আজ - বৃহস্পতিবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আপনারা সকলেই জানেন সুমন মানে নতুন কিছু,সুমন মানে ইউনিক পোস্ট। নতুন নতুন কোন কিছু আপনাদের মাঝে শেয়ার করায় আমার দৈনন্দিন কাজ।
তাই আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়ে গেলাম সুন্দর একটি টপিকস নিয়ে। আমার উপস্থিতি দেখে আমারই আপনজনদের আনন্দঘন মুহূর্তকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য এসেছি। আশা করি আমার এই ব্লগটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং দেখবেন। আমার উপস্থিতিতে আমারি আপনজনেরা যেভাবে আমাকে গ্রহণ করলো এবং আনন্দ উপভোগ করল তা আপনাদের মাঝে কিছুটা বর্ণনা সহকারে তুলে ধরব।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এখনই বিস্তারিত বর্ণনা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে শুরু করা যাক।
আমার কিছু ছাত্র-ছাত্রী আমার সাথে ছবি ওঠাবার জন্য আমাকে বারবার রিকোয়েস্ট করেছিল। আমি একেবারে প্রস্তুত না থাকায় বলেছিলাম সামনে দিন। মাঝখানে দুইটা দিন স্কুল বন্ধ ছিল। মনে হয় তাদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে গেছিলো। স্কুল খোলা মাত্র ওরা সবাই টাইম মতো স্কুলে হাজির। আমাকে দেখে ছবি উঠানোর জন্য পীড়াপীড়ি করতে থাকে, দুর্ভাগ্যজনক সেদিন টাইম দিতে পারি নাই। পরের দিন আমি স্কুল টাইম শুরু হওয়ার অনেক আগেই স্কুলে গেছিলাম। একটি ক্লাস রুমের ভেতরে বসে ব্লগ পড়ে ও দেখে কমেন্ট করছিলাম। এই মুহূর্তে ওরা সকলেই হাজির। আমাকে দেখা মাত্র বলতে থাকলো স্যার আজকে আপনার সাথে আমার ছবি উঠিয়ে ছাড়বো। আমার পোস্ট পড়া ও কমেন্ট করার বারটা বাজলো। তারা তাদের ইচ্ছেমতো ফটোগ্রাফি করল একসাথে। তার মধ্যে থেকে কয়েকটি ফটো আপনাদেরকে উপহার দিলাম। তাদের সাথে ফটো ওঠাতে পেরে নিজেও যতটা আনন্দবোধ করেছিলাম ঠিক তার চেয়ে অধিক পরিমাণে তারা আনন্দ খুশি হয়েছিল। ছোট মনের ছোট আশা পূরণ হাওয়াতে পেরে খুবই ভালো লাগলো আমার। দেখে যেন মনে হয় সব আমারই সন্তান বা ছোট ছোট ভাই বোন।
Photography device: Infinix hot 11s
location
অনেকদিন পর বিশেষ কারণে খালাদের বাসায় গিয়েছিলাম বামুন্দি বাজারে। বিভিন্ন কারণে সম্ভব হয়ে ওঠে না ওখানে যাওয়ার। খালাদের বসাতে ওঠা মাত্রই, খালাতো ছোট্ট ভাইটি আমাকে দেখে দৌড়ে আসতে থাকে আমার পানে। সে খাটের উপর বসে ছিল। তার স্মরণ ছিল না যে খাট থেকে পড়ে যাব কি, তবে আমি তাকে নিয়ন্ত্রণ করলাম। আসা মাত্র ফটো উঠালাম কয়টি। সে গভীর নয়নে আমার পানে তাকিয়ে থাকল কোলে ওঠার জন্য। শুধু খালাতো ভাইটি নয়,তাদের পরিবারের সকলেই আমাকে পেয়ে খুবই আনন্দিত হয়েছিল।
Photographer: myself
Photography device: Infinix hot 11s
location
ফুফাতো বোন ফাতেমা খাতুন। মাঝেমধ্যে আমাদের বাসা থেকে এলে পারে বলে থাকে 'ভাই আমাদেরকে ভুলে গেছিস? ভুল করেও কি মনে পরে না আমাদের বাড়িতে যাওয়ার কথা? যতই ব্যস্ত হোস না কেন,আমাদের তো একদম দেখতে যাবি'। সত্যি সত্যি একদিন না জানিয়ে উপস্থিত হয়ে গেলাম। তিনি যেভাবে কর্মরত ছিলেন সেভাবেই আমি তার ফটো উঠালাম। আমাকে পেয়ে এতটাই আনন্দিত যে। বোন টি তার ছোট মেয়েকে দেখে বলল, বাবু তোমার মামা এসেছে। আরো আমাকে লক্ষ্য করে অনেক কিছুই বলল। তার মধ্যে একটি কথা 'গরিবের বাড়িতে হাতির পা'। বড় বোন কষ্ট পেয়ে যাই বলুক না কেন। অনেকদিন পর তার বাড়িতে আমার উপস্থিতিতে এতটা খুশি হয়েছে যে,মনে হলেও আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছে। সত্যিই আপনজনদের সময় দেওয়া আমাদের একান্ত উচিত। আপনজনের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য অবশ্যই তাদের সাথে যোগাযোগ রাখা দরকার এবং তাদের বাড়ীতে যাওয়া একান্তই প্রয়োজন।
Photography device: Infinix hot 11s-50mp
Location
যে আমাকে কাছে পেলে কাপড় ক্রয় বিক্রয়ের কথা সব ভুলে যায়। অনেকদিন পর তার দোকানে উপস্থিত হওয়াতে সে খুবই আনন্দিত হয়ে বলল ভাই আমাকে মনে হয় ভুলেই গেছেন। তবে অনেক কিছু বলে বোঝানোর পর সে বলল ভাইয়া ইমুতে ও তো ফোন দিতে পারেন। তবে যাই হোক তার অনুভূতি টা দেখে খুবই ভালো লাগলো যে দীর্ঘদিন একসাথে দেখা না হওয়ার ফলে তার মনে যে একটি ব্যাকুলতা বিরাজ করছিল তার প্রকাশ পেল। আমাকে কাছে পেয়ে যতটা আনন্দ বোধ করলো, মনে হয় না সেইদিন কেনাকাটায় যতটা লাভ হয়েছে তা থেকে এতটা আনন্দ পেয়েছে।
Photographer: myself
Photography device: Infinix hot 11s
location
সকলের উদ্দেশ্যে শেষ একটি কথাই বলতে চাই, সময় ও স্রোত যেমন মানুষের জন্য অপেক্ষা করে না। ঠিক তেমনি আমাদের জ্ঞান করা উচিত আপনজনদের কিছুটা সময় দেওয়া, আমরা ব্যস্ততার মাঝে অনেক সময় অকারণেও নষ্ট করে থাকি। তবে ব্যস্ততাকে কিছুটা কটিয়ে, অকারনে সময় নষ্ট করা থেকে বিরত রেখে জীবনের কিছুটা মূল্যবান সময় আপনজনদের মাঝে বা প্রিয় মানুষদের মাঝে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আপন মানুষদের মাঝে ব্যয় করতে হবে, ব্যয় করতে হবে এর জন্য যে আপন জনদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে। আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখতে সময় তৈরি করে নিতে হবে। কারণ দুনিয়াটা সীমিত সময়ের জন্য খেলাঘর মাত্র। |
---|
💌আমার পরিচয়💌
আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)। বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। মড়কা বাজার, গাংনী,মেহেরপুর এ গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল নামক প্রাইভেট প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সহকারি শিক্ষক । ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও সৌর প্যানেল নিয়ে রিসার্চ করতে পছন্দ করি। প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা। দীর্ঘদিনের আমি পাঙ্গাস মাছ চাষী এবং বিরহের কবিতা লেখতে খুবই ভালোবাসি। |
---|
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
💖💞💞💖
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৫ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোষ্টে,ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
সৃষ্টিকর্তা নিয়ামত হিসেবে আমাদের আত্মীয়স্বজন দিয়েছেন। কিন্তু আমরা অধিকাংশ ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি না। আপনার এই বিষয়টি ভালো লাগল। স্কুলের বাচ্চাদের আনন্দের জন্য তাদের সঙ্গে ছবি উঠা। খালাতো ভাই ছোট জারিফকে দেখতে যাওয়া। নিজের বন্ধুর সঙ্গে দেখা করা।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন ভাইয়া। আপনার এত সুন্দর মন্তব্য দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন আপনজনকে কাছে পেলে যে একটা অনুভূতি হয় সেটা আসলে কখনো কাউকে বোঝানোর কোনো ভাষা নেই। কেননা এটা শুধুমাত্র যখন তাদের সাথে আমাদের দেখা সাক্ষাত হয় তখনই বোঝা যায়। আপনার পোস্টটি অনেক ভালো হয়েছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ, আপনি ঠিক বলেছেন ভাই। এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit