আসসালামু আলাইকুম। হিন্দু দাদা দের প্রতি আদাব এবং অন্যান্য সকল জাতির প্রতি সম্মান রেখে শুরু করছি আমার গতকালকের দিনপঞ্জি লেখা। সবাইকে #amarbanglablog এ স্বাগতম আমার পক্ষ থেকে আমি @steem-for-future
আজ 25 শে আগস্ট রোজ বুধবার। আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আজ আমি লিখতে চলেছি আমার গতকালকে দিনপঞ্জি সম্পর্কে যেটি ছিল 24 শে আগস্ট 2001 উস রোজ মঙ্গলবার এর ঘটনা। 16 বন্ধুরা কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।।
https://w3w.co/directors.tiger.loose
সারাদিনের ঘটনা।
https://w3w.co/decisive.essay.shadows
আমার অফিস ছুটি হল সকাল আটটায়। প্রতিদিনের মতো খুব সকালে ঘুম থেকে উঠলাম এবং ঘুম থেকে উঠার পরে অফিসের ভিতরে হাত মুখ পরিষ্কার করার পর খাতা সাইন করলাম। খাতা সাইন করার পর রীতিমতো অফিস থেকে বের হয়ে আসলাম
অফিস থেকে বের হয়ে আসতে আসতে আমার বাসা প্রায় 10 মিনিট এর রাস্তা। সুতরাং আমি যখন রাস্তা দিয়ে হেটে চলে আসছি লাম। এমন সময় দেখতে পেলাম
https://w3w.co/shams.stretcher.snowy
https://w3w.co/shams.stretcher.snowy
বেশ কিছু লোক ধানের চারা বপন করছে। তারা সাধারণত এ ধরনের চারাগুলো বপন করবে এবং সেখান থেকে যখন ধানের গাছ গুলো পরিপক্কতা অর্জন করবে তখন সেখান থেকে ধান এর সোনালী ফসল ফুলবে।
ধার আমাদের জাতীয় ফসল হিসেবে পরিচিত। কেননা ধান ছাড়া আমরা কখনও চাল উৎপাদন করতে পারব না এবং চাল উৎপাদন না করলে আমাদের প্রধান খাদ্য ভাত কোথা থেকে পাব? সুতরাং ধান প্রধান ফসল হিসেবে পরিচিত..
সুতরাং বেশ কয়েকজন লোক সেখানে ধান বোপন করছিল। আমি বেশ কিছুক্ষন সময় ধরে ধান বপন করা দেখলাম এবং ধান বপন করা যখন খুব সুন্দর লাগছিল তখন আমি সেখান থেকে একটি ভিডিও সংগ্রহ করি।
ধান বোপন সম্পর্কে একটি ভিডিও ক্লিপ নিচে দেখে নিন
কৃষকদের ধান রোপনের দৃশ্য
https://w3w.co/shams.stretcher.snowy
https://w3w.co/shams.stretcher.snowy
কৃষকদের ধান রোপনের দৃশ্য ভিডিও করার পর আমি রাস্তার দিকে এগোতে থাকি। রাস্তার দিকে এগুতে এগুতে আমি দেখতে পাই আমার সামনে বেশ কিছু রাজহাঁস সাদা সাদা রাজহাঁস গুলো আমার সামনে দিয়ে ভেসে যাচ্ছে।
সুতরাং আমি তৎক্ষণাৎ তাদের কিছু ছবি সংগ্রহ করে এবং সেগুলো পর্যবেক্ষণ করে রাখি।
https://w3w.co/shams.stretcher.snowy
কিছুক্ষণ পর হাঁটতে হাঁটতে আবার দেখি আরো একটি জমিনে কৃষকরা ধান রোপন করছে। সুতরাং আমি সেখানে আর বেশিক্ষণ সময় না দিয়ে শুধুমাত্র আমার একটি সেলফি নিলাম এবং আমি পুনরায় রাস্তার দিকে এগুতে থাকলাম।
