হাই বন্ধুরা!
কেমন আছেন সবাই? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি তৃতীয়বারের মতো আবারো উপস্থিত হলাম মায়ের অপারেশনের জন্য ঢাকা জাহাঙ্গীরনগর এরিয়া থেকে ঢাকা পান্থপথ এ যাওয়ার ভ্রমণ পোস্ট শেয়ার করা উদ্দেশ্যে। আশা করব এই পোস্টে আপনারা নতুন কিছু দেখতে ও জানতে পারবেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
Infinix Hot 11s
ঢাকা জাহাঙ্গীরনগর বিশমাইল ফ্লাইওভার থেকে বেশ কিছু ফটো ধারণ করলাম। বুঝতে পারছেন খালাম্মা আম্মার হাত ধরে ফ্লেভার পার করছেন আর সেই সুযোগে আমি এদিকে ওদিকে ফটো ধারণ করলাম। আর খালার কাছে জেনে রেখেছিলাম এখান থেকে কোন বাসে উঠবো যা একবারে ধানমন্ডি 32 পর্যন্ত নামিয়ে দিবে। খালাম্মা বলেছিলেন বেশ কয়েকটা বাচ্চার নাম তার মধ্যে মৌমিতা ও সাভার পরিবহন গুলো অন্যতম। আমি ফ্লাইওভার থেকে উত্তর পশ্চিম পাশে দেখে নিলাম এ নামের কোন বাস আসছে কিনা। তবে ফ্লাইওভার থেকে লক্ষ্য করে দেখলাম হ্যাঁ একটি মৌমিতা বাস এগিয়ে আসছে। এদিকে খুব সাবধানতার সাথে আমার খালাম্মা আম্মুকে সিঁড়িতে নামাছিলেন। তবে ওই মুহূর্তে আমার আম্মা যথেষ্ট সুস্থ ছিল খালাম্মার আগে আম্মা দ্রুত নেমে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছিল তারপরেও আমি হাত ধরে নামাতে বলেছিলাম।
Infinix Hot 11s
লক্ষ্য করে দেখলাম গাড়িটা জায়গামতো এসে দাঁড়িয়ে গেছে, তাই আমি আর দেরি না করে আমিও দ্রুত ফ্লাইওভার থেকে নেমে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলাম। ততক্ষণে খালাম্মা আম্মুকে ফ্লাইওভার থেকে নামিয়ে ফেলেছেন। গাড়িটা এসে আমাদের খুব নিকটে থেমেছে মানুষ হঠাৎ ছিল। লোকাল বাস জায়গায় জায়গায় থামে। আমি এগিয়ে গেলাম এবং জানতে চাইলাম ঢাকা ধানমন্ডি ৩২ যাবে কিনা। বলল অবশ্যই যাবে তাড়াতাড়ি গাড়িতে উঠুন। তখন দ্রুত আম্মাকে ধরে গাড়িতে ভালো একটি সিটে বসানো হলো। পাশাপাশি দুইটা সিট ছিল তাই আম্মু এবং খালাম্মা দুজনার ভালোভাবে বসতে পারলেন। আমিও একটু পিছনে অর্থাৎ বাসের মাঝামাঝি সিট পেয়ে গেলাম।
Infinix Hot 11s
এই মুহূর্তে প্রচন্ড গরম ছিল। গরমের জন্য বেশ অতিষ্ঠ হয়ে গেছিলাম। লোকাল গাড়ি বাস সাড়েতে ছাড়বে জানা যাত্রী নিয়ে তাদের পেট ভরছে না। বাঁচবো তাই হয়ে গেল তারপরেও তারা হা করে রয়েছেন এখনো যাত্রী প্রয়োজন। তারপরে লক্ষ্য করে দেখলাম পিছনে আরো বেশ কিছু গাড়ি যানজট হয়ে যাচ্ছে পুলিশ ভাইয়েরা এগিয়ে আসছেন। তখনই তারা গাড়ি ছাড়া শুরু করল। আর কতক্ষণে আমি জানালা দিয়ে কয়েকটা ফটো ধারণ করার চেষ্টা করলাম। যেহেতু পূর্ব পরিচিত স্থান তাই তেমন একটা সমস্যা মনে করছিলাম না। আর এদিকে খালাতো ভাইয়েরা এবং খালাম্মা বলেছিলেন বাসের মধ্য থেকে ছো মেরে মোবাইল নিয়ে চলে যায় ছিনতাইকারীরা। তাই মোবাইল যেন আমি খুব সাবধানতার সাথে পকেটের মধ্যে রাখি এবং বারবার দেখে রাখে। কিন্তু আমি যে ছবি ধারণ করেছিলাম মাঝেমধ্যে খালাম্মা আমার দিকে লক্ষ্য করছিলেন এবং ইশারা করছিলেন, বুঝানোর চেষ্টা করছিলেন জানালা দিয়ে মোবাইল নিয়ে চলে যাবে কেউ। আমিও ইঙ্গিতে বোঝালাম আপনি টেনশন করবেন না, আম্মুর প্রতি খেয়াল রাখেন।
Infinix Hot 11s
আর এভাবেই একটা সময় গাড়ি দ্রুত চলতেছিল আমিও জানালা দিয়ে ফটো ধারণ করছিলাম সুযোগ বুঝে। লোকাল বাস জায়গায় জায়গায় থামছে আমিও সেই সুযোগে সুযোগে ফটো ধারণ করার চেষ্টা একটু সাবধানতার সাথে। বিশমাইল, প্রান্তিক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় গ্রেট পার হয়ে রেডিও কলোনির দিকে বাস চলে আসলো। আর এভাবে দীর্ঘ ঢাকা আরিচা রোড হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলো। আমিও শুধু মুগ্ধ হয়ে এদিকে ওদিকে দেখার চেষ্টা করলাম কারণ পূর্বে কোনদিন এই দিকে আমার আসা হয়নি। এর আগে ঢাকায় এসেছিলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় গেট পর্যন্তই সমাপ্ত ছিল আমার আশা। তবে এই প্রথম ঢাকা সাভারে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। একদিকে আমার জন্য টেনশন আর এদিকে নতুন স্থান দেখে একটু ভালোলাগা। প্রচন্ড গরমের মুহূর্ত যখনই বাস এদিকে সেদিকে থামছিল তখনই বেশ বিরক্ত ফিল করছিলাম গরমের জন্য। এদিকে বারবার আমার পানের লক্ষ্য রাখছিলাম আম্মা সুস্থ আছেন কিনা। কারণ বাসের মধ্যে উঠলে এমনিতে অসুস্থ হয়ে পড়ে আর তারপরে উনি পেশেন্ট। তাই আমাকে দুই দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়েছিল একদিকে আমার প্রতি আর একদিকে বাইরের পরিবেশ দেখা ও মোবাইলের সতর্কতা।
Infinix Hot 11s
একটা সময় আমরা শুনতাম ঢাকা শহর মানে কেউ কারো নয়। আত্মীয়রা আত্মীয়দের চেনেনা। গ্রামে যেমন একজন আত্মীয়র বাড়িতে আরেকজন আত্মীয় আসলে কত খুশি হন। কিন্তু ঢাকা শহরে নাকি আত্মীয় গ্রাম থেকে গেলে তারা বেজার হন। হঠাৎ কেন জানি মাথার মধ্যে এই চিন্তা আসছিল। তবে এদিকে আমি তো দেখছিলাম আমার আম্মা যেমন পেশেন্ট আমার খালাম্মা তার বোনের অবস্থা দেখে হয়ে যাচ্ছে উল্টা পেশেন্ট। তবে যাই হোক কত রকমের চিন্তাভাবনা যেন মাথার মধ্যে ঘুরপাক করছিল। এদিকে ঢাকা শহরের বিভিন্ন দালান কোটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মানুষের কর্মব্যস্ততা সবকিছুই যেন চোখে পড়তে থাকলো আর অনেক রকমের ভাবনা মনের মধ্যে আসতে থাকে। যেন দেখে মন ভরছে না দেখতেই আছি ঢাকা শহরের চিত্র। আর মনে মনে চিন্তা কখন হসপিটালে পৌঁছাবো আর ডাক্তারের কি বলবেন। এদিকে আমি আমার মোবাইলের গুগল ম্যাপ অন করে রেখেছি। ঢাকা পান্থপথের হেলথ এন্ড হসপিটাল এর লোকেশন ঠিক রেখেই মাঝে মধ্যে তাকিয়ে দেখছি গাড়ির অগ্রগতি। কতটা সময় লাগবে সেখানে পৌছাতে। এখনো তো ঢাকার গাবতলী মিরপুর মহাসড়ক বাকি রয়েছে সেখানে নাকি