আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
ফেসবুকের কল্যাণে যেখানেই যা হোক না কেনো, সবকিছুই বর্তমানে চোখের সামনেই চলে আসছে এবং ফেসবুকের কল্যাণে আসলে এমন অনেক অজানা তথ্য জানতে পারছি যেগুলো ঘরে বসে জানা কখনোই সম্ভব হতো না। যদিও ফেসবুকের কল্যাণে একটা বিপদেও আমরা পরেছি। সেটার নাম হচ্ছে, 'গুজব '।যাই হোক, আজকে গুজব নিয়ে কথা বলবো না তবে আজকে ভাবলাম একটা সতর্কতামূলক কিংবা একটা পরামর্শমূলক পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করি। আমার লেখাটি পড়ে যদি একজন মানুষ ও সচেতন হয়। তাহলে আমি মনে করি আমার লেখাটি সম্পূর্ণ সার্থক।
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচন্ড রকমের বন্যা দেখা দিয়েছে এবং এটা অসম্ভব ভয়াবহ। বিভিন্ন জায়গায় বলা হচ্ছে যে এর মতোন ভয়ংকর বন্যা বিগত দিনে বাংলাদেশের ইতিহাসে আর হয়নি। অর্থাৎ তার মানে বুঝতেই পারছেন এর ভয়াবহতার পরিমাণ কতোটা ! আর এমন হঠাৎ বন্যার জন্যে বেশিরভাগ মানুষ ই তৈরি ছিলো না ।তো এমন হঠাৎ বন্যার জন্যে বর্তমানে বিভিন্ন জায়গার মানুষ ওই বন্যা কবলিত জায়গার মানুষদের ত্রাণ দিচ্ছে।যেটার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ কাজ মিস হয়ে যাচ্ছে।আর সেটা হলো প্রাণ বাঁচানো।
বর্তমানে বন্যার অবস্থা এতোটাই ভয়াবহ যে, আমি মনে করি তাদের ত্রাণ না দিয়ে।তাদেরকে বাঁচিয়ে আনাটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিভিন্ন জায়গায় পানির উর্দ্ধসীমা অনেক আগেই অতিক্রম হয়ে গিয়েছে। এমন অবস্থায় সেখানকার জায়গা গুলোতে মানুষের বসবাস করা কিংবা বেঁচে থাকা অসম্ভব। তাই তাদেরকে ত্রাণ না দিয়ে তাদেরকে একটা নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় দেওয়া সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এখন। তাই যারা এই বন্যা কবলিত মানুষদের জন্য ভলেন্টিয়ার হিসেবে কাজ করছে তাদের উচিত এখন ত্রাণ নিয়ে না গিয়ে খালি বোট নিয়ে ওই মানুষগুলোকে উদ্ধার করে। নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা।আমি হয়তো ভুলও হতে পারি। কিন্তু আমার এমনটাই মনে হচ্ছে, অর্থাৎ এটাই উত্তম বলে মনে হচ্ছে।