আসসালামু আলাইকুম। শুভ সকাল আমার বাংলা ব্লগ। আশা করছি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সকলে বেশ ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও বেশ ভাল আছি। আমরা যেন সব সময়ই সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকতে পারি সেই কারণে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি নৌকা ভ্রমণের স্মৃতি শেয়ার করতে চাই। শৈশবে আমাদের অনেক স্মৃতি রয়েছে এবং সেই সকল স্মৃতিগুলোর মধ্যে আমি আজকে একটি স্মৃতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চাই। আর সে কারণেই শৈশবের নৌকা ভ্রমণের স্মৃতি নামক চমৎকার টপিক নিয়ে আজকের এই পোস্ট সাজানো হয়েছে। সকলেই উপভোগ করুন আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
সময়টা ছিল বর্ষাকাল। নদীতে প্রচুর পানি। চারিদিকে থৈ থৈ করছিল পানি। এমন সময় শহর থেকে আমার ফুফাতো ভাই বেড়াতে এসেছিল এবং আমিও তখন শহরে থাকতাম।
শহরে থাকাকালীন সময়ে আমি যখন বাড়িতে ফিরছিলাম তখন শহরের আশেপাশের অঞ্চলগুলো পানির নিচে তলিয়ে গিয়েছিল। বিশেষ করে যমুনা নদীর আশেপাশের অঞ্চলগুলো পানির নিচে তলিয়ে গিয়েছিল এবং আমি অনেক পানি দেখেছিলাম।
তবে যখন আমি বাড়িতে ফিরে আসলাম তখন দেখলাম আমাদের আশেপাশে তেমন একটা পানি নাই। শুধুমাত্র বড় বড় নদীগুলোতে পানি এবং আমাদের অঞ্চলে আশেপাশের হাওর এলাকাতে তেমন একটি পানি প্রবাহ লক্ষণীয় ছিল না
যাইহোক বাড়িতে আসার পর আমি পরিবারের সাথে দেখা করলাম এবং আমি আমার দাদির সাথে চমৎকার সময় অতিক্রম করেছিলাম। এরপর আমি বিকেলবেলা বাজারে গিয়েছিলাম এবং আমরা একসাথে তিন ভাই দেখা করেছিলাম বেশ ভালো লেগেছিল।
বাজারে গিয়ে হঠাৎ করে আমার চাচাতো ভাই আমাকে তাদের নারীদের ওখানে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে। অর্থাৎ চাচাতো ভাইয়ের নানিবাড়ি।
ভ্রমণ করতে আমার এমনি তো বেশ ভালো লাগে। তাই আমি দেরি না করে ভ্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম এবং আমি সহ আমার ফুফাতো ভাই এবং চাচাতো ভাই হৃদয় আমরা সকলে মিলে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলাম। আমরা হোন্ডা নিয়ে ভ্রমণে গিয়েছিলাম।
আমার চাচাতো ভাইয়ের নানি বাড়ি ছিল নদীর একদম পাশেই। প্রবাহমান নদী এরপর চলাচলের জন্য রাস্তা রাস্তার পাশে রয়েছে নদী।
আমরা যখন গাড়ি নিয়ে নদীর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন আমাদের বেশ ভালো লেগেছিল এবং মনে মনে নৌকা ভ্রমণের তীব্র বাসনা জেগেছিল।
আমরা যথারীতি আমাদের নানীদের বাড়ির কাছে গিয়েছিলাম এবং আমাদের গাড়ি পার্কিং করলাম। গাড়ি পার্কিং করার পর আমরা ভেতরে প্রবেশ করি এবং আমাদেরকে নাস্তা করতে দেওয়া হয়েছিল। নাস্তা শেষ করে আমরা একটু বাহিরে ঘুরতে বের হয়েছিলাম এবং আমার ভ্রমণের শখ এর কথা আমার চাচাতো ভাই কে বলেছিলাম।
তখন আমার চাচাতো ভাই নৌকা স্টার্ট করার জন্য হ্যান্ডেল নিয়ে এসেছিল।
তবে আমাদের নানা ছিল অত্যন্ত ভাল মনের মানুষ। আমাদের সক পূরণ করার জন্য উনি যথাসাধ্য চেষ্টা করলেন এবং নৌকা নিয়ে নদীর ভেতরে প্রবেশ করলেন। নৌকার ইঞ্জিন স্টার্ট দেওয়ার পর আমরা নৌকা ভ্রমণ শুরু করলাম।
আমরা যখন একদম নদীর ভেতরে প্রবেশ করেছিলাম তখন আমার একটু ভয় ভয় লাগছিল। কারণ এই নদীর ভেতরে পানি গুলো অনেক বেশি ঢেউ খেলছিল। তবে তারপরেও আমার চাচাতো ভাই আমাকে সাহস দিয়েছিল এবং আমি তখন নৌকা ভ্রমণ উপভোগ করতে শুরু করলাম।
আমি আমার স্যান্ডেল খুলে রাখলাম এবং একদম নৌকার কিনারে গিয়ে নদীর ঝিকিমিকি পানি উপভোগ করতে শুরু করলাম। আমি নৌকা থেকে নদীর পানির ভেতরে পা দিয়ে নৌকার স্বচ্ছ পানি উপভোগ করেছিলাম।
তবে আমার ফুফাতো ভাই আবির বয়স ছিল অনেক কম। তাই সে নৌকা ভ্রমণে কিছুটা ভয় পেয়েছিল কিন্তু সে চুপচাপ ছিল এবং সে কখনো তা প্রকাশ করেনি।
যাইহোক অবশেষে প্রায় ১৫ মিনিট আমরা নৌকা ভ্রমণ করেছিলাম এবং নৌকা ভ্রমণির উচ্চতা টা আমাদের বেশ ভালো লেগেছিল। শৈশবের এই স্মৃতিটা সত্যিই অনেক বেশি আনন্দময়। তবে পুরো গল্পটি আমার বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে লেখা। আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
|250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি
আমি মোহাম্মদ আকাশ সরদার
। জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি ব্লগিং করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। যদিও আর্ট আমার অনেক বেশি পছন্দ তবে আর্টওয়ার্ক কাজের জন্য আমার হাত একদম বাজে। ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি আমার সব থেকে প্রিয় বিষয়। নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ এবং নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে বেশ ভালো লাগে। অসহায় মানুষদেরকে সাহায্য করতে পারলে মনের ভেতরে আনন্দ আসে। সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে মানুষের সেবা করতে চাই এবং সকলের প্রিয় ব্যক্তি হয়ে এই সমাজে বসবাস করতে চাই।
https://x.com/steemforfuture/status/1881190258798370935?t=t-nf0SM4Hl6sHlSaaCIK0A&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
৪ টাক্স কমপ্লিট: ২০/০১/২৫
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit