হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আবার আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছে ঔষধ কেনার অনুভূতি নিয়ে। বামুন্দি বাজারে পরিবারের সবার জন্য কম-বেশি ওষুধ কিনতে উপস্থিত হয়েছিলাম তামিম ফার্মেসিতে। আর সেই অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব এখন।
বেশ কিছুদিন ধরে পরিবারের কমবেশি সবার সর্দি কাশি জ্বর লেগে রয়েছে। আর এছাড়াও আপনারা অনেকেই জানেন আমার আম্মা দীর্ঘদিন অসুস্থ, আমার আব্বু অসুস্থ একজন মানুষ। তাই পরিবারের কমবেশি সবার জন্য ওষুধ কিনতে তামিম ফার্মেসিতে উপস্থিত হলাম আমরা দুই ভাই। যেদিন তামিম ফার্মেসিতে উপস্থিত হয়েছিলাম সেদিন হার্টের দিন ছিল না। বামুন্দী বাজারে হাটের দিন হয়ে থাকে সোমবার ও শুক্রবার। আমরা যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন হার্টের দিন ছিল না তাই বেশি একটা বাজারে ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। তবে লক্ষ্য করে দেখেছি তামিম ফার্মেসিতে বেশ মানুষের ভিড় ছিল। বেশ অনেকদিন থেকে এখানে ঔষধ নেওয়া হয় ১০% ছাড়ে, যার জন্য প্রেসক্রিপশনটা দেওয়া মাত্র অন্যান্যদের তুলনায় আগেই ঔষধ গুলো পাওয়া সম্ভাবনা থেকে যায়।
বাড়ি থেকে যে সব প্রেসক্রিপশন নিয়ে যেতে হয় তা কিন্তু নয়। মোবাইলে ফটো মেরে অথবা কিপ নোট এ লিখে রাখি। এরপর মোবাইলটা তাদের হাতে ধরিয়ে দেই তারা মোবাইলে দেখে দেখে ঔষধ দিতে থাকে। তবে এই দিন ব্যতিক্রম ছিল উনাদের ভেতর একজন বলল ভাইয়া আপনি একটা একটা করে ওষুধের নাম বলুন আর বের করে এনে আপনার সামনে রাখি। বেশ সুবিধা হয়ে গেল অন্যান্যদের তুলনায়। আমিও একটু একটি করে ওষুধের নাম বলতে থাকলাম আর ফার্মেসির একজন ব্যক্তি আমার সামনে ওষুধ এনে রাখতে থাকলেন। আজকে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটি মাল্টিভিটামিন এটা আমার আম্মার জন্য প্রায় নেয়া হয়ে থাকে, স্যালাইনের সাথে এটা দেওয়া হয়।
আর এভাবেই একের পর এক ঔষধের নাম বলতে থাকলাম ফার্মেসির এক ব্যক্তি ঔষধ দিতে দিতে সামনের জায়গাটা পুরা করে ফেলল। যেখানে আমার ঔষধ রয়েছে আমার বড় ভাইয়ের রয়েছে আমার আব্বুর রয়েছে আমার আম্মুর রয়েছে এছাড়া আরো ছোটদের রয়েছে। আমার বিশেষ কোন প্রবলেম ইনশাল্লাহ নেই, তবে শারীরিক দুর্বলতার জন্য সিনকারা আর এরিস্টো গোল্ড খাওয়া হয়। এদিকে বড় ভাইয়ের সর্দি জ্বরের জন্য জ্বরের ঔষধ ও গ্যাসের ঔষধ। পাশাপাশি আম্মার বিভিন্ন প্রকার ঔষধ রয়েছে এখানে। এছাড়াও আব্বার পায়ের সমস্যার জন্য ঔষধ ছিল। আর এভাবেই সম্পন্ন ঔষধ গুলো আমাদের সামনে এনে তারপর হিসাব করে বললেন ১০% ছাড়ে ১৭০০ টাকা প্লাস। এর আগে একটা ঔষধ আমি নিয়ে গিয়েছিলাম ১১০ টাকার পাতা নিউরোবিন। সেটা আমার আম্মার জন্য ছিল কিন্তু আম্মু ওটা একেবারে খেতে পারে না, যার জন্য ব্যাক দেওয়া হল সেটা। তাই ১৬০০ টাকায় দেয়া হলো ওষুধের মূল্য।
এরপর বামুন্দি বাজার থেকে বাড়ি ফিরে আসা হল তারপর যার যার যে ঔষধ সেগুলো আলাদা আলাদা ভাগ করলাম আমার রুমে বসে। নির্দিষ্টভাবে সবার ঔষধ গুলো আলাদা আলাদা প্যাকেটে করে সবার হাতে ধরিয়ে দিলাম। আর আমার ঔষধ আমার রুমে রাখলাম। আর এভাবেই গত দিন পরিবারের সবার জন্য ঔষধ কিনে আনা হল বামুন্দি বাজারের তামিম ফার্মেসি হতে।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিষয় | ঔষধ |
---|---|
লোকেশন | Location |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix hot 11s |
ফটোগ্রাফার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সকলে। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit