সেই অনুপাতে খাওয়া-দাওয়াও প্রয়োজন। তাই সোহাগের কোচ সোহাগকে পরামর্শ দেয় ভালোভাবে খাওয়া-দাওয়া করতে। সে সোহাগের জন্য একটা ডায়েট চার্ট করে দেয়। সোহাগ খেয়াল করে দেখে সেই ডায়েট চার্টে প্রতিদিন কয়েকটা ডিম দুধ মাছ মাংসের কথা উল্লেখ করা রয়েছে। সোহাগ তখন তার কোচ কে জানায় তার পরিবারের পক্ষে তার জন্য এতো কিছু জোগাড় করা সম্ভব না। তখন তার কোচ তাকে অভয় দিয়ে বলে তুমি এগুলো নিয়ে চিন্তা কোরো না। দেখি তোমার জন্য কিছু করা যায় কিনা।
পরদিন সোহাগ ক্যাম্পে যেতেই তার কোচ তাকে একটা বক্স আর সাথে এক বোতল দুধ দেয়। কোচ সোহাগকে জানায় এখন থেকে প্রতিদিন কোচিংয়ে তার জন্য এগুলোর ব্যবস্থা থাকবে। কৃতজ্ঞতায় সোহাগের দুচোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়তে থাকে। কোচের এমন অবদানের কারণে সোহাগ আরো বেশি করে পরিশ্রম করতে থাকে। এভাবে দেখতে দেখতে আরো একটা বছর পার হয়ে যায়। পরবর্তী বছর সোহাগ আবার জেলা দলের হয়ে খেলার সুযোগ পায়। যদিও তার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কিছু লোক কথা উঠায়। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
আসলে ক্রিকেট খেলায় বাজে পারফরম্যান্স করলে মনোবল নষ্ট হয়ে যায়। তবে সোহাগের ভাগ্য ভালো যে,এমন একজন কোচ পেয়েছে। কারণ তার কোচ শুধু সাপোর্ট ই করে না,বরং তার জন্য খাবারের ব্যবস্থাও করছে। আশা করি এবার সোহাগ ঠিকই ভালো পারফরম্যান্স করবে জেলা ক্রিকেটে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit