আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে নারী পুরুষের সমান অধিকার সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।
লিংক
আসলে এই পৃথিবীতে মানুষ কিন্তু নারী পুরুষ দুজনকেই সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা এই নারী পুরুষদেরকে কখনো আলাদা করে সৃষ্টি করেননি। তাইতো এই সমাজে আমরা কখনো নারী পুরুষের আলাদা অধিকার দাবি করব না। এই পৃথিবীতে আমরা সবসময় দেখতে পাই যে নারীরা সবসময় নির্যাতিত হয় এবং পুরুষেরা এই নারীদের উপর নির্যাতন করে। আসলে সেই প্রাচীনকাল থেকে মানুষ অর্থাৎ পুরুষ লোক এই নারীদের শাসন করে আসছেন এবং বর্তমান সময়ে আমরা এসে দেখতে পাই যে এখনকার পুরুষরা নারীদের তুচ্ছ বলে মনে করে। কিন্তু আমার মনে হয় যে এই সমাজে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও কোন অংশে কম নেই। কেননা পুরুষেরা বর্তমানের যেসব কাজ করতে পারে তা সবকিছুই নারীরা করতে পারে। আসলে মানুষের এই ভুল ধারণা এখন আস্তে আস্তে পাল্টে যেতে শুরু করেছে।
আসলে যারা শিক্ষিত লোক তারা কখনো নারী-পুরুষের আলাদা কোন বিচার করে না। তারা মনে করে যে শিক্ষা হলো একটা জাতির পরিচয়। আর কোন জাতি যদি নারী পুরুষের আলাদা আলাদা পরিচয় বের করতে শুরু করে তাহলে সেখানে শিক্ষার বড়ই অভাব রয়েছে। আর এই বর্তমান সময় আমরা দেখতে পাই যে নারীরা কিন্তু পুরুষদের থেকে কোন অংশের পিছিয়ে নেই। কেননা পুরুষেরা যেসব কাজ করতে অনেক বেশি সময়ের প্রয়োজন হচ্ছে ঠিক সেই সব কাজ কিন্তু নারীরা খুব অল্প সময়ে করতে পারছে। এছাড়াও আমরা কর্মক্ষেত্রে গিয়ে দেখতে পাই যে পুরুষদের তুলনায় নারীদের ধৈর্য অনেক বেশি থাকে। আর পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও এখন হাতে হাত মিলিয়ে বিভিন্ন ধরনের কঠিন কাজ করতে সম্ভব হচ্ছে। আর এর ফলে আমরা বুঝতে পারছি যে নারীরা এখন কতটা এগিয়ে।
আসলে আমরা যদি নারী সমাজকে বর্তমান সময়ে তুচ্ছ বলে না মনে করে নারীদেরকে ছোটবেলা থেকে অর্থাৎ যেসব মেয়েরা ছোটবেলায় স্কুলে যায় না তাদের যদি সঠিক শিক্ষা দেওয়া যায় তাহলে তারা কিন্তু বড় হয়ে দেশ এবং দেশের সেবা করবে এবং নিজেদের সমাজকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু কিছু কিছু সমাজের লোকজন কখনো নারীদের শিক্ষাকে কখনো মেনে নিতে পারে না। আর এজন্য তারা কখনো নারীদেরকে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি করিয়ে দেয় না। আর এর ফলে এসব মেয়েরা কিন্তু সকল ধরনের কর্ম ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকে। তাইতো আমাদের সব সময় ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও স্কুলে যাওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আসলে মেয়েরা যদি শিক্ষা ক্ষেত্রে থেকে পিছিয়ে থাকে তাহলে দেশ কখনো সামনের দিকে এগোতে পারবে না।
কেননা এই পৃথিবীতে একটা বড় জাতির অর্ধেক মহিলা এবং অর্ধেক পুরুষ। আর অর্ধেক মহিলা যদি পিছিয়ে থাকে তাহলে অর্ধেক পুরুষের পক্ষে কখনো উন্নত জীবন যাপন করা মোটেও সম্ভব হবে না। তাইতো আমাদের সব সময় নারী পুরুষের সমান অধিকার আদায় করার জন্য চেষ্টা করতে হবে এবং যারা নারীদের উপরে অত্যাচার করে তাদের থেকে সবসময় দূরে থাকতে হবে এবং তাদেরকে সরকারের আওতায় দিয়ে যেতে হবে। কেননা তারা যদি এমন ঘৃণা জনিত কাজ করতে থাকে তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাদের এসব আচরণ দেখে তারাও সেই একই রকম শিক্ষা গ্রহণ করবে। আর এই জন্য আমরা সবসময় চেষ্টা করবো যে সমাজের নারীদের যাতে কোন অংশ পিছিয়ে রাখা না যায় এবং তাদেরকে পুরুষদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আর এর মাধ্যমে একটা দেশ পুরো উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
ভালো একটি আর্টিকেল শেয়ার করেছেন আপনি। নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিয়ে সারা বিশ্বে দীর্ঘদিন ধরে কথা হচ্ছে। নারীরা বর্তনামে এগিয়ে যাচ্ছে সমান তালে। তবে সমাজের অনেক নারীই এখনো পিছিয়ে আছে, পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব ও বিভিন্ন গোড়ামীর কারনে। আপনি ঠিকেই বলেছেন, অর্ধেক নারীকে পিছিয়ে রেখে কোন ভাবেই উন্নতি সম্ভব নয়। আসুন সবাই নারীকে সমান সুযোগ দেই। ঘরে এবং বাইরে। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
文章写得很好
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit