নাটক রিভিউ: অভিশপ্ত শহর

in hive-129948 •  last month 
Screenshot_20240805_144321_YouTube.jpg
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া

শুভেচ্ছা
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুদের শুভেচ্ছা। আশা করছি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সকলে বেশ ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের অনেক অনেক দোয়া এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও বেশ ভালো আছি। আমরা যেন সব সময় সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকতে পারি সে কারণে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি।

নাটক দেখতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। তাই আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের কাছে আমি একটি নাটক শেয়ার করতে চাই। নাটকের নাম অভিশপ্ত শহর। নাটকটি দেখে আমি বেশ আনন্দিত হয়েছিলাম। রিভিউ উপভোগ করার জন্য আপনারা সকলেই আমন্ত্রিত।

নাটকটি সম্পর্কে কিছু তথ্য
নাটকের নামঅভিশপ্ত শহর
নাটকের ক্লিপনির্বাসন
চিত্রনাট্য ও পরিচালনাভিকি জাহেদ
অভিনয়-আফরান নিশো ও মেহজাবিন
সময়৩১ মিনিট
ভাষাবাংলা
চ্যানেলসি এম ভি এন্টারটেইনমেন্ট
কাহিনী সারসংক্ষেপ
Screenshot_20240805_144036_YouTube.jpg
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া

নাটকের শুরুতেই নিশো ও মেহজাবিন চৌধুরী একটি শহরের প্রবেশ করে গ্রাম থেকে। তারা দুজনে চাকুরীর সন্ধানে শহরে এসেছে এবং শহরে প্রবেশ করার পর তাদের দুইজন ভিক্ষুকের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। মূলত তারা গ্রাম থেকে আসার কারণে ভিক্ষুকদের চালাকি ধরতে পারেনি। অবশেষে কথার ছলে তারা ফেঁসে গিয়েছিল এবং মেহজাবিন চৌধুরী তার ব্যাগ থেকে কিছু নগদ ক্যাশ ভিক্ষুকদের কে দান করেছিল। অবশেষে শহরের লোকজন সেই ছলনার ভিক্ষুকদের দৌড়ানি দিয়েছিল এবং ল্যাংড়া ভিক্ষুক গাড়ি থেকে উঠে দৌড় দিয়েছিল।

Screenshot_20240805_144057_YouTube.jpg
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া

এরপর বাসার ছাদে একজন কাজের মেয়েকে বেঁধে রাখা হয়েছিল। মেহজাবিন চৌধুরী দেখে অনেক মায়া দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল এবং নিশো মনে করেছিল মেয়েটি ভুল করে ছাদে চলে এসেছে। অবশেষে ওই ছাদের মালিক মেহজাবিন ও নিশোকে জানাই কাজে ফাঁকি দেওয়ার কারণে তাকে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

শহরে প্রবেশ করেই ইতিপূর্বেই নিশো ও মেহজাবিন দুইটি প্রতারণার শিকার হলো। তাই তারা বেশ চিন্তিত ছিল এবং তাদের মনের মধ্যে একটা আতঙ্ক কাজ করতে শুরু করলো।

Screenshot_20240805_144117_YouTube.jpg
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া

নিসো একটি কারখানায় কাজ পেয়েছিল এবং তার বউ বাসায় রান্না বান্না করত এবং সংসারটি দেখাশোনা করত। তারা প্রতিনিয়ত ভিডিও কলে সমস্ত কথাবার্তা বলতো এবং তাদের সংসার বেশ ভালোভাবে চলছিল।

Screenshot_20240805_144126_YouTube.jpg
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া

যেহেতু নিশো এবং তার পরিবার ওই ফ্ল্যাটের দেখাশোনার কাজে নিযুক্ত ছিল তাই তারা ছাদে একজন লোককে ব্যায়াম করতে দেখেছিল। নিশো ভেবেছিল উনি একজন উন্মাদ এবং সে কারণে পাটের বস্তা দিয়ে তার মুখ ঢেকে দিয়েছিল। তবে ওই লোকটি ছিল একজন ভাড়াটিয়া এবং বিষয়টির জন্য বাড়িয়ালা ক্ষমাপ্রার্থনা করেছিল। নিশো ও মেহজাবিন তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছিল এবং অবশেষে তারা কোনো রকম ক্ষমা পেয়েছিল।

Screenshot_20240805_144138_YouTube.jpg
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া

নাটকে আমরা একটি কুকুরের জন্মদিন দেখেছি এবং এটা ছিল একটি হাস্যকর দৃশ্য। কুকুরের জন্মদিন পালন করতে কুকুরের জন্য নিশো ও মেহজাবিন একটি ডিনার সেট কিনেছিল। এবং জন্মদিনে কুকুরের জন্মদিন দেখে নিসবে আশ্চর্য হয়েছিল এবং এই শহর কি ? তা বোঝার চেষ্টা করছিল এবং তারা বেশ আশ্চর্য হয়েছিল।

বেশ কিছুক্ষণ পর তাদের গিফট খুলে শহরের ধনী মানুষগুলো তাদেরকে নিয়ে ট্রল করেছিল এবং তারা বেশ লজ্জা পেয়েছিল ।

ইতিপূর্বেই মেহজাবিন ও নিশো শহরের মানুষগুলোর বিভিন্ন কার্যক্রমে বেশ কষ্ট পেয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু তারপরেও তারা কোন দিকে চোখ না দিয়ে নিজেদের মতো করে জীবন পরিচালনা করছিল।

পরের দিন সকালের ঘটনা। নিশো তার কর্মস্থলে চলে গিয়েছিল এবং মেহজাবিন বাসায় ছিল। একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য রান্না ঘরের সেলফ এর উপরে ওঠে মেহজাবিন কোন একটি রান্নার উপকরণ সংরক্ষণ করার চেষ্টা করছিল এমন সময় সে সেখান থেকে পড়ে গিয়েছিল।

এদিকে নিশো মার্কেট থেকে ফেরার পথে পুলিশ থাকে সন্দেহজনকভাবে আটক করে এবং কোন ভাবেই ছাড়তে চায়না। নিশো এদিকে কারাগারে বন্দি ছিল এবং তার বউ মাটিতে পড়েছিল এবং অসুস্থ অবস্থায় ছিল ।

Screenshot_20240805_144246_YouTube.jpg
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া

মেহজাবিন চৌধুরী সর্বশেষ একটি ট্রিক স অবলম্বন করেছিল। রান্নাঘরে থাকা একটি সিলভারের বাটি দিয়ে ফ্লোরে শব্দ করছিল। সকলেই তার শব্দ শুনেছিল কিন্তু সাহায্যের জন্য কেউ তাদের কাছে গিয়েছিল না। অবশেষে রাত্রে তারা কানে হেডফোন লাগিয়ে অনলাইন বিনোদন করছিল।

একদিকে নিশো অন্যায় ভাবে জেলখানায় বন্দি অপরদিকে মেহজাবিন চৌধুরী ফ্লোরে শুয়ে আছে বেশ কয়েকদিন যাবত। তাদের নাজেহাল অবস্থা।

Screenshot_20240805_144310_YouTube.jpg
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া

অবশেষে তাদের কোন খোঁজ খবর নাই এবং একদিন সকল পারা-প্রতিবেশী খবর পেয়েছিল মেহজাবিনের এই করুন অবস্থা এবং মেহেজাবিন ততক্ষণে মৃত্যুবরণ করেছিল।

ব্যক্তিগত মতামত

শহর সত্যি পক্ষেই অভিশপ্ত। কারণ শহরের মানুষ গুলো অত্যন্ত কঠিন প্রকৃতির হয়ে থাকে। তাদের মনে বিন্দুমাত্র দয়া এবং মায়া থাকে না। গ্রামের মানুষ যেমন একজনের বিপদে খুব দ্রুত সাহায্য করে কিন্তু শহরের মানুষ অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে রাখে।

মেহজাবিন এই নাটকটিতে বেশ ভালো অভিনয় করেছে। তাছাড়াও নাটকটি দেখে আমি বেশ কষ্ট পেয়েছিলাম। কারণ বাস্তব জীবনে গরিব মানুষকে কেউ মূল্যায়ন করে না, ঠিক যেমনটি আমরা নাটকে একটি কুকুরের জন্মদিনে দেখেছি।

ব্যক্তিগত রেটিং

১০/৯

নাটকটির লিংক





VOTE @bangla.witness as witness



witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power


|250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |



ezgif.com-video-to-gif (6).gif

আমি


আমি মোহাম্মদ আকাশ সরদার। জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি ব্লগিং করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। যদিও আর্ট আমার অনেক বেশি পছন্দ তবে আর্টওয়ার্ক কাজের জন্য আমার হাত একদম বাজে। ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি আমার সব থেকে প্রিয় বিষয়। নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ এবং নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে বেশ ভালো লাগে। অসহায় মানুষদেরকে সাহায্য করতে পারলে মনের ভেতরে আনন্দ আসে। সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে মানুষের সেবা করতে চাই এবং সকলের প্রিয় ব্যক্তি হয়ে এই সমাজে বসবাস করতে চাই।

উষ্ণ শুভেচ্ছা


20221105_225033.jpg

@steem-for-future

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

শহরের বাসা বাড়িতে এই জিনিসটা হয়। অন্যের বাসা বাড়িতে শব্দ হলেও মানুষ তেমন একটা গায়ে লাগায় না। মেহজাবিনের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটি হয়েছিল। তার জন্যই শেষে এরকম পরিণতি হল। নাটকটি বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। আপনিও সুন্দরভাবে রিভিউ উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।

এরকম শহরে মানুষ আসে নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য। কিন্তু সেখানে তাদের জীবনটাই শেষ হয়ে যায়। আর ঠিক এরকমটা নিশো এবং মেহজাবিনের সাথে হয়েছে। সেখানে সবাই যেন সব সময় ব্যস্ত সময় পার করে। কার কি হয়েছে এগুলো দেখার ও সময় হয়না।
বড় হোক বা ছোট হোক তারা কোনো কিছুতেই মাথা খামায় না। যার কারণে এরকম পরিস্থিতি অনেক বেশি ঘটে থাকে। আপনি অনেক সুন্দর করে নাটকটির রিভিউ শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো।

এই নাটক টা অনেক দিন আগে দেখেছিলাম, খুবই দারুন শহর কেন্দ্রিক নাটক বেশ দারুন ভাবে আপনি গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার আজকের শেয়ার করা এই নাটকের মধ্যে বাস্তবতা ফুটে উঠেছে অনেক সুন্দর ভাবে। বাস্তবে এরকম চিত্র কিন্তু অনেক বেশি দেখা গিয়ে থাকে। জীবনটাকে গোছানোর জন্য এসে জীবনটাই সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়ে যায় এরকম অনেক মানুষের। মেহজাবিন অনেকদিন পর্যন্ত এরকম ভাবেই পড়েছিল, এটা ভাবতেই খুব খারাপ লাগছে। শেষ পর্যন্ত সে মারা গিয়েছে এটা শুনে অনেক খারাপ লাগলো। অন্যদিকে নিশো ছিল জেলে। যাই হোক আপনার শেয়ার করা এই নাটকটা আমি দেখার চেষ্টা করবো।

আপনি আজ আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করে শেয়ার করেছেন ভাইজান। নাটকের নাম ছিল অভিশপ্ত শহর এই নাটকটি আমার দেখা নেই কিন্তু এ নাটকটির মধ্যে অনেক শিক্ষনীয় বিষয় রয়েছে আশা করি নাটকটি সময় করে দেখে নেব শুভকামনা রইল আপনার জন্য এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আরফান নিশোর নাটক আমার কাছ থেকে ভীষণ ভালো লাগে।