ঈদগাহে ঈদুল আযহার সালাত আদায় করার মুহূর্ত

in hive-129948 •  last year 
আসসালামু আলাইকুম

IMG_20230629_074206_918.jpg




আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আপনাকে স্বাগতম




হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি আমাদের ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল আযহার সালাত আদায় করার মুহূর্ত নিয়ে। চলুন এক নজরে দেখে আসি এবার ঈদের সালাত কিভাবে আদায় করলাম আর ঈদগাহের অবস্থান।


'আমার বাংলা ব্লগ'
কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট


ফটোগ্রাফি সমূহ:


১ নং ফটোগ্রাফি

২৯ শে জুন ২০২৩ ঈদুল আযহার সালাত আদায় করেছিলাম আমাদের জুগীরগোফা ঈদগাহ ময়দানে। ঈদে ময়দানে উপস্থিত হতে আমার একটু লেট হয়ে গেছিল। উপস্থিত হয়ে দেখি সামনের কাতারগুলো লোকসংখ্যা হয়ে গেছে, এদিকে ঈদের নামাজের আর ৫/৭ মিনিট বাকি। ঈদগাহের ভিতরে প্রবেশ করলাম প্রবেশ করার পরে নামাজ পড়ার জন্য নিজে যায় নামাজটা বিছাতে হবে এমন একটি মুহূর্তে মানুষের মধ্যে থাকে কোন একজন বলে বসলো ওই সামনের কাতার গুলা ডান সাইডে ফাঁকা রয়েছে তোমরা ওদিকে চলে যাও। সামনের দিকে চেয়ে দেখলাম যে যার মত আগে থেকে এসে সুন্দর করে বসে গেছে ঈদের সালাত আদায় করার জন্য এদিকে মাইক্রোফোন ধরে গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তি কথা বলছেন সম্ভবত ইমাম সাহেব কথা বলছিলেন। ইমাম সাহেবের সামনে ঈদগাহ কমিটির লোকজন তাদের বিশেষ দায়িত্ব একটু ব্যস্ত মনে হয়েছিল মানুষ যেন দাঁড়িয়ে না থাকে সঠিকভাবে বসে ঠিক এমন কিছু কথা বলেছিল। আমি যেহেতু লাস্টের দিকে উপস্থিত হয়েছিলাম তাই লাস্টের কার্তার তাইতো আমার জন্য উপযুক্ত হবে কারণ সামনের কাতারগুলো তো পূরণ হয়ে যাওয়ার কথা। লোকজন দাঁড়িয়ে রয়েছে যখন লোকজনের ভেতর থেকে গ্রামের কেউ একজন এমন কথাটা বলল তখন আমি সামনের দিকে তাকিয়ে দেখলাম। সামনের কাতার ফাঁকা থাকার কথা তো নয় যেহেতু কাতার পূরণ করে তারপরে তো বসতে হয়। ছোট থেকে এটাই শুনে আসছি, কাতার ফাঁকা রেখে অন্য কাতার তৈরি করতে হয়। না এটা নামাজ হয় না। যাই হোক ধর্মীয় ব্যাপার স্যাপার আমার বেশি একটা ধারণা নেই তবুও ছোট থেকে যেটা শুনে আসছি মানুষের মুখোমুখি আজ পর্যন্ত শুনি এমনকি হুজুরদের মুখেও শুনেছি। তাই আমার খুব একটু খারাপ লেগে উঠলে সামনের কাতার কেন ফাঁকা থাকবে আর পিছনেই বা কেন বসবে। আমি সামনের কাতারের দিকে যেতে মন পোষণ করলাম, এবার তাকিয়ে দেখি আশ্চর্যজনক! বিষয়টা না হয় একটু পরে বলি।

IMG_20230629_074455_985.jpg

IMG_20230629_074234_839.jpg

IMG_20230629_074229_585.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স


২ নং ফটোগ্রাফি

আমি সামনের খাতাগুলোতে আর গেলাম না। যে কাতারটা রানিং ছিল ঠিক সেই কাতারেই বসে পাশাপাশি অন্যান্যরা বসে লাইন পূরণ করে দিলাম। এরপর বসে লক্ষ্য করে দেখলাম পিছনে সাইট এখনো দুই এর বেশি কাতার ফাঁকা রয়েছে। যদি এর মধ্যে আরো ভালো জন আসে অবশ্যই তারা জায়গা পাবে। কারণ আমাদের ঈদগাহ অনেক বড় কাতার অনেক বড়। তার পিছন সাইডটা লক্ষ্য করে দেখলাম আমাদের পিছে যারা আসছিল তারা পিছনে বসা শুরু করল। তারা সামনে আসতে রাজি হলো না কারণ বৃষ্টি হয়েছিল সামনের কাতারের ডান সাইডে হালকা সেদলা হয়েছিল। লক্ষ্য করলাম আমাদের যারা বলেছিল সামনের কাতারগুলোতে চলে যাও,আমাদের পিছে যারা নামাজ পড়তে আসলো তাদের বলছে কিনা। না তেমন কেউ কিছুই বলছে না। লক্ষ্য করলাম ঈদগাহ ম্যানেজিং কমিটির কোন লোক এই সমস্ত দিকগুলো পরিচালনা করছে কিনা। যেহেতু নামাজ হতে আর কয়েক মিনিট বাকি তাই তারা তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করছিল কাতার গুলোর দিকে লক্ষ্য করার সময় নেই এমন একটা বিষয়। এমনিতেই কোরবানির ঈদ নামাজ শেষে দ্রুত যেয়ে খাওয়া-দাওয়া করে কুরবানী দিতে হবে তাই হয়তো মনের মধ্যে একটু তাড়াহুড়ো থাকতে পারে। জয় হোক এই বিষয়টা বলাও সঠিক হবেনা যেহেতু নামাজের বিষয় নামাজটা সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা নামাজের জায়গায় তাড়াহুড়া মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।

IMG_20230629_080059_5.jpg

IMG_20230629_080057_8.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স


৩ নং ফটোগ্রাফি

এবার আসুন আমরা সামনের দিকে লক্ষ্য করি। প্রথমেই বলে রাখি এই ফটোগ্রাফি গুলো ব্লগে দেওয়ার ইচ্ছে ছিল না যেহেতু নিজেদের মান সম্মান। তারপরে জনগণের সচেতন হওয়ার জন্যই দিতে হলো কারণ হয়তো এভাবেই একদিন ধর্মের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি হতে পারে তাই সেগুলো যেন না হয়, সঠিক হাদিস নিয়ম কানুন মেনে চলতে পারে এবং ধর্ম প্রাণ মুসলমানদের মধ্যে বিদ্যমান থাকে পাশাপাশি সঠিকটাই যেন মাথায় রাখতে পারে সকলে তাই দিতে হলো। হয়তো আমি বেশি ধর্ম প্রাণ না বা বেশি ধার্মিক নয়। তারপরে ছোট থেকে যেটা জানি একটি কাতার পরিপূর্ণ না হলে পরবর্তী কাতা তৈরি করতে হয় না এমনটা হলে নামাজ হয় না। তবে আপনারা ফটোগ্রাফিতে দেখুন সামনে কি অবস্থা গুনে গুনে দেখলাম পাঁচটি কাতারে একই অবস্থা। হয়তো একটি কাতার যদি ফাঁকা থাকতো তাহলে ম্যানেজিং কমিটির দৃষ্টিগোচর নাও হতে পারতো। এতগুলো পাতার ফাঁকা রেখে পরবর্তী লাইন কিভাবে তৈরি করল তারা। আর এখানে যে বসতে পারা যাবে না তাও তো নয় তারা ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করার চেষ্টা করছে জায়নামাজ বিছিয়ে তো নামাজ পড়া সম্ভব যেমন আমি সিদলার উপরে জায়নামাজ বিছিয়ে বসে পড়লাম, নামাজ বলে কথা। আর যারা আমাদেরকে বসতে বলেছিল সামনের দিকে যে কাতার গ্রহণ করতে বলেছিল দুইজনে তো এরকম পাঁচটি কাতার পূরণ কখনোই হয় না। আমার প্রশ্ন হল তারা কেন উপরে ভালো জায়গায় বসে অন্যদের জ্ঞান দিচ্ছে কাতার পূরণ না করে। তাও তো চাইলে কাতারগুলোতে যেতে পারতো অন্যদের দিকে কাতার পূরণ করতে পারতো তারা কেন বসে রয়েছে চারটা কাতার ফাঁকা রেখে। এমন দৃশ্য মন থেকে মেনে নিতে পারলাম না। হয়তো মানুষজনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে যাওয়াটাও বোকামি হতো কারণ এখানে জ্ঞানীগুণী অনেক মানুষ রয়েছে। আর এমন দৃশ্য তারা নিজেরাই দেখছে। তবে এই বিষয়টা কারা কোন দৃষ্টিতে নিয়েছে, নামাজ কতটা হয়েছে না হয়েছে এই নিয়ে বেশি মাথাব্যথা করার আমার ইচ্ছে নেই।

IMG_20230629_075948_597.jpg

IMG_20230629_080006_296.jpg

IMG_20230629_080106_6.jpg

IMG_20230629_075902_600.jpg

IMG_20230629_075904_318.jpg

IMG_20230629_075912_105.jpg

IMG_20230629_075914_293.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স


৪ নং ফটোগ্রাফি

কাতার এমন ফাঁকা রেখে নামাজ যদি হয় তাহলে ভালো আর যদি নামাজ না হয় তাহলে আপনারা বিশেষ দৃষ্টি রাখবেন যখন নামাজ পড়বেন হয় ঈদের নামাজ অথবা প্রতি ওয়াক্তের নামাজ তখন কাতার যেন পূরণ হয় আমার কথা হচ্ছে নামাজ যখন পড়বো নামাজটা যেন ঠিক হয়। আর আমরা যতটুক ধর্ম মানবো ধর্ম যেন সঠিকটা জেনেই মানতে পারি। আর ঈদের নামাজ আমি প্রতিবারই আপনাদের মাঝে শেয়ার করে থাকি কারণ এটা তো একটি আমাদের ভালোলাগা আর এ ব্লগ টাই যেটা সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে কারণ ঈদের নামাজ স্মৃতি হয়ে থাকবে ফটো ও ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে। তবে এবার ঈদের নামাজের ভাল লাগাটা নিজের কাছে সেভাবে হলো না যে হাসিখুশি ভাবে গতবারের মতো দিতে পারব তা হয়ে উঠলো না। একটু মনটা খারাপ হয়ে গেল এমন দৃশ্যের কারণে। মনের মধ্যে শুধু একটা শব্দ বেজে উঠছিল ম্যানেজিং কমিটেরা এদিকে কেন দৃষ্টি রাখলো না, ইমাম সাহেবরা কেন এদিকে লক্ষ্য করল না?তাহলে কি এমন ভাবে নামাজ পড়া যায়? এখানে তো বৃষ্টির কারণে কাদা নর্দমা হয়ে যায়নি যে সেখানে দাঁড়ানো যাবে না তেমন টা তো নয়। জীবনে প্রথম এমন দৃশ্যের সম্মুখীন হলাম যা নিজের কাছে মানতে একটু কষ্ট হচ্ছে জানিনা আপনাদের দৃষ্টিতে কেমন টা অনুভূতি হচ্ছে তবে বলব সঠিক হাদিস কারণগুলো মেনে চলা এবং জুনিয়রদের শেখানো। নাই জুনিয়রদের মধ্যে হয়তো একদিন ধর্মের বিষয়টা অবজ্ঞার নজরে চলে যাবে। হয়তো এমন দৃশ্য আরো বাড়তে থাকবে বৃষ্টি পানির শুতনোতে। এর মাঝে আমার কোন ভুল ত্রুটি হয়ে গেলে আশা করি আপনারা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। কারণ বাস্তব দৃশ্যের সম্মুখীন হয়েছি বলেই তা আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি। আর এটাই ছিল আমাদের ঈদুল আযহার নামাজের অনুভূতি এবং বাস্তব দৃশ্য। আশা করি আপনারা সবাই নিজ নিজ ধর্ম বিষয়ে অবগত থাকবেন।

IMG_20230629_075945_909.jpg
IMG_20230629_074104_602.jpg


Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স


পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif


পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সকলে। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkLbdtHEKTgRBCYd7pi9pJd6nDf4ZPaJpEx3WAqvFVny2ozAtrhFXaDMnAMUAqtLhNESRQveVFZ7XHcED6WEQD48QkCkVTAvNg6.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বৃষ্টির জন্য হয়তো এমন হয়েছে কারণ সবাই মনে হয় শুকনো জায়গায় বসতে চাচ্ছিলো। তা না হলে হুজুররা হয়তো এই কাতার ফাঁকা রাখার বিষয়ে আলাপ করতো। সামনের কাতারে বসলেই তো ভালোভাবে সবকিছু শোনা যায় ঠিকই বলেছেন কোরবানি ঈদে সবার কোরবানি করার একটি তারা থাকে। ভালোভাবে ঈদের নামাজ শেষ করতে পেরেছেন দেখে ভালো লাগলো।

হ্যাঁ ঠিক বলেছেন আপু নামাজ শেষে সবাই দ্রুত বাসায় যেয়ে কোরবানি দেওয়ার চেষ্টা করে

মাশাআল্লাহ দেখে অনেক ভালো লাগলো অনেক বড় ঈদগাহ ময়দান অনেক লোকজন দেখলাম আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। এত বড় ময়দানে নামাজ পড়তে অনেক ভালো লাগবে অনেক লোকজনের সমাগম। তবে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে এত বেশি জানিনা। আমরা তো তত বেশি জানি না হুজুরেরা যা বলে তা শুনি আর কি। যাক অনেক ভালো কাটিয়েছেন সবাই মিলে ঈদের নামাজ আদায় করলেন ঈদ পালন করলেন।

আমিও তাই