কেননা সারারাত নাইট করার পর আমার শরীর প্রচন্ড। এই ক্লান্ত শরীর নিয়ে আসলে বিশ্ব কোন বাইরে থাকা ঠিক হবে না। সুতরাং আমি একটি ছবি সংগ্রহ করার পর খুব দ্রুতই বাসার দিকে আসতে লাগলাম
বাসার দিকে আসতে আসতে আমি আরও বেশ কিছু বর্ষায় পার করলাম
https://w3w.co/shams.stretcher.snowy
বাসায় আসার পূর্ব মুহূর্তে আমি আমার বাসার সামনের বড় একটি পুকুর আছে সেখানে একটি ফটোগ্রাফি করলাম এবং সোজা আমার রুমে চলে আসলাম।
রুমে চলে আসার পর আমি প্রতিদিনের মতো ড্রেস চেঞ্জ করলাম এবং ব্রাশ করে সকালের নাস্তা শেষ করলাম। সকালে নাস্তা শেষ করার পর আমি পুনরায় রুমে আসে এবং রুমে এসে ঘুমিয়ে পড়ি।
প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ঘুমানোর পর আমি দুপুর 2 টায় ঘুম থেকে উঠে। ঘুম থেকে উঠার পর আমি দুপুরের খাবার শেষ করি এবং আমার বাহিরের এলাকাগুলো ঘুরে দেখার চেষ্টা করি
https://w3w.co/cropping.swatted.recur
যেহেতু এখন ভাদ্র মাস সুতরাং এমন সময় আকাশে প্রচন্ড মেঘের ভেলায় ভেসে বেড়াচ্ছিল। তারপরেও কিছু করার নাই কেননা বিকেলবেলা আমি যদি একটু আমার বাইরের এলাকা ঘোরাঘুরি না করে আমার দিন যেন পার হতে চাইবে না।
https://w3w.co/cropping.swatted.recur
সুতরাং আমি আমার বাড়ি থেকে বেশ কিছুদূর যাবার পর দেখতে পেলাম একজন আচারওয়ালা আচার বিক্রি করছে।
বিভিন্ন ধরনের আষাঢ়ের সমারোহে রয়েছে তার দোকানে।
আমের আচার বরইয়ের আচার তেতুলের আচার জলপাই এর আচার চালতার আচার ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের আষাঢ়ের সময় রয়েছে তার দোকানে। সুতরাং আমি সেখান থেকে আরও একটু সামনে এগোতে থাকলাম
https://w3w.co/cropping.swatted.recur
https://w3w.co/cropping.swatted.recur
তারপর আমি যখন সামনের দিকে এগোতে থাকলাম দেখতে পেলাম মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রী গুলো জরে জরে তাদের পড়া গুলো মুখস্ত করছে। সুতরাং আমি মাদ্রাসার সামনে গিয়ে কয়েকটি ছবি সংগ্রহ করলাম।
জামিয়াতুল মোহাম্মদ ইয়াহু সাইন না গাজিপুরি মাদ্রাসাটি খুবই সুন্দর। সেখানে প্রায় এক হাজারের মতো ছাত্র ছাত্রী লেখাপড়া করে। যেখানে কুরআন শিক্ষার আলোকে জীবন পরিচালনা করার লক্ষ্যে শিশুদেরকে শিক্ষা দেওয়া হয়
সুতরাং আমি সেখান থেকে কয়েকটি ছবি সংগ্রহ করার পর আবার রাস্তা দিয়ে হাটতে থাকলাম। আমি এভাবেই আমার পুরো বিকেলটি পার করতে থাকলাম খুব সুন্দর ভাবে।
https://w3w.co/decisive.essay.shadows
অনেকক্ষণ ঘুরাঘুরির পর আমি যখন বাসায় চলে আসব তখন দেখতে পেলাম একজন সবজিওয়ালা সবজি বিক্রি করছে। তার কাছে বিভিন্ন ধরনের টাটকা সবজি রয়েছে। সুতরাং আমি তার কাছে গেলাম এবং পেঁপে কেনার জন্য দোকানে লাকে জিজ্ঞেস করলাম পেঁপে কত করে কেজি?
পেঁপে অল আমাকে বললো মামা পেঁপে 30 টাকা কেজি। তখন আমি তার কাছ থেকে 2 কেজি পেপে কিনলাম 60 টাকা দিয়ে।
https://w3w.co/decisive.essay.shadows
এখন পেঁপে রান্না করার জন্য আমার মাছের প্রয়োজন। সুতরাং তার পাশেই ছিল একটি খুচরা মাছের দোকান। সুতরাং সেখান থেকে আমি 50 টাকা দিয়ে আধা কেজি খুচরা মাছ কিনলাম।
মাছ এবং পেঁপে কেনা শেষ হলে আমি আবার রাস্তার দিকে হাটতে থাকলাম।
রাস্তায় এসে বন্ধুদের সাথে দেখা হল এবং আমি তাদের সাথে চা এবং সিগারেট খাওয়া শেষ করে পুনরায় বাসায় চলে আসলাম মাছ এবং পেঁপেকে কেনা শেষ হয়।
তখন আমি সোজা আমার মায়ের রুমে চলে গেলাম এবং পেঁপে এবং মাছগুলো আমার মাকে বুঝিয়ে দিয়ে আমার রুমে চলে আসলাম। তখন বিকেল গড়িয়ে প্রায় সন্ধ্যা হবার অবস্থা।
যখন সন্ধ্যা সাতটা বেজে গেল তখন আমি অফিসে আসার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলাম।
কেননা অতিরিক্ত কাজের চাপ থাকায় আমার অফিস শুরু রাত আটটা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত
সুতরাং আমি অফিসে আসার জন্য পুনরায় গোসল করি এবং অফিসের ড্রেস পরিধান করি। অফিসের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করার পর আমি আমার মায়ের রুমে গেলাম এবং সেখানে গিয়ে রাতের খাবার খেলাম।
রাতের খাবার শেষ করে আমি যথারিতি প্রতিদিনের মতো অফিসে উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
রাত 7 টা 50 মিনিটে আমি অফিসে উপস্থিত হলাম
https://w3w.co/decisive.essay.shadows
https://w3w.co/decisive.essay.shadows
অফিসে উপস্থিত হবার পর যথারীতি প্রতিদিনের মত আমি অফিসের কাজ শুরু করে দিলাম।
কাজের প্রচণ্ড চাপ এবং আমি তখন খুব দ্রুত কাজ করছিলাম।
এভাবে প্রায় চার ঘণ্টা কাজ করার পর যখন রাত বারোটা বেজে গিয়েছিলো তখন আমাদের চা খাওয়ার জন্য 15 মিনিট সময় বরাদ্দ করা হয়েছিল।
সুতরাং আমরা 15 মিনিট পর চা খাওয়া শেষ করে পুনরায় ঘরে প্রবেশ করে এবং একটানা কাজ করতে শুরু করে রাত তিনটা পর্যন্ত। রাত তিনটা পর্যন্ত কাজ করার পর একটু বিশ্রাম করি এবং আবার সকালে কাজ শুরু করি।
অতএব সকাল 8 টায় আমাদের অফিস ছুটি হয়ে গিয়েছিল
আর এই ছিল আমার গতকালকের দিনপঞ্জি।
কেমন ছিল আমার দিনপঞ্জি আশা করছি সবাই জানাতে ভুলবেন না,। আর চাইলে আপনাদের সুন্দর দিন প্রতিটি লিখতে পারেন #amarbanglablog কমিউনিটিতে খুব সুন্দর ভাবে প্রকাশ না করার মাধ্যমে।
দিনপঞ্জী লেখার অনেক অনেক গুরুত্ব রয়েছে। আপনি যদি প্রতিদিনের দিনপঞ্জি বলব আপনার ডায়েরিতে লিখে রাখেন তাহলে আপনি দিনে কতটি ভালো কাজ করতে সক্ষম হয়েছেন এবং কতটি মন্দ কাজ করছেন সে সম্পর্কে আপনি যথেষ্ট ধারণা রাখতে পারবেন। এবং পরবর্তীকালে আপনি যদি আপনার জীবন থেকে মন্দ কাজ গুলো বাদ দিতে পারেন তাহলে আপনার জীবন সার্থকতা পেয়ে যাবে
সুতরাং আমাদের প্রতিদিন দিনপঞ্জি লেখা উচিত
সারাদিনের ফটোগ্রাফি করেছিলাম | আমি @steem-for-future |
---|---|
ফটোগ্রাফির ধরন | অরিজিনাল ফটোগ্রাফ |
ধরন | আমার ডায়েরী গেম |
বিষয় | সুন্দর জীবন |
ডায়েরির সংক্ষিপ্ত বিবরণী | কর্মময় জীবন |
লিখেছেন | আমি, মোঃ আকাশ আলী |
স্পেশালি ধন্যবাদ জানাতে চাই @rme @photoman @blacks
এতক্ষণ সাথে ছিলাম আমি
@steem-for-future | একজন গার্মেন্টস কর্মচারী ©® লেখাপড়া বাদ দিয়ে গার্মেন্টসে চাকরি করি এবং গরিব এবং অসহায় মানুষদের সাহায্য করতে ভালোবাসে |
আপনার শহরটি অনেক সুন্দর। পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপনাকে আমার শহর সম্পর্কে সুন্দর মতামতের জন্য। চাইলে আপনিও তুলে ধরতে পারেন আপনার শহরের বিভিন্ন আঙিনার আলোকচিত্র
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit