রিভিউ - খাবার হোটেল || লাজুক খ্যাঁকের জন্য ১০% এর জন্য

in hive-129948 •  3 years ago  (edited)

আজকে আমি আমার এই পোস্টের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি হয় আমাদের এরিয়ার একটি হোটেলে সেই সম্পর্কিত আলোচনা করতে চলেছি।


IMG_20210910_195834.jpg


আমাদের এরিয়ার একটি হোটেল মোটামুটি সুপরিচিত সকলের কাছে আল-মদিনা হোটেল। এখানে সকাল থেকে রাত অবধি বিভিন্ন ধরনের খাবারের আইটেম তৈরি করা হয়ে থাকে। আমি বিশেষ করে হোটেল গুলোতে লক্ষ্য করেছি, গ্রামাঞ্চলে বেশিরভাগ হোটেলে স্টাফ অল্প বয়সী হয়ে থাকে।


IMG_20210910_195247.jpg


ভাজাপোড়া জিনিস যদিও সকলের পক্ষে খাওয়া ঠিক নয়! যেহেতু স্বাস্থ্যের পক্ষে ইহা খুবই সতর্কতার ব্যাপার, কিন্তু জিহবা সামলানো বড়ই মুশকিল। আজকে সন্ধ্যা বাসায় খাওয়ার জন্য পুরি কিনতে গিয়ে ভাবলাম এই হোটেল সম্পর্কে একটি পোস্ট আমি সাজাতে পারি।


IMG_20210910_195202.jpg


ভোর থেকে এখানে সকালের জন্য তৈরি করা হয় তুন্দুল রুটি, পরোটা এর সাথে চাহিদা অনুযায়ী থাকছে ডাল ভুনা, সবজি এবং ডিমের ব্যবস্থা।

সকাল ১০ টা থেকে পাওয়া যায় সিঙ্গারা, সমুচা, এবং পুরি৷

দুপুরের খাবারের জন্য রয়েছে ভাতের আয়োজন! মাছ, ডিম, মাংস, ভর্তা সহ বিভিন্ন ধরনের আইটেম থাকে।

বিকেল থেকে পাওয়া যায় রা অবধি - ডাল পুরি, কিমা পুরি, পেঁয়াজু, ডিম চপ, আলুর চপ, বেগুনী এবং নতুন করে মিষ্টি জাতীয় পিঠার ব্যাবস্থা আছে।


IMG_20210910_195246.jpg


এছাড়াও বিশেষ প্রয়োজনে এখানে খাবারের অর্ডার নেয়া হয়। শুক্রবার পবিত্র দিন হওয়াতে জিলাপি পাওয়া যায় এখানে। আমি প্রতিটি খাবারের দাম শেয়ার করার চেষ্টা করছি এই পোস্টে।


IMG_20210910_195213.jpg


দোকানের প্রতিটি আইটেম আমি টেস্ট করিনি তবে দাম জেনে তারপর শেয়ার করলামঃ

পরোটা- ৫ টাকা,
তুন্দুল রুটি - ৫ টাকা
সিঙ্গারা, সমুচা - ৫ টাকা
ডাল পুরি ছোট - ৩ টাকা
ডাল পুরি বড় - ৫ টাকা
কিমা পুরি - ১০ টাকা
পেঁয়াজু - ৩ টাকা
আলুর চপ, বেগুনি - ৫ টাকা
ডিম চপ - ১০ টাকা
মিষ্টি পিঠা - ১০ টাকা
জিলাপি - ১২০ টাকা কেজি


IMG_20210910_195159.jpg


হোটেলে কাজ করেন প্রায় ৬ জন লোক। উনাদের বিক্রি আলহামদুলিল্লাহ, অনেক ভালো। যাইহোক, ছোটখাটো তথ্য শেয়ার করলাম। আমি পুরি কিনে বাসায় চলে এসেছি, বাসায় এসে সবাই একত্রে খেলাম সেগুলো। আমার মায়ের অনেক পছন্দ তাদের দোকানের ছোট সাইজের আলু পুরি।


IMG_20210910_195837.jpg


আমার মতে, হোটেলের মান যদি ভালো (পরিষ্কার/পরিপাটি) এবং খাবার যদি সুস্বাদু হয় তাহলে লোকজন ভীড় করবেই। পাশাপাশি স্টাফদের ব্যবহার কাস্টমার পেতে সহজ করে।

ফটোগ্রাফিহোটেল - খাবার
লোকেশনভোলা, বাংলাদেশ
ব্যবহৃত ক্যামেরারেডমি নোট সেভেন প্রো
কৃতজ্ঞতা@sumon02

What's 3 Word Location : https://w3w.co/reflects
Google Plus Code : JH8Q+48 Char Chandra Prasad

এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন! নিজের মতো করে লিখার চেষ্টা করলাম! জানিনা কতটা ভালো করে লিখতে পেরেছি? তবে যদি কোন প্রকার ভুলত্রুটি আমার পোস্টে পেয়ে থাকেন দয়া করে মন্তব্য করবেন।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

খাবারের হোটেলে টি বেশ চমৎকার ছিল।অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।খাবার গুলোর বর্ণনা খুব ভালো হয়েছে।

image.png

এই খবরটা আমাকে খুব আকৃষ্ট করে তুলেছে।মনে হচ্ছে এটা খুবই সুস্বাদু হবে।

শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।

আপনার মন্তব্য পেয়ে আমি সত্যি আনন্দিত 🙂 আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই। আশাকরি সাথেই থাকবেন এভাবে ❤️

ভাল হয়েছে রিভিউ টা ভাই। সব কয়টা আইটেমই আমার অনেক পছন্দের। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

আপনাকে স্বাগতম ভাইজান ❤️ আপনার মূল্যবান মন্তব্য আমাকে পরবর্তী পোস্ট করতে অনুপ্রাণিত করলো, ধন্যবাদ ভাই 🙂

আপনে একটা খাবার হোটেল সম্পর্কের খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। প্রথম খাবারটা আমার বেশ প্রিয়। তবে শেষের আগের যে খাবারের ছবিটা দিয়ে খাবারটা দেখে খুব সুস্বাদু মনে হচ্ছে, তবে এটার নাম আমি জানি না।
সব মিলিয়ে পোষ্টটা খুব সুন্দর ছিল। শুভ কামনা।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য ❤️ মিষ্টি পিঠাটি হচ্ছে পাক্কন পিঠা। আশাকরি, সাথেই থাকবেন এভাবে 🙂

ভাই এই রকম ভাজাপোড়া খাবার যদিও আমাদের পেটের পক্ষে স্বাস্থ্যসম্মত নয় তারপরেও এগুলো দেখলে আসলে লোভ সামলানো অসম্ভব। অন্ততপক্ষে আমার জন্য।

ঠিক বলছেন ভাইজান, আমি একমত এই ব্যাপারে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে মন্তব্য করার জন্য। আশাকরি, সাথেই থাকবেন এভাবে ❤️

অবশ্যই, সাথে থাকলে সাথে পাবেন।

ইনশাআল্লাহ ভাই ❤️

ভাজাপোড়া খাবার আমার খুবই পছন্দের এগুলো ও সাথে গ্যাসটিক এর ট্যাবলেট ও খাই কেন জেন খুব ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি ও আলোচনা করেছেন

ধন্যবাদ ভাই, ভাজাপোড়া খাওয়া যদিও ঠিক নয় আমাদের জন্য তারপরও নিজেকে সামলানো মুশকিলের ব্যাপার। আশাকরি সাথেই থাকবেন এভাবে ভাই ❤️

😍😍😍

খাবারের দোকানটা ছোটো হলেও বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। যে কড়াইতে ভাজা হচ্ছে সেটা দেখে অন্তত তাই মনে হচ্ছে। দামটাও বেশ সাধ্যের মধ্যেই।

লক্ষ মানে লাখ ঐটা সম্ভবত লক্ষ্য হবে।

হ্যাঁ ভাই দাম সাধ্যের মধ্যে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমার ভূল ধরিয়ে দেয়ার জন্য, আমি এখনই সেটা ঠিক করে নিচ্ছি। আপনার জন্য ভালোবাসা ভাই ❤️❤️

শব্দের পরিবর্তনের অর্থ বদলে গেলো তাই সেটা ঠিক করে নেবার জন্য বলেছি। এমনিতে বেশ ভালো লিখেছ। 🤗

হ্যাঁ দাদা আমি বুঝতে পেরেছি। যাইহোক আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ❤️

এই রকম হোটেল আমাদের এলাকাতেও আছে। তবে আমাদের এলাকার হোটেলে এতো ধরনের খাবার তৈরি করে না। সবকিছুর দাম মোটামুটি ঠিকই আছে। কিন্ত জিলেপির দাম ১২০ টাকা।
আমাদের এলাকায় জেলিপি ৬৫-৭০ টাকা কেজি।

ভোর থেকে এখানে সকালের জন্য তৈরি করা হয় তুন্দুল রুটি
এই রুটি টার নাম শুনি নাই আগে।

অনেক জায়গায় এই রুটিকে নান রুটি বলে ভাই। জিলাপি আগে ৮০ টাকা প্রতি কেজি ছিলো কিন্তু এখন অনেকটাই বেড়ে গেছে। ধন্যবাদ ভাই সময় ব্যয় করে মন্তব্য করার জন্য ❤️

নান রুটি এইবার বুঝলাম। আসলে যেখানে যেমন।।

হ্যাঁ ভাই 🙂

খাবারগুলো বেশ লোভনীয় ভাইয়া।খুবই ভালো সময় কাটিয়েছেন আপনি।শুভকামনা রইলো ভাইয়া।

ধন্যবাদ আপনাকে বোন ❤️