আমার হারানো শৈশবকাল এবং ঘুড়ি উড়ানোর দিনগুলো। সাথে আছি আমি @steem-for-future .
আসসালামু আলাইকুম।
আশা করছি সকলে ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের অনেক অনেক দোয়া এবং আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি। সকলের সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকুন সেই কামনা করি এবং সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন আমিও যেন সবসময় সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকতে পারি। সকলের প্রতি অনেক অনেক প্রীতি শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগিং।
খুব সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পরে অফিসে বের হতেই কেমন জানি মনের ভিতরে একটা অস্থির ভাব চলে আসছিল। খুব ছোটবেলার কথা মনে পড়ছিল আমার। কত চমৎকার ছিল ছোটবেলা এবং এখন আমার যৌবনকালের অবস্থা সত্যিই এর ভেতরে অনেক তারতম্য রয়েছে।
শিশুকালে খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে কোন কিছু খেয়াল না করে দূরে চলে যেতাম ঘুড়ি উড়াতে কিংবা বন্ধুদের সাথে খেলতে। বিশেষ করে শৈশবের স্মৃতিচারণ গুলো খুব বেশি ভাবে সব সময় নাড়া দেয় আমার হৃদয়টাকে। প্রতিটি সময় প্রতিটি মুহূর্ত আজ সকাল থেকে আমার শৈশবের কথা মনে পড়ছে খুব। সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পরেই ঘুড়ি উড়াতে চলে যেতাম। অথবা বন্ধুদের সাথে মার্বেল খেলার জন্য অথবা ফুটবল খেলার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতাম সকালবেলায়। ঠিক ছিল না সকালের নাস্তা কিংবা ঠিক ছিল না দুপুরের গোসল। খেলার মধ্যে যে কি আনন্দ পেতাম সত্যিই বোঝে ওঠার সাধ্য নাই।
বিকেল হলে তো কোন কথাই নাই। বন্ধুদের সঙ্গে ঘড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যেত। কে কত সুন্দর করে ঘড়ি তৈরি করতে পারে কিংবা কার ঘুড়ি কত উপরে করতে পারে? এমনও নানা প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে বিকেল পার হয়ে যেত। তাছাড়াও এই ঘুড়ি উড়ানো নিয়ে কত বন্ধুদের সাথে মারামারি এবং কত ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত আমাদের মাঝে।
যদি কখনো ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে সুতা ছিড়ে যেত তবে দৌড় দিতাম ঘুড়ির পিছন পিছন। এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রাম চলে যেতাম ঘুড়ির খোঁজে। অবশেষে দেখতে পেতাম কোন বড় এক গাছের মগডালে আটকে আছে আমার ঘুড়ি। জীবনের কোন তোয়াক্কা না করে সেই গাছের মগডালে উঠে পড়তাম ঘুড়ি নামানোর জন্য। এদিকে প্রতিবেশীরা আমার প্রতি নজর রাখত এবং বলতো এই ছেলে আজ মরবে নিশ্চয়। তখন কিন্তু মরনের ভয় আমাদেরকে কিংবা আমাকে কাবু করতে পারত না।
শৈশব কালটা অনেক ছিল মধুময়। একটি ঘুড়ি তৈরি করার জন্য কাকা কিংবা বাবার কাছে কত বাহানা ধরা লাগতো তা বলে বোঝানো যেত না। একটি ঘুড়ি তৈরি করে নেওয়ার জন্য বাবা কাকা অথবা বড় ভাইয়ের কাছে যে কত কান্নাকাটি করেছি সেই দিনগুলো মনে হল এখনও হাসি আসে মনের ভেতর থেকে। কতদিন পার করেছি শৈশবের সেই মধুময় দিনগুলো সেগুলো হয়তো কখনোই ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়।
যদিও আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের শৈশবগুলোকে মিস করি তবে সেই হারানো শৈশব সত্যি মধুর ছিল। ঘুড়ি পড়াতাম বিকেল বেলা, এদিকে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত লেগে গেছে সেদিকে কোন খেয়াল নাই। ঘুড়ি ওড়াতে হবে এবং কার ঘূড়ি কত উপরে উঠাতে পারি এটাই ছিল আমাদের প্রতিযোগিতা।
চৈত্র মাসে কঠোর রোদ্রের ভিতরে দুপুরবেলা ঘুড়ি উড়াতাম। এদিকে বাবা লাঠি নিয়ে বাড়িতে বসে থাকতো মারার জন্য। যদিও দুই একটা মার দিত মার খেয়ে কান্না করতে লাগলেই বাবা আবার আদর করত। কত জমির মালিক লাঠি নিয়ে তাড়া করত তার ফসলী জমি নষ্ট করার জন্য। সত্যিই দিনগুলো এখন শুধুই স্মৃতিময়। তবে সেই স্মৃতিময় দিনগুলোকে আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পেরে খুবই আনন্দ লাগছে।
শৈশব কালে ঘুড়ি উড়ানোর নানা দৃশ্য আমার মনে হয়ে গেল।আপনার পোস্টটি পড়ে আমার ঘরে এখনো তিনটা ঘুড়ি আছে। আমাদের গ্রাম্য ভাষায় এই ঘড়িটির নাম চিলি ঘুড়ি নামে পরিচিত। এত সুন্দর শৈশবের কথা মনে করে দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মাঝে মাঝে সময় পেলে ঘুড়ি গুলোকে একটু আকাশে উড়িয়ে দিবেন। দেখবেন অনেক ভালো লাগবে আপনার। তবে আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় আমরাও চিনি বলে থাকি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার পোস্ট পড়ে সেই পুরোনো দিনের স্মৃতি মনে পড়ে গেলো ভাই। আসলে ছোট বেলায় ঘুড়ি উড়ানোর পাগল ছিলাম। আপনার লেখা আমার অনেক ভালো লাগে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে সাজিয়ে লিখতে পারেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি যে আমার লেখাগুলো পড়েন এটা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো ভাই। আর সবকিছুই আপনাদের অনুপ্রেরণার ফল। আপনাদের অনুপ্রেরণা আমাকে লিখতে উৎসাহিত করে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে শৈশবে ঘুরে উড়ানোর মজাই ছিল আলাদা। আমি ২০১৯ সালে প্রথম যখন লকডাউন দিয়েছিল তখন আমি ঘুড়ি উড়িয়ে ছিলাম। খুবই সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এটা মাত্র কয়েকদিন আগের কথা। তবে ভাই যদিও এখনো ঘুড়ি উড়াই তবে শৈশবের সেই আনন্দ এখন আর ফিরে পায় না। শৈশবের স্মৃতিচারণ সত্যিই অনেক মধুময় ছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার মত করে আমিও শৈশবে বিকেলবেলা ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা করতাম আমাদের নীলফামারী বড় মাঠে।আপনার আজকের শৈশবের ঘুড়ি ওড়ার গল্প পড়ে আমার শৈশব টা মনে পড়ে গেল।♥♥
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দিনগুলো আজ হারিয়ে গেছে। তবে রয়ে গেছে শুধুমাত্র স্মৃতিগুলো। ধন্যবাদ আপু ব্লগ ভিজিট করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit