দবির মিয়ার অন্তহীন সংগ্রাম (সপ্তম পর্ব)

in hive-129948 •  last month 

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


কেনাকাটা করার পরে সাড়ে চার হাজার টাকা দবির মিয়ার কাছে ছিলো। সে টাকাটা তার স্ত্রীর কাছে দিয়ে বললো কালকে এই টাকা দিয়ে এক মাসের বাজার করে নিয়ে আসবো। তখন দবির মিয়ার স্ত্রী বলে পুরো টাকা দিয়ে বাজার না করে একটা কাজ করেন। কয়েকটা দেশি মুরগি কিনে আনেন। আর একটা মুরগির খোপ বানিয়ে দেন। আমাকে গ্রামের অনেকেই মুরগি পালে। সেই মুরগীর ডিম তারা শহরে নিয়ে বিক্রি করে। শহরে নাকি দেশি মুরগির ডিমের অনেক দাম। তখন দবির মিয়া বলে ঠিক আছে তোমাকে মুরগি আর মুরগির খাচা কিনে দেবো।

Black and Gold Fancy New Year Card_20240828_213002_0000.png

তারপর যা থাকবে সেই টাকা দিয়ে বাজার করবো। দবির গ্রামের হাটে গিয়ে মুরগির খাচার দাম করতে থাকে। কিন্তু সে দাম শুনে অনেকটা ভয় পেয়ে যায়। পরবর্তীতে সে মুরগির খাচা দেখে চিন্তা করতে থাকে এটা তো সে নিজেই বানাতে পারবে। পরদিন যেহেতু দবির মিয়ার কোন কাজ নেই। তাই সে তার বাড়ির আশপাশ থেকে প্রথমে মুরগির খাচা বানানোর মতো কি কি আছে সেগুলো জোগাড় করে। তারপর বাজারের একটা ভাঙ্গারি দোকানে গিয়ে সেখান থেকে পুরাতন কিছু টিন নিয়ে আসে সাথে কিছু লোহার পেরেক ও আনে।

তারপর নিজেই বসে যাই মুরগির খাঁচা বানানোর কাজে। দেখতে দেখতে সে সুন্দর একটা খাঁচা বানিয়ে ফেলে। তারপর বাজারে গিয়ে কিছু মুরগী কিনে আনে। সে চিন্তা করতে থাকে মুরগিগুলো কিনে ভালোই হোলো। এখান থেকে যখন মুরগির সংখ্যা বাড়বে তখন সেখান থেকে মাঝে মাঝে দু একটা খাওয়াও যাবে। আবার তার ছেলেমেয়েরাও মাঝে মাঝে মুরগির ডিম খেতে পারবে। তারপর থেকে দবির মিয়ার স্ত্রী খুব যত্ন করে মুরগিগুলো পালতে থাকে।
(চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।




ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দবির মিয়ার স্ত্রী চমৎকার একটি বুদ্ধি বের করেছে। মুরগি কেনার আইডিয়াটা দারুণ ছিলো। আশা করি মুরগির ডিম বিক্রি করে, দবির মিয়ার পরিবার কিছুটা হলেও স্বচ্ছল হবে। আশা করি পরবর্তী পর্বে বিস্তারিত জানতে পারবো।