে যেত। যারা আগে জায়গা পেত তারাই খেলতে পারতো। ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার পোস্টটি পড়ে। ছোটবেলায় ফিরে গেলাম অনেকটা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit