সন্ধ্যায় নদীর পাশে ছোট্ট শিশু পার্ক ভ্রমণ

আসসালামু আলাইকুম। শুভ সকাল আমার বাংলা ব্লগ। আশা করছি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সকলেই বেশ ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও বেশ ভাল আছি। আমরা যেন সর্বদা ভালো থাকি সে কারণে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি।

আজ আমি আপনাদের মাঝে সন্ধ্যায় নদীর পাশে ছোট্ট একটি শিশু পার্ক ভ্রমণের গল্প শেয়ার করতে চাই। সকলেই উপভোগ করবেন আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।

ভ্রমণ করতে আমার সব সময় অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে আমি যখনই সুযোগ পাই তখনই ভ্রমণ করে থাকি। তাছাড়াও ভ্রমণের মাধ্যমে আমি নিজেকে আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করি এবং নিজের সময়গুলো ভালোভাবে কাটানোর চেষ্টা করি।

আমি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন স্থান ভ্রমণ করে থাকি। গত সপ্তাহে আমি আমার এক আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম এবং সেখানে গিয়ে আমার এক সম্পর্কে মামার সাথে দেখা হয়েছিল। মামা এবং আমার বয়স এর পরিমাণ প্রায় একই ছিল এবং আমরা একসাথে ঘুরতে অনেক বেশি পছন্দ করি।

তাই সন্ধ্যা পার হতে না হতেই আমরা নদীর পাশ দিয়ে হেঁটে চলেছি। অনেক বড় নদী এবং নদীতে এখন পানি ছিল অত্যন্ত কম। তবে রাস্তার উপর থেকে নদীর গভীরতা দেখে অনেক ভয় লাগছিল। কোনভাবে যদি পা পিছলে পড়ে যায় তাহলে একদম নদীর তলদেশে চলে যাওয়া লাগবে।

প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে। সূর্য ডুবে গিয়েছে এবং কাছে থেকেও মানুষের মুখ দেখা যাচ্ছিল না। এমন সময় আমরা হেঁটে চলেছি একটি শিশু পার্ক এর দিকে।

যদিও আমি এর আগে কখনো পার্ক ভ্রমণ করিনি। বাড়ির একদম সামনে ছোট্ট একটি শিশু পার্ক রয়েছে এবং সেখানে বেশ কয়েকটি খেলার সামগ্রী রয়েছে।

সেখানে শিশুদের খেলার জন্য রয়েছে চমৎকার কয়েকটি খেলনা। দোলনা রয়েছে এবং পাশাপাশি শিশুরা যেন বিনোদন উপভোগ করতে পারে তার জন্য বেশ কয়েকটি সামগ্রী সেখানে রাখা ছিল।

মূলত চমৎকার এই শিশু পার্ক নির্মিত হয়েছে নদীর উপরে একদম রাস্তার সাথেই। এটি সরকারি একটি পার্ক এবং ছোট্ট এই পার্কের প্রবেশের জন্য আপনাকে কোন টিকেট কাটতে হবে না। সম্পূর্ণ ফ্রি এবং শিশুদের বিনোদনের জন্য এই পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে।

পার্ক এর একদম মাঝখানে একটি চমৎকার ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ঘরের একদম ভেতরে রয়েছে একটি টেবিল এবং সেখানে কয়েকটি চেয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। চেয়ারগুলো সিমেন্ট এবং বালি দ্বারা নির্মাণ করা হয়েছে। চাইলে আপনি আপনার প্রিয় মানুষকে নিয়ে অবসর সময় গুলো সেখানে গিয়ে খুব সুন্দর ভাবে অতিক্রম করতে পারেন। আপনার শিশুর সুন্দর বিকাশে আমি মনে করি ছোট্ট এই পার্ক অনেক বেশি অবদান রাখে।

তাছাড়াও প্রিয় মানুষকে সাথে নিয়ে আপনি সেখানে যেতে পারেন এবং সেখানে চমৎকার কাপল দোলনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।। আপনি চাইলেই সেখানে বিকেলের সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করতে পারেন নদীর হাওয়া খেতে পারেন এবং পাশাপাশি দোলনায় দোল খেলে নিজেকে আনন্দ দিতে পারেন।।

আমি এবং আমার মামা বেশ কিছুক্ষণ সময় সেই দোলনায় দোল ফেলেছিলাম এবং নদীর হাওয়া খেয়েছিলাম। সন্ধ্যার পর সেখানে চমৎকার বাতাস লাগছিল এবং দোলনায় দোল খেলতে অনেক বেশি ভালো লাগছিল।

আমাদের যাওয়ার প্রায় ১০ মিনিট পরে সেখানে আরো কিছু মানুষ এসেছিল এবং তারা সন্ধ্যাটা উপভোগ করার জন্য শিশু পার্ক এ এসেছিল।

যদিও জায়গাটি অত্যন্ত ছোট এবং সেখানে মাত্র কয়েকটি বিনোদনের জন্য বিষয়বস্তু নির্ধারণ করা হয়েছে তবে তার পরেও জায়গাটি বেশ ভালো।

বিশেষ করে শিশুদের সুন্দর মনের বিকাশে এবং আপনার অবসর সময় গুলো সুন্দরভাবে কাটাতে ছোট্ট এই শিশু পার্কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিজের আত্মাকে আরো বেশি পরিতৃপ্ত এবং মনে ভ্রমণের আনন্দ জাগিয়ে তোলার জন্য ছোট্ট এই শিশু পার্ক এক অবিস্মরণীয় নাম।

সন্ধ্যায় নদীর পাশে ছোট্ট শিশু পার্ক ভ্রমণের গল্প আপনাদের কেমন লেগেছে? যদিও গল্পটি অনেক ছোট তবে এর আনন্দদায়ক বিষয়টি ছিল অনেক সুন্দর। আমি আশা করি আপনার উপভোগ করেছেন।

চাইলে আপনাদের ভ্রমণের কাহিনী আমাদের সাথে ভাগ করে নিতে পারেন। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি আপনার ক্রিয়েটিভিটি, রেসিপি এবং ভ্রমণের গল্প শুনতে আগ্রহী। আজকের মত বিদায় বলছি। সে পর্যন্ত সকলেই সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকুন। আল্লাহাফেজ।