প্রচন্ড ট্রাফিক জ্যাম লাগে। যে ট্রাফিক জ্যাম শুধু অনলাইনের মাধ্যমেই দেখেছি হয়তো এখন বাস্তব স্বচক্ষে দেখতে চলেছি। এমনই চিন্তা আর ফটো ধারণ। হঠাৎ বাসের কন্টাকটার এসে বললেন ভাড়া দিন। কিন্তু সামনে থেকে খালা ইশারা করে বলে দিলেন ওই ছেলেটা আমার। তখনই বুঝতে পারলাম খালাম্মা ভাড়া দিয়ে দিয়েছেন সামনে থেকে। তবে যা জানতে পারলাম ভাড়া একটু বেশি নিয়েছেন। ঢাকা সাভার থেকে ধানমন্ডি ৩২ পর্যন্ত ৫০ টাকা ভাড়া। আর সাভার থেকে বিশমাইল 10 টাকা ভাড়া। হিসাবে ৬০ টাকা করে হয়। সেখানে তিনজনার 180 টাকার জায়গায় ২০০ নিয়েছে। খালাম্মা বিশ টাকা ব্যাক চাইলেন, ছেলেটা বলল ভাড়া ঠিক আছে তিনজন ২০০ টাকা, দাম বেড়ে গেছে। তখন খালাম্মা কিছু বললেন না, আমিও চুপ থাকলাম। আর এভাবে একটি সময় ঢাকা সাভার বাস স্ট্যান্ডে গাড়ি এসে পৌছালো। বিস্তারিত আগামী পর্বে।
Infinix Hot 11s
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পোস্ট বিবরণ
ব্লগার | sumon09 |
---|---|
ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
লোকেশন গাংনী | What3words |
ক্যামেরা | 50mp |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন ভ্রমণ বিষয়ক পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকবেন সবাই। সকলের জন্য শুভকামনা রইল,আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কিছু কিছু সময় আমাদের অজান্তে গাড়ির ভাড়া বেশি করে নেই। তবে যাতায়াতের পথে এরকম ভাড়া হঠাৎ করে বেড়ে গেলে ভীষণ রাগ হয়। যাইহোক আজকের পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম আপনারা ঢাকা সাভার বাসস্ট্যান্ডে পর্যন্ত পৌঁছে গেছেন। আশা করছি পরবর্তী পর্বে ডাক্তারের চেম্বারে চলে যাবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদম ঠিক কথা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আজকে আবারো আরেকটি পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এ পর্ব দেখে বেশ ভালো লাগলো। যেখানে ঢাকা সাভার পর্যন্ত খুব সুন্দর ভাবে ফটো ধারণ করেছেন এবং তা তুলে ধরেছেন। আশা করব এভাবে সমস্ত বিষয়গুলো শেয়ার করবেন যেন সেইসময়ের বিষয়গুলো জানতে পারি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
চেষ্টা করলাম, আগামীকাল সামনের পর্ব শেয়ার করব
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রচন্ড গরমে জার্নি করা সত্যিই অনেক কষ্টের। আর যদি বাস অনেকটা দেরি করে তাহলে আরো বেশি খারাপ লাগে। ভাইয়া আপনার মায়ের অপারেশনের জন্য ঢাকায় গিয়েছিলেন আর সেই অনুভূতি শেয়ার করেছেন পড়ে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। মাঝে মাঝে আমাদের অনেক রকমের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন আপনি
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit