হাই বন্ধুরা!
আমার গল্পের রাজ্যে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগতম। আজকে উপস্থিত হয়ে গেলাম সুন্দর একটি গল্প নিয়ে। যে গল্পের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন একটি মুরগি বড় হওয়ার গল্প।সুন্দর একটি গল্প নিয়ে উপস্থিত হয়েছি আজ। আশা করি এই গল্প আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। তাই চলুন আর দেরি না করে গল্পটা পড়ি এবং গল্প পড়ার আনন্দ উপভোগ করি।
ছোটবেলা আমার তেমন রান্না করার দক্ষতা ছিল না। আর আম্মু কখনো আমারে রান্না করতে যেতে দেয়নি। বিয়ের আগে আমার মনে হয় কারো আম্মুই কোন কাজ করতে দেয় না ঠিক তেমনি করে আমার আম্মু আমাকে কোন কাজ করতে দিত না। আবার আমার অনেক ছোট বয়সেই বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের পর থেকে রান্নাবান্না সবসময় আমি করছি। যেকোনো রান্না করলে বিশেষ করে আমার শাশুড়ি অনেক প্রশংসা করত। খারাপ হলেও বলতো প্রথম প্রথম খারাপ হবে কিন্তু পরবর্তীতে ভালো হবে। এই বিষয়টা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আবার কোন কাজে কেউ সাপোর্ট করলে সে কাজের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়। প্রথমবার যখন সিঙ্গারা বানালাম তখন ভেতরের পুরটা অনেক সুন্দর হয়েছিল কিন্তু সিঙ্গারের রুটিটা কিছুটা পরোটার মতো হয়েছিল। তারপরও আমার শাশুড়ি অনেক বেশি প্রশংসা করেছিল বলছিল প্রথম প্রথম খারাপ হয় কিন্তু পরবর্তীতে অনেক ভালো হবে। এই জিনিসগুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। কারণ কারো কাছে রান্না বা যে কোন কাজের সাপোর্ট না পেলে তা করতে ভালো লাগে না। আবার যখন সিঙ্গারার পুর বানিয়েছিলাম সেটাও তেমন মজা হয়েছিল না। আসলে প্রথমবার যে কোন জিনিস বানালে ভালো হয় না। কিন্তু পরবর্তীতে কোন জিনিস বানালে তা অনেক মজা হয়।
সবচেয়ে মজার বিষয় হল আমি সিঙ্গারা বানিয়ে সবাইকে পরিবেশন করি। পরিবেশন করার পর সবাই খাইতেছিল সবাই প্রশংসা করছে অনেক। যদিও সিঙ্গারা টা খেতে অনেক বাজে হয়েছিল তাও সবাই প্রশংসা করছিল এজন্য আমার অনেক হাসি পাইতেছিল। আর আমার হাজব্যান্ড আছে কোন জিনিস ভালো হলেও শুধু মজা করে রাগানোর জন্য বলবে খারাপ হইছে। এটা আমার কাছে ভালোই লাগে। আমার হাজব্যান্ডকে কোন জিনিস সুন্দর করে রান্না করে দিলে সে অনেক বেশি খুশি হয়। সে তেমন ভাত খাই না ফাস্টফুট জাতীয় খাবার অনেক পছন্দ করে তাই আমিও মাঝে মাঝে এ সমস্ত খাবার তৈরি করি। যাইহোক এভাবে সিঙ্গারা বানিয়ে খাওয়া-দাওয়া সবাই শেষ করলাম।
গল্পটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিষয় | গল্প |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | realme note50 |
লোকেশন | ঢাকা সাভার |
বিষয় | অতীত ঘটনা |
আজকের কাজ সম্পূর্ণ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার সিঙ্গারা বানানোর গল্পটি সত্যিই মজার! প্রথমবারের রান্না কখনোই নিখুঁত হয় না, তবে তা শেখার পথে একটা বিশেষ আনন্দ থাকে, ঠিক যেমনটা আপনি বর্ণনা করেছেন। আপনার শাশুড়ির প্রশংসা এবং স্বামী ও পরিবারের সাপোর্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে, প্রতিটি ছোট পদক্ষেপই আপনাকে আরো উৎসাহিত করেছে। সিঙ্গারা খারাপ হলেও সবাই প্রশংসা করছিল, এটাও একটি সুন্দর মুহূর্ত ছিল, যা রান্নার প্রতি ভালোবাসা এবং উৎসাহকে আরও জোরালো করেছে। আপনার গল্প সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জ্বি আপু পরিবারের কারো উৎসাহ থাকলে রান্নার কাজ বলে না সব কাজেরই একটা আগ্রহ আসে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এরকম সপোর্টিভ ফ্যামিলি পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। খারাপ হলেও সবাই বেশ উৎসাহ দেয় আপনাকে পরবর্তী সময় ভালোভাবে করার জন্য। সিঙ্গারা আমিও মাঝেমধ্যে বাসায় তৈরি করি। বিকেলের নাস্তায় খেতে ভালোই লাগে। আপনার সিঙ্গারা গুলো দেখে তো মনে হচ্ছে পারফেক্টলি তৈরি করতে পেরেছেন। সিঙ্গারা বানানোর অনুভূতি শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি আপু আপনি ঠিক বলেছেন এরকম সাপোর্ট করা ফ্যামিলি খুব কমই আছে। তবে আমি শুরুতে সুন্দর ভাবে সিঙ্গারা বানাতে পারতাম না কিন্তু এখন অনেক সুন্দর ভাবে সিঙ্গারা বানাতে পারি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit