আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি অনেক অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম পরের মেয়ে নাটকের ১২৬ পর্বের মধ্য থেকে ০৩ তম পর্ব রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আমার এই রিভিউ পোস্ট আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে।

এখানে নাজিফাকে তার অফিসের বস কোন এক কাজে পাঠিয়েছে। সেটা তার বাবা-মা দেখে ফেলে। আর তার বাবা অনেক রাগ করে। তার মা নাজিফাকে ডাকতে যায় কিন্তু তার বাবা ডাকতে দেয় না। পরে ওরা বাসায় চলে যায়।

বাসায় যাবার পর নাজিফা কে তার বাবা অনেক রকম বকাঝকা করেন। তাকে বলে এই বাড়ি থেকে তুমি আর কোথাও বের হবা না। কিন্তু নাজিফা কোন কথা না শুনে অবশেষে বাসা থেকে একবারে চলে যায়।

অন্যদিকে নাজিফার মেয়ে ও শাশুড়ির দিন ভালোই কাটছিল। সে বেগুনি বানিয়ে তার শাশুড়ি ও মেয়েকে নিয়ে খাচ্ছিল। তার মেয়ের তার শাশুড়ির সাথে অনেক দুষ্টামি করছিল। গল্প করছিল তারা।

এখানে নাজিফা বেগুনি ভাঁছে। সে বেগুনি ভাঁজছেন আর মিতুলের কথা ভাবছে। সে মনে মনে বলছে আজকে যদি তুমি থাকতে তাহলে আমার কোন কষ্টই মনে হতো না।

এখানে নাজিফার বাবা কল্পনা করছে তার আগের কথা। নাজিফার বাবা একদিন ডেকে বলেছিল। কত টাকা দিলে তুমি আমার মেয়েকে ভুলে যেতে পারবা। এ ধরনের কথা বলতে থাকে মিতুলকে। তো মিতুল বলে আমাকে ২০ কোটি টাকা দিলে আমি আপনার মেয়েকে ভুলে যাব। এভাবে তারা কথা কাটাকাটি করে চলে আসো। অন্যদিকে লাজিফার আম্মু তার কথা ভাবছে। কারণ মেয়েকে কখনো মা তো ভুলে যেতে পারে না।

নাজিফার শাশুড়িকে আবার তার বিয়ের ঘটক ফোন দেয়। নাজিফার শাশুড়ি বলে এত রাতে কেন কল দিয়েছেন। তো ঘটক বলেন একটি সুখবর আছে। নাজিফার শাশুড়ি বলে কি সুখবর বলুন। ঘটক বলেন নাজিফার বিয়ের জন্য ভালো একটা পাত্র পেয়েছি।

পরের মেয়ে তৃতীয় পর্ব নাটকটিতে বেশি ফুটে উঠেছে নাজিফা ও তার শাশুড়ির চরিত্রটা। তার শাশুড়ির বৌমার প্রতি ভালোবাসা এবং বৌমা শাশুড়ির প্রতি ভালোবাসা। আবার নাজিফার মৃত স্বামীর প্রতিও ভালোবাসা। আসলে এখনকার সময় এরকম ভালোবাসা দেখা যায় না যে তার স্বামী মরে যাওয়ায় সারাটা জীবন একা কাটিয়ে দিতে চাই। অবশেষে এটাই বলতে চাই আমি নাটকটি অনেক বেশি ভালো লেগেছে।