মা না থাকলে দুনিয়া যেনো আঁধার

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আমাদের জীবনে যে মানুষটা আসলে সৃষ্টিকর্তার পরবর্তীতে অবস্থান করে। অর্থাৎ আমাদের ধর্মীয় মানুষগুলোর পরে। আমি মনে করি তিনি হলেন আমাদের মা। কারণ উনার যদি কিছু হয়, তাহলে আসলে দুনিয়াদারিটাই যেনো অন্ধকার লাগে। অন্তত আমার ক্ষেত্রে তো তাই। কারণ মা ছোটবেলা থেকে এমন ভাবে আগলে আগলে মানুষ করেছেন। উনার ছায়া ছাড়া আজকাল যেনো চলাটাই একেবারে অসম্ভব হয়ে যায়। হ্যাঁ, এটা মোটেও ভালো কথা নয়। কিন্তু দিন শেষ আমার শুধু এটাই মনে হয় যে, আমি কোনোভাবেই যেনো মা ছাড়া চলতে পারবো না।

এই যে সেদিনকার কথাই যদি একটু ধরি না কেনো।মা হুট করেই অল্পবিস্তর অসুস্থ হয়ে পরেছিলো, ওয়েদার চেঞ্জ এর কারণে। তখন আমার যে এতো খারাপ অবস্থা হয়েছিলো এবং রীতিমতো কাজের মাঝে আমার কান্না পাচ্ছিলো। কারণ এত কিছু একসাথে সামলানো ওই মানুষটার দ্বারা কিভাবে সম্ভব হতো জানিনা। কিন্তু আমার দ্বারা সত্যিই আর যেনো সম্ভব হয়ে উঠছিলো না। আমার নিজেকে প্রায় পাগলের মত লাগছিলো।

ঠিক সেই মুহূর্তে লাগছিলো যে, আমি বোধহয় ধীরে ধীরে পাগল হয়ে যাবো। কারণ এতো যন্ত্রনা, এতো ঝামেলা, এতলতো প্রেসার আমি কোনো ভাবেই নিতে পারবো না। আর যে মানুষটা আমার হয়ে এতোগুলো প্রেসার নিতো। সেই মানুষটা না থাকা মানে আমার পুরো জীবনটাই যেনো শেষ হয়ে যাওয়া। এই পৃথিবী ছেড়ে একদিন সকলকেই চলে যেতে হয়। কিন্তু আমি সত্যিই ভাবতে পারি না যে আমার মা আমাকে ছেড়ে চলে যাবে। কারণ আমি মায়ের ওই অসুস্থতার একটা দিন যেখানে সার্ভাইব করতে পারিনি। সেখানে আজীবন কিভাবে সার্ভাইভ করবো?আমি সত্যিই জানিনা। এমনকি লেখাগুলো লেখার সময়ও মনটা কেমন করে উঠছিলো, এই লেখাগুলো লিখতে লিখতেই।

মন থেকে এটাই চাওয়া। সৃষ্টিকর্তা সকলের মা নামক জাদুকরি মানুষগুলোকে খুব ভালো রাখুক। কারণ উনারা ছাড়া তাদের সন্তানগুলো যে একেবারে বেচে থেকেও মৃতের সমান।