গাজীপুর থেকে গ্রামের বাড়িতে ফেরার অভিজ্ঞতা

আসসালামু আলাইকুম। শুভ সকাল। আশা করছি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সকলে বেশ ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও বেশ ভালো আছি। আমরা যেন সর্বদা সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকতে পারি সেই কারণে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি।

আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি লাইফ স্টাইল ব্লগ লেখার জন্য উপস্থিত হয়েছি। গতকাল আমি গাজীপুর থেকে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলাম বিশেষ একটি কাজে। আর সেই কাজে আমার দিনের একটি চমৎকার একটিভিটি তৈরি হয়েছিল।

...
আমি খুব সকালে অটো রিক্সা নিয়ে গাজীপুর চৌরাস্তা এসে পৌঁছে গিয়েছিলাম। এখানে এসে লোকাল বাসের জন্য আমাকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল। প্রায় সকাল সাতটা বেজে 15 মিনিটে আমি একটি লোকাল বাসে আহরণ করি এবং আমি আমার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিতে আমার বেশ ভালো লেগেছিল এবং আমি এবং আমার মা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।

রাস্তার ভেতরে আমরা বেশ ক্ষুধার্ত ছিলাম। কারণ সকালে শুধুমাত্র হালকা নাস্তা করেছিলাম। তাছাড়াও আশেপাশের প্রতিনিয়ত গার্মেন্টস শ্রমিকদের ঝামেলার জন্য আমরা খুব সকালে বের হয়েছিলাম। কারণ গাজীপুরে প্রায় প্রতিদিন গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি পুরো সহরটাকে প্রায় অতিষ্ঠ করে ফেলেছে। তাই আমি এবং আমার মা খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম।

এরপর ভ্রমণের প্রায় অর্ধেক সময় পার হয়ে গিয়েছিল। আমরা সকাল ১১ টার দিকে ছোট্ট একটি রেস্টুরেন্টের সন্ধান পেয়েছিলাম। রাস্তার পাশেই ছোট্ট একটি রেস্টুরেন্টে বাস থামানো হয়েছিল এবং আমরা সেখানে হালকা নাস্তা করেছিলাম।

আমি রেস্টুরেন্টের খাবার একদম পছন্দ করি। তবে তারপরেও প্রচন্ড ক্ষুধার্ত ছিলাম সেই কারণে হালকা নাস্তা করেছিলাম এবং আমি এবং আমার মা মিলে একসাথে । এরপর ২০ মিনিট বিরোতী দেওয়ার পর আমাদের যাত্রা আবারো শুরু হয়েছিল।

আমরা প্রায় দেড় ঘন্টা জার্নি করার পর বনপাড়া বাস স্ট্যান্ডে এসে পৌঁছে গিয়েছিলাম। সেখানে নেমে আমার অনেক বেশি আনন্দ লাগছিল কারণ আমি আমার অঞ্চলে প্রবেশ করেছি ইতিমধ্যেই। ঠিক বেলা 11 টা বেজে ৫১ মিনিটে আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম বনপাড়া বাস স্ট্যান্ডে।

আমাদের বাসায় ফেরার জন্য এবার একটি সিএনজি ভাড়া করতে হয়েছিল। এখনো আমাকে প্রায় দুইটি যানবাহন পরিবর্তন করতে হবে। তাই প্রথম যানবাহন হিসেবে সিএনজি বেঁছে নিলাম এবং সিএনজি করে আমরা আমাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম।

সিএনজি থেকে নামতে আমাদের প্রায় দুপুরে একটা বেজে গিয়েছিল। এবং এরপর আমাদের আঞ্চলিক প্রবেশ করে এবং আমরা একটি অটো রিস্কা ভাড়া করলাম। অটো রিস্কা ভাড়া করার পর আমরা আবারো আমাদের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম এবং ঠিক দুপুরে একটা বেজে পনেরো মিনিটে আমরা আমাদের বাসার গেটে এসে পৌঁছে গেলাম।

আসলে শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে আসার অভিজ্ঞতা অত্যন্ত আনন্দদায়ক। আপনি যত কষ্ট করে কিংবা যত জ্যাম উপেক্ষা করে বাড়ি ফেরেন না কেন বাড়িতে ফিরলে আপনার মনের সমস্ত কষ্ট দূর হয়ে যাবে। কারণ গ্রামে জড়িয়ে রয়েছে আপনার অসংখ্য মায়া। আর শহরে আপনি শুধুমাত্র জীবিকার তাগিদে পড়ে থাকেন।

ঠিক আমিও গ্রাম থেকে যখন শহরে যাই মনটাকে খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু যখন আমি শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে আসি শত কষ্ট করে কিংবা অনেক জ্যাম অপেক্ষা করে বাড়িতে আসতে পারলে যেন আমার মনে অনেক বেশি আনন্দ কাজ করে।

অভিজ্ঞতাটা আমার বেশ ভাল ছিল। আমি আশা করছি আপনারাও এই চমৎকার অভিজ্ঞতা উপভোগ করেছেন। উপভোগ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।