মন ভালো রাখতে গাংনী বাজারে চিকেন ফ্রাই খেতে যাওয়ার অনুভূতি

in hive-129948 •  3 months ago 


আজ - বৃহস্পতিবার

৩০ শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৫ আগস্ট, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ


আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকের এই পোষ্টের মধ্য দিয়ে আপনারা চিকেন ফ্রাই খাওয়ার অনুভূতির পাশাপাশি আগে পরের ব্যতিক্রম কিছু জানতে পারবেন। যা জেনে সত্যিই আপনাদের আনন্দ লাগবে। কারণ এখানে আপনার বাংলা ব্লগারের দুই ইউজারের কিছুটা বিষয় তুলে ধরা হবে।


'আমার বাংলা ব্লগ'
কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট


IMG_20240814_201908_933.jpg


ফটোগ্রাফি সমূহ:


ভাজাপোড়া জাতীয় জিনিস খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। বিশেষ করে বড়া চিকেন ফ্রাই এছাড়াও ঝালমুড়ি জাতীয় জিনিসগুলো মাঝেমধ্যে খাওয়ার জন্য এক অন্যরকম অনুভূতি জাগ্রত হয় আর সেজন্য আমাদের গাংনী বাজার অথবা বামুন্দিবাজারে উপস্থিত হয়ে থাকে। কালকে হঠাৎ পরিবারের দুই বাবার ব্যাটার বউ @jannatul01@simransumon এর মধ্যে ঝগড়া দেখে বেশ বোরিং লাগছিল। সকালে এক দফা এবং বিকেলে আরেক দফায় ঝগড়া হয়। ঝগড়াঝাঁটি পরিবারের জন্য ভালো নয়, তবে এটা যেন বাঙ্গালীদের অন্যরকম একটা ঐতিহ্য। মাঝেমধ্যে ঝগড়া না করলে পরিবারের মেয়েদের যেন পেটের ভাত যেন হয় না। বুঝতে পারছেন ঝগড়া হলে স্বামীকে পাশে পেলে তারা আরো প্যানপ্যানানি শুরু করে দেয়। তবে সকালের মুহূর্তে কিছুটা রেফারি হিসেবে কাজ করছিলাম। কিন্তু বিকেলে পর্যায়টা খারাপের দিকে গেছিল। এইজন্য মেয়েদের একটাই সমস্যা স্বামীদের রাতে পাশে পেলে প্যানপ্যানানো শুরু হয় বেশি। কিন্তু আমি তাদের এই প্যানোর প্যানোর মোটেউউউউ পছন্দ করি না। কাল রাতে যখন হঠাৎ পোস্ট কমেন্ট করার উদ্দেশ্যে বসলাম। তখন ঠিক সামিয়ার আম্মা শুরু করে দিল। তাই আর মন মানসিকতা ঠিক রাখতে পারলাম না। কাজকর্ম বাদ দিয়ে মোবাইল ল্যাপটপ রেখে আরেকটা মোবাইল হাতে করে চলে গেলাম ইমনদের @emonv বাড়িতে। ওই মুহূর্তে ইমন গোসল করে ঘরে উঠল। আমাকে দেখে প্রশ্ন করল। আমি বললাম চল গাংনী বাজার ঘুরে আসি, চিকেন ফ্রাই খেয়ে আসি। ইমন আমাকে দেখে দ্রুত রেডি হয়ে পড়ল। এরপর সে তার বাইকটা বের করেই চলে গেলাম গাংনী বাজারে। সেখানে জীবন তার জন্য কিছু টাকা উঠালো। আমি আমার বাবুর জন্য খেলনা খেলনা কিনলাম প্লাস্টিকের। এরপর এস এম প্লাজার পাশে যেখানে চিকেন ফ্রাই বেচাকেনার ধুম পড়ে যায়,সেখানে চোখ মিলে দেখলাম অনেক মানুষের উপস্থিতি। আমরা সেদিকে অগ্রসর হতে থাকলাম।

IMG_20240814_200404_237.jpg

IMG_20240814_200400_569.jpg

IMG_20240814_201910_390.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
Location


এস এম প্লাজা মার্কেট এর সামনে এসেই চিকেন ফ্রাই বিক্রয় করছে এমন নিরিবিলি একটি ভ্রাম্যমান দোকান আলা ভাইয়ের পাশে উপস্থিত হলাম। এরপর তার কাছে বেশ কিছু জানতে চাইলাম চিকেন ফ্রাই ভালো হবে কিনা। এ ছাড়া আর কি কি আছে। ইত্যাদি বিষয় জানলাম জানার পর আমরা দুজন বসে পড়লাম। তবে আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছিল এর আগে গাংনী শহরে রাতে এতটা জনাকীর্ণ হয় না। শুধুমাত্র হাট-বাজারের দিনগুলোতেই মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যেত কিন্তু গতরাতে এত মানুষের উপস্থিতি হবে কখনোই ভাবেনি। যায় হোক আমরা তাকে বললাম ভাই খুব ভালো করে দুইটা সুন্দর চিকেন ফ্রাই দিয়েন এবং পানির ব্যবস্থা কি আছে হাত মুখ ধুয়ে নি। তুমি আমাদের বসার জায়গা দিলেন।

IMG_20240814_200325_277.jpg

IMG_20240814_200324_325.jpg

IMG_20240814_200333_559.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
Location


এরপর দেখলাম ওনার দোকানের মধ্যে কি আছে না আছে। দেখলাম চিকেন ফ্রাই বার্গার সহ আরো অনেক কিছু রয়েছে। তবে জানতে চাইলাম উনি কি এখানেই তৈরি করছেন নাকি অন্য কোথাও তৈরি হচ্ছে সেখান থেকে নিয়ে আসে। উনি পাশে দেখালেন যে উনাদের একটা রেস্টুরেন্ট রয়েছে উনারা সেই রেস্টুরেন্টের লোক। অনেক মানুষের রয়েছে রাতে রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে না খেয়ে বাইরে ব্রাহ্মণ দোকানগুলোতে খেতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তাই রেস্টুরেন্ট মালিক এই ব্যবস্থা করেছে। রেস্টুরেন্টের মধ্যে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা আবার রেস্টুরেন্টের বাইরে ভ্রাম্যমাণ ভাবেও কাস্টমারদের বসা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা। দেখলাম রেস্টুরেন্টের মধ্যে যাওয়ার চেয়ে বাইরে খাওয়ার মধ্যে শান্তি রয়েছে। আর এমনটাই বেশি মানুষের লক্ষ্য করা গেল।

IMG_20240814_200313_890.jpg

IMG_20240814_200318_376.jpg

Photography device: Infinix hot 11s
Location


যাইহোক কিছুটা সময়ের জন্য আমরা আমাদের খাওয়া দাওয়া করলাম। চিকেন ফ্রাই গুলো বেশ সুন্দরভাবে তুলে ভাজা হয়েছে তাই খেতে খুবই ভালো লাগলো। প্রতিটা চিকেন ফ্রাই এর মূল্য ৭০ টাকা করে। আমরা যতক্ষণ সেখানে অবস্থান করছিলাম মানুষের উপস্থিতি যেন আরো বাড়তেই থাকলো শুধু ওই জায়গায় বলে নয় দীর্ঘ রাস্তার এপাশ-ওপাশ জুড়ে এমনটাই লক্ষ্য করলাম। যাইহোক প্রথমত বাবুর জন্য খেলনা পরবর্তীতে আমাদের খাওয়া-দাওয়া, অতঃপর বাড়ি আসার সময় বাবুর আম্মার জন্য হাফ কেজি রসমালাই নিয়ে আসলাম। তবে একটা বিষয় খারাপ লাগলো এর আগে রসমালাই নিত ৪০০টাকা কেজি, আর এখন ৪৬০ টাকা হয়ে গেছে। কিন্তু রসমালাই আগের মত বেশি হয় না এবং সাধের হয় না। আর এভাবেই সুন্দর একটা মুহূর্ত আমাদের অতিবাহিত হল। অতঃপর রাত 9 টার দিকে আমরা আবার বাড়িতে ফিরে আসলাম। ততক্ষণে দেখতে পারলাম পরিবারের মেয়েরা ঝগড়া বন্ধ করে বেশ শান্ত হয়ে গেছে। তখন আবার ঠান্ডা মাথায় অনলাইনের কাজ করতে পারলাম।

IMG_20240814_200505_966.jpg

IMG_20240814_201844237_BURST0002.jpg

Photography device: Infinix hot 11s
Location

99pyU5Ga1kwqSXWA2evTexn6YzPHotJF8R85JZsErvtTWY68oBe2d5MBQiiXJUc2pjsGrMz4xjWmvQsjsdJnMVeP8i6MwiRYrHdW8u9nnLtpmjP8p8fhZZKVziK8U1tQW2.png


এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif


পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ।

R6TbvATub8MquGoqJZ4SE2UCpaUQzmNnWQxvJGwvYApXWE4KsVzC8vNNXWgtz7hrfoYPSrjupZgj7VtKhrH935ua1PLs4Vr7KiYnVAy3oD...tCNiac63XNuwJJZPbTjHfGPYJH4BJoHgX8HdohSPrSasKvArV8wiiFV7ntYqz66tLZiqG67BKrPAveZFRs3vaqucpJgsaE3qA6Rwasb2fYDx3U5dXGLwwRdyH8.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন গাংনী বাজারে চিকেন ফ্রাই খেতে যাওয়ার অনুভূতি। আপনি একদম ঠিক বলেছেন আসলে মন ভালো রাখতে হলে আমাদের এলাকায় ঘুরে বেড়ানো এবং বাইরে খাওয়া দাওয়া করা উচিত। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

হ্যাঁ মামা এতে কিন্তু মন ভাল থাকে।

চিকেন ফ্রাই ও বার্গার গুলি খুব ভালো লাগলো। আপনি যে এমন চিকেন ফ্রাই খেতে বাজারে চলে গেছেন, খাদ্য রসিক বাঙ্গালীর কাছে এটাই তো কাম্য। আমিও মাঝে মাঝে খাওয়ার জন্য এদিক-ওদিক চলে যাই। বাজারের চিকেন ফ্রাই এবং বার্গারের ছবি দেখে ভালো লাগলো কিন্তু খিদে বেড়ে গেল। সুন্দর পোস্ট।

হ্যাঁ ভাইয়া এগুলো আমারও মোটামুটি ভালো লাগে তাই চলে যায় বাজারে।

ঠিক বলেছেন ভাই বাড়িতে ঝগড়া হলে বউয়ের পাশে যখন স্বামী থাকে তখন বউদের মনের জোর বেড়ে পায়। ঝগড়াটা আরো দ্বিগুণ বেড়ে যায়। মন খারাপ কে ভালো করার জন্য বাইরে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করেছেন । আর সেই মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

স্মৃতি করে রাখার জন্য তুলে ধরলাম।

একমাত্র খাদ্য রসিক মানুষের দ্বারাই এটা সম্ভব। মনেকে ভালো রাখার জন্য আপনি গাংনী বাজারে গিয়েছিলেন চিকেন ফ্রাই খেতে বিষয়টা
জেনে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। তার থেকে মজা পাইছি দুই বাবার ব্যাটার বউয়ের ঝগড়া করার কথা শুনে। হা হা হা,,,, ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

তারা দারুণ পারে।

তাই......... তাহলে তো গাংনীতে গেলে একদিন খেতে যেতে হবে।